মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

২৬. পবিত্র কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং: ৫০১
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং- ৫০১

হযরত সালমা ইব্ন নাবীত বলেন, আমি যাহহাক ইব্ন মুযাহিমের নিকট ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি তার নিকট এসে إِنَّا نَرَاكَ مِنَ الْمُحْسِنِينَ (নিশ্চয়ই আপনাকে নেককার ও মুহসিন লোকদের অন্তর্ভুক্ত মনে হচ্ছে) এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন যে, হযরত ইউসুফ (আ)-এর মধ্যে ইহসানের কি ছিল? তখন তিনি বলেন, যখন তিনি কোন দরিদ্র ও অভাবগ্রস্থ লোক দেখতেন, তখন তার দিকে সাহায্যের হাত প্রসারিত করতেন। যখন কোন অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতেন, তখন তার সেবার জন্য এগিয়ে আসতেন। যখন কোন অভাবী লোক দেখতেন, তখন তাকে সাহায্য ও সহযোগিতা করতেন।
حَمَّادٌ: عَنْ أَبِيْهِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ نُبَيْطٍ، قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ الضَّحَّاكِ بْنِ مُزَاحِمٍ، فَسَأَلَهُ رَجُلٌ عَنْ هَذِهِ الْآيَةِ: {إِنَّا نَرَاكَ مِنَ الْمُحْسِنِيْنَ} مَا كَانَ اِحْسَانُهٗ، قَالَ: كَانَ إِذَا رَأَى رَجُلًا مُضَيَّقًا عَلَيْهِ وَسَّعَ عَلَيْهِ، وَإِذَا رَأَى مَرِيْضًا قَامَ عَلَيْهِ، وَإِذَا رَأَى مُحْتَاجًا سَأَلَهُ لِقَضَاءِ حَاجَتِهِ.

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীসে বর্ণিত তিনটি বিষয়ই নেককাজের উচ্চতম পর্যায় বলে গণ্য। কেননা দরিদ্র, অভাবগ্রস্থ ও অসহায় অবস্থায় মানব জীবন অত্যন্ত অন্ধকার ও বিপদ-আপদে পরিপূর্ণ থাকে। যার ফলে দুঃখ-কষ্ট ও বিপদের সময় আল্লাহর যে বান্দা সাহায্য ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, তাকে তো রহমতের ফিরিশতা বলে প্রতীয়মান হয়। এমনিভাবে যে ব্যক্তি কোন রোগে আক্রান্ত হয় এবং কোন দৈহিক কষ্টের শিকার হয়, তখন তার দুঃখ-বেদনার কি ঠিকানা, তার চিন্তা, অস্থিরতা এবং অশান্তির কি পরিমাণ। অতঃপর এরূপ দুঃখ ও বেদনার সময় আল্লাহর যে বান্দা তার সেবা ও দেখাশোনা করে, তার দৈহিক আরামের জন্য বিভিন্ন বস্তু ও আসবাবপত্র হাযির করে, সে মানবতা, ভদ্রতা, নেকী ও বুযর্গীর উচ্চতম উদাহরণ পেশ করে থাকে। অথবা অন্য কোন বিষয়ে কোন অভাবী লোকের অভাব পূরণ করা তাকওয়া ও নেকীর উচ্চতম স্থান- যা আল্লাহ তা'আলার খাস বান্দাদের ভাগ্যে হয়ে থাকে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান