মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

১৯. পানাহারের দ্রব্যাদি, কুরবানী, শিকার এবং যবেহ সম্পর্কে বর্ণনা

হাদীস নং: ৪১১
পানাহারের দ্রব্যাদি, কুরবানী, শিকার এবং যবেহ সম্পর্কে বর্ণনা
যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের ফযীলত
হাদীস নং- ৪১১

হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন: আমি তোমাদেরকে তিন দিনের বেশী কুরবানীর গোশত রেখে দেয়ার ব্যাপারে নিষেধ করেছি, যাতে তোমাদের ধনী ব্যক্তিগণ দরিদ্রদেরকে গোশত দান করতে পারে।
كتاب الأطعمة والأشربة والشرب والضحايا والصيد والذبائح
عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، وَحَمَّادٍ، أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّمَا نَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الْأَضَاحِي فَوْقَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، لِيُوَسِّعَ مُوسِعُكُمْ عَلَى فَقِيرِكُمْ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

তিরমিবী শরীফের রিওয়ায়েতে كلوا ما شئتم বাক্য অতিরিক্ত রয়েছে। অর্থাৎ এখন যতদিন ইচ্ছা খাও, অপরকে খাওয়াও এবং রেখে দাও। এ ছাড়া হযরত আয়েশা (রা) থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে যে, তাঁর নিকট কেউ একজন কুরবানীর গোশত রেখে দেয়ার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন। তখন তিনি বলেন, নিষেধ নেই। কিন্তু ঐ সময় অবস্থা ছিল এই যে, কুরবানী করার মত লোক ছিল খুবই কম। তাই তিনি এটা পসন্দ করতেন যে, কুরবানীদানকারী যারা কুরবানী করে নি, তাদেরকেও খাওয়াবে। নতুবা আমরা এটা বৈধ রাখতাম, দশ দিন পর এটা খেতাম। মূলত আঁ হযরত (সা) যদি তিন দিনের বেশি গোশত রাখার অনুমতি প্রদান করতেন, তা হলে অনেক মিসকীন ও দরিদ্র লোক ভুখা থাকত এবং কুরবানী দানকারী দিনের পর দিন গোশত রেখে খেত। এখন যেহেতু ধনী ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মিসকীদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে, কাজেই তিন দিনের বাধ্য-বাধকতা উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মুসনাদে আবু হানীফা রহঃ - হাদীস নং ৪১১ | মুসলিম বাংলা