মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৭. হজ্ব - উমরার অধ্যায়

হাদীস নং: ২৫৩
হজ্বের বিবিধ বর্ণনা
হাদীস নং-২৫৩

হযরত সুবাঈ ইবনে মা'বাদ (রাহঃ) বলেন : আমি জাযিরা থেকে হজ্জের নিয়্যতে আগমণ করি এবং সালমান ইবনে রাবী'আ ও যায়দ ইবনে সুহান নামক আযিবার দু'জন শায়খ-এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। যখন তাঁরা আমাকে لبيك بعمرة وحجة বলতে শুনেন তখন
তাঁদের একজন বলেন এই ব্যক্তি (আমি) তার উট থেকেও অধিক গুমরাহ (হজ্জ্বের আহকাম থেকে অজ্ঞ)। দ্বিতীয় ব্যক্তি বলেনঃ এই লোকটি (আমি) অমুক অমুক বন্ধু থেকেও অধিক গুমরাহ (অজ্ঞ ও মূর্খ)। কিন্তু আমি আমার নিজের কাজে নিয়োজিত থাকি (অর্থাৎ তাদের কথায় কর্ণপাত করিনি) এবং হজ্জের আরকান সমাপ্ত করি। অতঃপর আমি আমীরুল মু'মিনীন হযরত উমর (রাযিঃ)-এর খেদমতে হাযির হয়ে আরয করি, আমি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করি। আল্লাহ তা'আলা আমার জন্য হজ্জের এই পদ্ধতি নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং হজ্জ ও উমরা একত্রে আদায় করা আমার নিকট অধিক পসন্দনীয় হয়েছে। আমি উভয়ের নিয়্যত করে ইহরাম বেঁধেছি। এটা আমি ইচ্ছাকৃত করেছি। অতঃপর যখন সালমান ইবনে রাবী'আ এবং যায়দ ইবনে সুহানের নিকট দিয়ে আমি যাচ্ছিলাম এবং তাঁরা আমাকে لبيك بعمرة وحجة বলতে শুনেন তখন তাঁদের মধ্যে একজন বলেন : এই ব্যক্তি তার উট থেকে অধিক (হজ্জের মাসআলা সম্পর্কে) অজ্ঞ। দ্বিতীয় ব্যক্তি বলেনঃ এই ব্যক্তি অমুক অমুক থেকে (হজ্জের মাসআলা সম্পর্কে) অজ্ঞ। তখন হযরত উমর (রাযিঃ) বলেনঃ অতঃপর তুমি কি করলে? আমি বললাম, আমি যথাযথভাবে হজ্জের আরকানসমূহ আদায় করি। আমি উমরার জন্য তাওয়াফ করি এবং উমরার জন্য সাঈ আদায় করি। এরপর দ্বিতীয়বার এরূপ করি। অতঃপর আমি (হজ্জের জন্য) ইহরাম অবস্থায় থাকি এই নিয়্যতে যে, আমি ঐ কাজ করব যা একজন হাজী করে থাকেন (আরকানে হজ্জ আদায় করব)। তখন তিনি বলেনঃ তুমি তোমার নবী (ﷺ)-এর সুন্নত ও পদ্ধতি অনুযায়ী কাজ করেছ।
অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, হযরত সুবাঈ ইবনে মা'বাদ (রাযিঃ) বলেনঃ মাত্র কিছুদিন পূর্বে খ্রীষ্ট ধর্ম ত্যাগ করার পর আমি হযরত উমর (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে হজ্জের নিয়্যতে কূফায় গমন করি। সালমান এবং যায়দ ইবনে সুহান শুধু হজ্জের নিয়্যতে ইহরাম বাঁধেন (অর্থাৎ শুধু কিরানের নিয়্যত করেন)। সুবাঈ একত্রে হজ্জ ও উমরার নিয়্যত করেন। তখন উভয়ে বলেন : তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তামাত্তুর নিয়্যত করেছ অথচ হুযূর (ﷺ) এর থেকে নিষেধ করেছেন। তাঁরা উভয়ে তাঁকে (সুবাঈকে) বললেন : আল্লাহর শপথ। তুমি তোমার উটের চেয়েও অধিক গুমরাহ্ । সুবাঈ উত্তরে বলেনঃ আমরা হযরত উমর (রাযিঃ)-এর নিকট যাচ্ছি। অতঃপর যখন সুবাঈ মক্কা আগমণ করেন তখন বাইতুল্লাহ শরীফে তাওয়াফ করেন এবং সাফা-মারওয়ায় সাঈ করেন। এরপর হালাল না হয়ে ইহরাম অবস্থায় থাকেন। (হজ্জের দিন পুনরায়) বাইতুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করেন এবং হজ্জের জন্য সাফা ও মারওয়া সাঈ করেন। অতঃপর হালাল না হয়ে ইহরাম অবস্থায় থাকেন এবং আরাফাতে আগমণ করেন ও হজ্জের আরকান সমাপ্ত করেন। এরপর যখন নহরের দিন উপস্থিত হয়, তখন মতুআর (কিরান হজ্জের) জন্য কুরবানী করেন। এরপর লোকজন যখন হজ্জ থেকে ফিরে যায়, তখন তিনি (মদীনায়) হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর নিকট গমন করেন। তখন যায়দ ইবনে সুহান বলেন : হে আমীরুল মুমিনীন! আপনি মুতআ (অর্থাৎ কিরান ও তামাত্তু) থেকে নিষেধ করেছেন কিন্তু সুবাঈ ইবনে মা'বাদ তামাত্তু আদায় করেছেন। হযরত উমর (রাযিঃ) সুবাঈকে জিজ্ঞাসা করেন, হে সুবাঈ! তুমি কি কি করেছ? তিনি তখন বলেনঃ হে আমীরুল মুমিনীন! আমি হজ্জ ও উমরার নিয়্যতে ইহরাম বাঁধি। এরপর যখন আমি মক্কায় আগমণ করি, তখন উমরার জন্য বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করি এবং সাফা ও মারওয়া সাঈ করি। অতঃপর হালাল না হয়ে হয়ে ইহরাম অবস্থায় থাকি। এরপর বায়তুল্লাহ তাওয়াফ (طواف قدوم) করি এবং হজ্জের জন্য সাফা মারওয়ায় সাঈ করি। অতঃপর ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যাই। (সুবাই) বলেনঃ তখন হযরত উমর (রাযিঃ) আমার পিঠ চাপড়ান এবং বলেন : নিশ্চয়ই তুমি নবী (ﷺ)-এর সুন্নত অনুযায়ী আমল করেছ।
সুবাই ইবনে মাবাদ অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিতে আছে তিনি বলেন তিনি এবং সালমান রাবীআ যায়দ ইবনে সুহান হজ্জের উদ্দেশ্য বের হন। সুবাই ইহরামের সময় কিরানের নিয়্যত করেন। সালমান এবং যায়দ শুধু হজ্জের নিয়্যত করেন। তাঁরা উভয়ে সুবাঈকে গালমন্দ করেন এবং বলেনঃ তুমি উট থেকেও অজ্ঞ। তুমি হজ্জ উমরা একত্র করছ, অথচ হযরত উমর (রাযিঃ) হজ্জ ও উমরা একত্রে করা থেকে নিষেধ করেছেন। সুবাঈ বলেনঃ আমরা হযরত উমর (রাযিঃ)-এর নিকট যাচ্ছি।তার নিকট এটা জিজ্ঞাসা করব। অতঃপর তাঁরা চলতে থাকেন এবং মক্কা গমন করেন। তখন সুবাই উমরার জন্য বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করেন এবং সাফা মারওয়া সাঈ করেন। অতঃপর হজ্জের জন্য বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করেন। অতঃপর হালাল না হয়ে ইহরাম অবস্থায় থাকেন যাতে তার জন্য হারাম বস্তু হালাল হয়ে না যায়। এরপর যখন কুরবানীর দিন উপস্থিত হয়, সামর্থ্য অনুযায়ী একটি বকরী যবেহ করে কুরবানী আদায় করেন। যখন কুরবানীর যাবতীয় আহকাম সমাপ্ত করেন তখন মদীনা গমন করে হযরত উমর (রাযিঃ)-এর খেদমতে উপস্থিত হন। তখন সালমান এবং যায়দ তাঁকে বলেনঃ হে আমীরুল মুমিনীন? সুবাঈ হজ্জ ও উমরা একত্র আদায় করেছেন। অথচ আপনি এটা নিষেধ করেছেন। তখন উমর (রাযিঃ) সুবাইকে বললেনঃ তুমি কি করেছ? তখন তিনি বলেন: যখন আমি মক্কায় আগমণ করি তখন উমরার জন্য তাওয়াফ করি এবং সাফা মারওয়ার মধ্যে উমরার জন্য সাঈ করি। এপর দ্বিতীয়বার হজ্জের জন্য বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করি এবং সাফা মারওয়ায় সাঈ করি। তখন তিনি [উমর (রাযিঃ)।] জিজ্ঞাসা করেন, এরপর তুমি কি করেছ? তখন তিনি (সুবাঈ) বলেন। আমি ইহরাম অবস্থায় আমার উপর হারাম বা নিষিদ্ধ কোন কিছু হালাল করিনি। কুরবানীর দিন হল, তখন আমার ক্ষমতা অনুযায়ী আমি একটি বকরী যবেহ করি। সুবাঈ বলেনঃ তখন হযরত উমর (রাযিঃ) আমার কাঁধে হাত চাপড়িয়ে আমাকে ধন্যবাদ বাহবা দেন। অতঃপর বলেনঃ তুমি তোমার নবী (ﷺ)-এর সুন্নত পালন করেছ।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الضَّبِّيِّ بْنِ مَعْبَدٍ، قَالَ: أَقْبَلْتُ مِنَ الْجَزَيرَةِ حَاجًّا، فَمَرَرْتُ بِسَلْمَانَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَزَيْدِ بْنِ صُوحَانَ، وَهُمَا شَيْخَانِ بِالْعُذَيْبَةِ، فَسَمِعَانِي أَقُولُ: " لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ، فَقَالَ أَحَدُهُمَا: هَذَا الشَّخْصُ أَضَلُّ مِنْ بَعِيرِهِ، وَقَالَ الْآخَرُ: هَذَا أَضَلُّ مِنْ كَذَا وَكَذَا، قَالَ: فَمَضَيْتُ حَتَّى إِذَا قَضَيْتُ نُسُكِي مَرَرْتُ بِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ، فَأَخْبَرْتُهُ: كُنْتُ رَجُلًا بَعِيدَ الشُّقَّةِ، قَاصِيَ الدَّارِ أَذِنَ اللَّهُ تَعَالَى فِي هَذا الْوَجْهِ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَجْمَعَ عُمْرَةً إِلَى حَجَّةً، فَأَهْلَلْتُ بِهِمَا جَمِيعًا، وَلَمْ أَنْسَ، فَمَرَرْتُ بِسَلْمَانَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَزَيْدِ بْنِ صُوحَانَ، فَسَمِعَانِي أَقُولُ: لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ مَعًا، فَقَالَ أَحَدُهُمَا: هَذَا أَضَلُّ مِنْ بَعِيرِهِ، وَقَالَ الْآخَرُ: هَذَا أَضَلُّ كَذَا وَكَذَا، قَالَ عُمَرُ: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: مَضَيْتُ، فَطُفْتُ طَوَافًا لِعُمْرَتِي، وَسَعَيْتُ سَعْيًا لِعُمْرَتِي، فَصَنَعْتُ، ثُمَّ عُدْتُ، فَفَعَلْتُ مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ بَقِيتُ حَرَامًا أَصْنَعُ كَمَا يَصْنَعُ الْحَاجُّ، حَتَّى إِذَا قَضَيْتُ آخِرَ نُسُكِي.
قَالَ عُمَرُ: هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ "، وَفِي رِوَايَةٍ عَنِ الضَّبِّيِّ بْنِ مَعْبَدٍ، قَالَ: كُنْتُ حَدِيثَ عَهْدٍ بِالْنَصْرَانِيَّةِ، فَقَدِمْتُ الْكُوفَةَ أُرِيدُ الْحَجَّ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَأَهَلَّ سَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ وَزَيْدُ بْنُ صُوحَانَ بِالْحَجِّ وَحْدَهُ، وَأَهَلَّ الضَّبِّيُّ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، فَقَالَ: وَيْحَكَ تَمَتَّعْتَ، وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمُتْعَةِ، فَقَالَا لَهُ: وَاللَّهِ لَأَنْتَ أَضَلُّ مِنْ بَعِيرِكَ، قَالَ: نَقْدُمُ عَلَى عُمَرَ وَتَقْدُمُونَ، فَلَمَّا قَدِمَ الضَّبِّيُّ مَكَّةَ طَافَ بِالْبَيْتِ، وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِعُمْرَتِهِ، ثُمَّ رَجَعَ حَرَامًا لَمْ يَحْلُلْ مِنْ شَيْءٍ، ثُمَّ طَافَ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِحَجِّهِ، ثُمَّ أَقَامَ حَرَامًا لَمْ يَحْلُلْ مِنْهُ حَتَّى أَتَى عَرَفَاتٍ، وَفَرَغَ مِنْ حَجَّتِهِ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ حَلَّ فَأَهْرَقَ دَمًا لِمُتْعَتِهِ، فَلَمَّا صَدَرُوا مِنْ حَجِّهِمْ مَرُّوا بِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ لَهُ زَيْدُ بْنُ صُوحَانَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّكَ نَهَيْتَ عَنِ الْمُتْعَةِ، وَإِنَّ الضَّبِّيَّ بْنَ مَعْبَدٍ قَدْ تَمَتَّعَ، قَالَ: صَنَعْتَ مَاذَا يَا ضَبِّيُّ؟ قَالَ: أَهْلَلْتُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، فَلَمَّا قَدِمْتُ مَكَّةَ طُفْتُ بِالْبَيْتِ وَطُفْتُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِعُمْرَتِي، ثُمَّ رَجَعْتُ حَرَامًا لَمْ أَحْلُلْ مِنْ شَيْءٍ، ثُمَّ طُفْتُ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِحَجَّتِي، ثُمَّ أَقَمْتُ حَرَامًا حَتَّى كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ، فَأَهْرَقْتُ دَمًا لِمُتْعَتِي، ثُمَّ أَحْلَلْتُ، قَالَ: فَضَرَبَ عُمَرُ عَلَى ظَهْرِهِ، وَقَالَ: «هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَفِي رِوَايَةٍ عَنِ الضَّبِّيِّ، قَالَ: خَرَجَ هُوَ وَسَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ وَزَيْدُ بْنُ صُوحَانَ يُرِيدُونَ الْحَجَّ، قَالَ: فَأَمَّا الضَّبِّيُّ فَقَرَنَ الْحَجَّةَ وَالْعُمْرَةَ جَمِيعًا، وَأَمَّا سَلْمَانُ وَزَيْدٌ فَأَفْرَدُوا الْحَجَّ، ثُمَّ أَقْبَلَا عَلَى الضَّبِّيِّ يَلُومَانِهُ فِيمَا صَنَعَ، ثُمَّ قَالَا لَهُ: أَنْتَ أَضَلُّ مِنْ بَعِيرِكَ، تَقْرِنُ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، وَقَدْ نَهَى أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَنِ الْعُمْرَةِ وَالْحَجِّ، قَالَ: تَقْدُمُونَ عَلَى عُمَرَ وَأَقْدُمُ، فَمَضَوْا حَتَّى دَخَلُوا مَكَّةَ، فَطَافَ بِالْبَيْتِ لِعُمْرَتِهِ، وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوةِ لِعُمْرَتِهِ، ثُمَّ عَادَ وَطَافَ بِالْبَيْتِ لِحَجَّتِهِ، ثُمَّ سَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ أَقَامَ كَمَا هُوَ لَمْ يَحِلَّ لَهُ شَيْءٌ حَرَامٌ عَلَيْهِ، حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ ذَبَحَ مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ شَاةً، فَلَمَّا قَضَوْا نُسُكَهُمْ مَرُّوا بِالْمَدِينَةِ، فَدَخَلُوا عَلَى عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ لَهُ سَلْمَانُ وَزَيْدٌ: إِنَّ الضَّبِّيَّ قَرَنَ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، قَالَ: ثُمَّ صَنَعْتَ مَاذَا؟ قَالَ: لَمَّا قَدِمْتُ مَكَّةَ طُفْتُ طَوَافًا لِعُمْرَتِي، ثُمَّ سَعَيْتُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِعُمْرَتِي، ثُمَّ عُدْتُ فَطُفْتُ بِالْبَيْتِ لِحَجَّتِي، ثُمَّ سَعَيْتُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِحَجَّتِي، قَالَ: ثُمَّ صَنَعْتَ مَاذَا؟ قَالَ: أَقَمْتُ حَرَامًا لَمْ يَحِلَّ لِي شَيْءٌ حُرِّمَ عَلَيَّ، حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ ذَبَحْتُ مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ شَاةً، قَالَ: فَضَرَبَ عُمَرُ عَلَى كَتِفِهِ، ثُمَّ قَالَ: «هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

উপরোক্ত হাদীস দু'টি মাসয়ালা নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।তাই এগুলো ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। প্রথমত তিন প্রকার হজ্জ যথা ইফরাদ, তামাত্তু, এর মধ্যে কোনটি উত্তম? দ্বিতীয়ত কিরান হজ্জের নিয়্যতকারী দু’ তাওয়াফ এবং দু’সাঈ করবে, না এক তাওয়াফ এক সাঈ করবে?
প্রথমত তিন প্রকার হজ্জের মধ্যে হযরত আবূ হানীফা (র) কিরান হজ্জকে সর্বোত্তম মনে করেন, এরপর তামাত্তু' এবং এরপর ইফরাদ। ইমাম শাফিঈ ইমাম আহমদ ইফরাদ হজ্জকে উত্তম মনে করেন। ইমাম মালিক (র) তামাত্তু' হজ্জকে উত্তম মনে করেন। ইমাম সুফিয়ান সওরী, ইমাম ইসহাক এবং অনেক হাদীস বিশারদ ইমাম আবু হানীফার মতের সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। হযরত উমর (রা), হযরত আলী (রা), হযরত আয়েশা (রা), হযরত আবূ তালহা (রা), হযরত ইমরান ইবনে হুসায়ন (রা), হযরত সুরাকা ইবনে মালিক (রা), হযরত ইবনে উমর (রা), হযরত ইবনে আব্বাস (রা), হযরত বারা ইবনে আযিব (রা), উহুল মুমিনীন হযরত হাফসা (রা) থেকে এ ধরনের রিওয়ায়েত বর্ণিত আছে। সমস্ত ইমামের মতপার্থক্যের মূল বিষয়বস্তু হলো বিদায় হজ্জের ঘটনা। তাই বিদায় হজ্জে রাসূলুল্লাহ (সা) যে আমল করেছেন, ঐ আমলই উত্তম হবে।
ইমাম শাফিঈ (র) স্বীয় মাযহাবের স্বপক্ষের রিওয়ায়েত এবং কিয়াসের দ্বারা দলীল পেশ করেছেন। রিওয়ায়েতের মধ্যে হযরত জাবির (রা), হযরত ইবনে উমর (রা), হযরত ইবনে আব্বাস (রা) এবং হযরত আয়েশা (রা) বর্ণিত হাদীস রয়েছে। ইমাম নববী বিষয়টি প্রমাণের জন্য যথেষ্ট প্রয়াস চালিয়েছেন এবং বর্ণনাকারী প্রত্যেক সাহাবীর ফযীলত প্রমাণ করেছেন। এছাড়া খলীফাদের মধ্যে হযরত আবু বকর (রা), হযরত উমর (রা) এবং উসমান (রা) সর্বদা হজ্জে ইফরাদের উপর আমল করেছেন। অতঃপর উক্ত মতামতকে কিয়াসের মাধ্যমে আরো শক্তিশালী করেছেন। তা হলো এই যে, হজ্জে ইফরাদে দম নেই। পক্ষান্তরে কিরান ও তামাত্তু-এর মধ্যে দম রয়েছে যা এর ত্রুটি বা অসম্পূর্ণতার পরিচয় বহন করে।
ইমাম আবু হানীফা (র) বর্ণিত হাদীসের দ্বারা দলীল পেশ করে বলেন হযরত উমর (রা) সুবাঈ (রা)-কে হজ্জে কিরান আদায়ের দরুন তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং এটা সুন্নতে নববী বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। দ্বিতীয় শক্তিশালী দলীল হলো মুসলিম শরীফে হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা) হজ্জ এবং উমরা একত্রে আদায় করেছেন। ইনতিকাল পর্যন্ত তিনি এটা অব্যাহত রেখেছেন। এটা হারাম বা নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে কুরআন নাযিল হয়নি। তৃতীয়ত হযরত ইবনে উমর (রা) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা) বিদায় হজ্জে উমরার জন্য ইহরাম বেঁধেছেন এবং হজ্জের জন্যও ইহরাম বেঁধেছেন। চতুর্থত হযরত আয়েশা (রা) থেকে একই ধরনের বিওয়ায়েত বর্ণিত আছে। পঞ্চমত তাহাবী, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহয় উম্মে সালমা (রা) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করীম (সা) জীবনে চার উমরা আদায় করেন। এক উমরা হুদায়বিয়ায়, দ্বিতীয় উমরাতুল-কাযা যিলকাদ মাসে, তৃতীয় জি-রানা (جعرانة) থেকে এবং চতুর্থ উমরা বিদায় হচ্ছে। সুতরাং এই সমস্ত দলীল সুন্নতে নববীর দৃষ্টিকোণ থেকে হানাফী মাযহাবকে সঠিক প্রমাণিত করে। ষষ্ঠত পবিত্র কুরআনের আয়াত والعمرة لله (আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ্জ এবং উমরা আদায় কর)। হাকেম স্বীয় মুসতাদরাক (مستدرك) নামক গ্রন্থে বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী বর্ণনা করেন যে, কোন এক ব্যক্তি হযরত আলী (রা)-এর নিকট এই আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তখন তিনি বলেন: اتمام-এর পদ্ধতি বা নিয়ম হলো এই যে, হজ্জ ও উমরার জন্য ঘর থেকে ইহরাম বাঁধবে। অর্থাৎ কিরান হজ্জের নিয়্যত করবে। হযরত ইবনে মাসউদ (রা) থেকেও এরূপ বর্ণিত আছে। সুতরাং এটাই উত্তম যদি মানুষ এর উপর আমল করতে সক্ষম হয়। কেননা এতে অধিক কষ্ট এবং বায়তুল্লাহর মর্যাদাও রয়েছে। সুতরাং যখন পবিত্র কুরআনে কিরান হজ্জের উল্লেখ করা হয়েছে, তখন এটা অন্যান্য প্রকার হচ্ছের থেকে কেন উত্তম হবে না?
এরপর কিয়াসও এ মতের সমর্থন করে থাকে। কেননা কিরান হজ্জের অবস্থায় একত্রে দু'টি ইবাদত হয়ে থাকে যা সর্বদা এক ইবাদতের চেয়ে উত্তম। যেমন কেউ রোযা পালন করার সাথে সাথে ইতিকাফ আদায় করেন অথবা কেউ আল্লাহর রাস্তায় বের হয়েছেন এবং তাহাজ্জুদও আসায় করেছেন।
এবার শাফিঈ মাযহাবের যুক্তি ও দলীল পেশ করা যায়। শাফিঈ মাযহাবের পক্ষে যে সাহাবায়ে কিরামের রিওয়ায়েতে বর্ণনা করা হয়েছে, তাঁদের রিওয়ায়েত শাফিঈ মাযহাবের বিপরীত তথা হানাফী মাযহাবের পক্ষেই রয়েছে। অথচ এই সমস্ত হাদীসকে তাঁরা স্বীয় মাযহাবের পক্ষে শক্তিশালী দলীল মনে করেন। হযরত উমর (রা) এবং হযরত উসমান (রা)-এর পক্ষ থেকে তামাত্তু’ না করার জন্য কঠোর নিষেধ এর হাকীকত বা রহস্য হলো, স্বয়ং ইমাম মুসলিম আবূ মূসা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তামাত্তু' হজ্জের জন্য ফতওয়া দিতেন। এক ব্যক্তি তাঁকে হযরত উমর (রা)-এর উদ্ধৃতি দেন এবং এই ফতওয়া প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন । অধিকন্তু তিনি যখন নিজে হযরত উমর (রা)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করেন, তখন তিনি বলেনঃ আমি নিজে জানি যে, রাসূলুল্লাহ (সা) তামাত্তু' আদায় করেছেন এবং তাঁর সাহাবাগণও করেছেন। কিন্তু আমি এটা এজন্য ভাল মনে করি না যে, মানুষ ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যাবে এবং আরাফাতের দিকে গমন করার পূর্বে পর্যন্ত স্বীয় স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে; সেখানে গমনের সময় পানির ফোঁটা পড়তে থাকবে। তিরমিযী শরীফে মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে হারিস থেকে বর্ণিত আছে, একবার হযরত সাআদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস এবং দাহহাক ইবনে কায়েস (রা)-এর মধ্যে হজ্জে তামাত্তু' নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। দাহহাক ইবনে কায়েস বলেনঃ এটা কোন জাহিল করতে পারে। সাআদ বলেনঃ ভাই, এটা তুমি কি বল? দাহহাক বলেনঃ হযরত উমর (রা) এটা থেকে নিষেধ করেছেন। হযরত সাআদ (রা) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা) এরূপ করেছেন এবং আমরাও এরূপ করেছি।
এক ব্যক্তি হযরত ইবন উমর (রা)-এর নিকট তামাত্তু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি উত্তরে বলেনঃ তামাত্তু হজ্জ জায়েয আছে। প্রশ্নকারী বললেনঃ আপনার পিতা এটা থেকে নিষেধ করেছেন। তখন হযরত ইবনে উমর (রা) বলেনঃ যদি আমার পিতা এর থেকে নিষেধ করেন এবং রাসূলুল্লাহ (সা) তামাত্তু' হজ্জ করে থাকেন, তাহলে কার কথা অনুসরণযোগ্য হবে? প্রশ্নকারী বললেনঃ নবী করীম (সা)-এর কথা ও আমল অনুসরণযোগ্য হবে। ইমাম তিরমিয়ী এই হাদীসকে হাসান ও সহীহ বলেছেন। হযরত উসমান (রা) সম্পর্কে মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত আলী (রা) হযরত উসমান (রা)-কে স্মরণ করিয়ে দিলেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সাথে তামাত্তু' আদায় করেছেন এবং হযরত উসমান (রা) এটা অস্বীকার করেননি। এরপর হযরত আবূ বকর (রা) সম্পর্কে তিরমিযী তাউস থেকে, তিনি হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) তামাত্তু' হজ্জ করেছেন এবং হযরত আবূ বকর (রা), হযরত উমর (রা) ও হযরত উসমান (রা) তামাত্তু করেছেন। তবে সর্বপ্রথম হযরত মুআবিয়া (রা) এর বিরোধিতা করেছেন।
এবার তাঁদের কিয়াসের জওয়াব হলো এই যে, তামাত্তু ও কিরানের দম কিন্তু বাধ্যতামুলক নয় যে, এটা অপূর্ণতার জন্য আদায় করা হয়। দ্বিতীয়ত শাফিঈ মাযহাবও এটা স্বীকার করে যে, হযরত (সা) প্রথমত ইফরাদ করেছেন। এরপর উমরার জন্য ইহরাম বেঁধেছেন। এতে বুঝ যায়, তিনি হজ্জে কিরান আদায় করেছেন,এরদ্বারা রিওয়ায়েতের বিরোধিতার মূল উদ্দেশ্য প্রকাশ পেয়েছে যে, যারা ইফরাদ বলেছেন, তাঁরা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর প্রথম আমলের বর্ণনা করেছেন। যাঁরা কিরানের রিওয়ায়েত করেছেন, তাঁরা রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সর্বশেষ আমলের বর্ণনা দিয়েছেন। নীতি অনুযায়ী সর্বশেষ আমলই স্বীকৃত হয়ে থাকে। কেননা যে প্রকার ইফরাদ এরা প্রমাণ করতে চায় যা তামাত্তু এবং কিরানের বিপরীত; এটা কিভাবে হতে পারে যা হুযুর (সা) বলেছেন, অবশ্য এটা কিরানে পরিণত হয়েছে। কেননা হজ্জের ইহরাম বাঁধা, এরপর উমরার ইহরাম বাঁধা, এগুলোর বিভিন্ন আহকাম পালনের পূর্বে অথবা পরে উভয়ই কিরান হিসেবে গণ্য। সব দিক দিয়ে বিবেচনা করে কিরান উত্তম বলে বিবেক অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। কেননা তামাত্তু'র সময় হজ্জ মক্কী হয়ে থাকে। ইফরাদের সময় উমরা মক্কী হয়ে থাকে। কিরানের সময় হজ্জ ও উমরা উভয়ই মক্কী হয়ে থাকে। সুতরাং কিরান তামাত্তু' ও ইফরাদ থেকে উত্তম। এছাড়া কোন বিওয়ায়েতে রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে افردت বা تمتعت শব্দ বর্ণিত নেই; বরং قرنت শব্দ বর্ণিত আছে। সুতরাং এটা মেনে নিতে হবে যে, কুরআনের আয়াতে কিরানের দিকে ইঙ্গিত রয়েছে এবং সুন্নতে নববী ও সাহাবাদের বর্ণনা এর স্বপক্ষে রয়েছে।
দ্বিতীয় পার্থক্য হলো এই যে, শাফিঈ মাযহাব অনুযায়ী কিরানে তাওয়াফ ও সাঈ উভয়ই এক। হানাফী মাযহাবের দৃষ্টিতে তাওয়াফ দু'টি এবং সাঈ একটি। ইবনে সিরীন, হাসান, তাউস, যুহরী, মালিক এবং আহমদ (র) থেকে শাফিঈ মাযহারের সমর্থনে রিওয়ায়েত বর্ণিত আছে। মুজাহিদ, জাবির, ইবনে যায়দ, শুরায়হ, আলী ইবনে হুসাইন, যায়নুল আবেদীন, ইবরাহীম নখঈ এবং সুফিয়ান সওরী (র) থেকে হানাফী মাযহাবের স্বপক্ষে রিওয়ায়েত বর্ণিত আছে।
শাফিঈ মাযহাবের দলীলঃ (১) মুসলিম শরীফে হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা) এবং তাঁর সাহাবাগণ সাফা ও মারওয়ার মধ্যে একটি সাঈ করেছেন। (২) তিরমিযী শরীফে হযরত ইবনে উমর (রা) থেকে মরফূ' হাদীস বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি হজ্জ ও উমরার জন্য ইহরাম বাঁধে, তার জন্য এক তাওয়াফ ও একটি সাঈ যথেষ্ট যতক্ষণ পর্যন্ত না উভয় থেকে হালাল হবে।
হানাফী মাযহাবের দলীল: (১) হানাফী মাযহাবের প্রথম দলীল হযরত সুবাঈ ইবনে মা'বাদ (রা)-এর আমল থেকে দু'তাওয়াফ এবং দু' সাঈর প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া এর স্বপক্ষে হযরত উমর (রা)-এর সাক্ষ্য রয়েছে যে, এটা রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সুন্নত। (২) নাসাঈ সুনানে কুবরা (سنن كبرى) নামক গ্রন্থে ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হানাফীয়্যা থেকে রিওয়ায়েত বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে, আমি আমার পিতার সাথে তাওয়াফ করেছি, এ সময় তিনি হজ্জ ও উমরা একত্রে আদায় করেছেন। তিনি দু' তাওয়াফ ও দু’ সাঈর কথা বলেছেন এবং আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন যে, হযরত আলী (রা) এরূপ করেছেন। হযরত আলী (রা) তাঁদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) দু' তাওয়াফ ও দু' সাঈ আদায় করেছেন। (৩) আবু বকর ইবনে শায়বা যিয়াদা ইবনে মালিক থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) দু’ তাওয়াফ এবং দু' সাঈ আদায় করেছেন। (৪) হযরত আলী (রা) এবং হযরত ইবনে মাসউদ (রা) বলেন যে, কিরানে দু’ তাওয়াফ ও দু' সাঈ রয়েছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান