মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৭. হজ্ব - উমরার অধ্যায়

হাদীস নং: ২৫৪
রমযানে উমরার ফযীলত
হাদীস নং-২৫৪

হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ পবিত্র মাহে রমযানে উমরা আদায় করা হজ্জের সমান (সওয়াব পাওয়া যায়)।
عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «عُمْرَةٌ فِي رَمَضَانَ تَعْدِلُ حَجَّةً»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

উমরার ফযীলত সম্পর্কে অনেক হাদীস বর্ণিত আছে। কোন হাদীসে বর্ণিত আছেঃ العمرة الى العمرة كفارة لما بينهما (এক উমরা থেকে দ্বিতীয় উমরা পর্যন্ত যে গুনাহ হয়ে থাকে, উমরা এই গুনাহর জন্য কাফফারা হয়ে যায়)। মুয়াত্তা ইমাম মালিক নামক হাদীস গ্রন্থে হযরত আবূ বকর ইবনে আবদুর রহমান থেকে বর্ণিত আছে, একজন মহিলা আঁ হযরত (সা)-এর খেদমতে হাযির হয়ে আরয করল, আমি হজ্জের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি কিন্তু আমার উপর এমন এক অবাঞ্ছিত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যার ফলে হজ্জ আদায়ের ব্যাপারে অক্ষম হয়ে পড়েছি। তখন হুযূর (সা) বললেনঃ রমযান মাসে উমরা আদায় কর। কেননা রমযান মাসের উমরায় এক হজ্জের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। এই ঘোষণার মূল উদ্দেশ্য হলো এই যে, উমরা যদিও হজ্জ থেকে কম মর্যাদাসম্পন্ন মনে করা হয়, কিন্তু এতদসত্ত্বেও এটা একটা বরকতপূর্ণ ও নেক আমল। যদি পবিত্র মাহে রমযানে উমরা আদায় করা হয়, তা হলে উমরার ফযীলত এই পবিত্র মাসের ফযীলতের সাথে যুক্ত হয়ে আল্লাহর নিকট হজ্জের সমান সওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়। বস্তুত এই হাদীসে উমরা আদায়ের প্রতি অনুপ্রাণিত করা হয়েছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন