মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
৪. নামায অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮১
ঘরের মধ্যে নামায আদায় করার বিবরণ
১৮১। হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ ঘরের মধ্যে নামায আদায় কর এবং ঘরকে কবরস্থান বানিও না।
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَلُّوا فِي بُيُوتِكُمْ، وَلَا تَجْعَلُوهَا قُبُورًا»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
নবী করীম (সা) ঘরে নামায পড়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন। কোন কোন রিওয়ায়েতে আছে: اجعلوا من صلاتكم ، ولا تتخذوها قبورا অর্থাৎ "নামাযের কিছু অংশ ঘরের জন্য রাখ এবং ঘরকে কবরস্থান বানিও না।" জমহুর উলামায়ে কিরামের মত হলো এই যে, এ হাদীস সুন্নত ও নফল নামায সম্পর্কে, ফরযের জন্য নয়। অন্য হাদীসে বর্ণিত افضل الصلاة المرء فى بيته الا المكتوبة "পুরুষের জন্য ফরয ব্যতীত অধিক ফযীলত হল অন্য নামায ঘরে আদায় করা।" কেউ কেউ اجعلوا من صلاتكم হাদীসের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা ফরয নামাযের জন্যও মনে করে থাকেন। যেমন কারী আয়ায (র) দিয়েছেন, যারা মসজিদে আসে না, তারা ঘরে ফরয পড়ে থাকে। যেমন গোলাম, অসুস্থ এবং মহিলা। এরাও জামাআতে অংশগ্রহণ করতে পারে এবং তাদেরও ইকতিদা করার সুযোগ থাকতে পারে। তবে প্রথম মাযহাব হলো উত্তম।
ঘরের মধ্যে নামায না পড়ার কারণে ঘরকে হুযূর (সা) কবরস্থানের সাথে তুলনা করেছেন এ জন্যে যে, কবরস্থানে যেহেতু নামায পড়া হয় না, তাই নামায না পড়ার কারণে ঘরও কবরস্থানের মত হয়ে যায়। এই নির্দেশের মধ্যে আরো একটি রহস্য হলো এই যে, ঘরে নামায পড়ার কারণে মানুষ রিয়া ও প্রচারণা থেকে অনেকাংশে নিরাপদ থাকতে পারে। বস্তুত আল্লাহর নিকট ঐ সমস্ত ইবাদত পসন্দনীয়, যাতে কোন প্রকার রিয়া থাকে না। ঘরে নামায পড়ার ফলে ঐ ঘরে বরকত হয়ে থাকে, রহমতের ফিরিশতা নাযিল হন, শয়তান পলায়ন করে। মুসলিম শরীফে হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত আছে এবং এতে এই অংশটুকু অতিরিক্ত রয়েছে إن الشيطان ينفر من البيت الذي تقرأ فيه سورة البقرة অর্থাৎ “ঐ ঘর থেকে শয়তান, পলায়ন করে যেখানে সূরায়ে বাকারা পাঠ করা হয়। কোন কোন রিওয়ায়েতে আঁ হযরত (সা) থেকে এই হাদীসও বর্ণিত আছে যে, ঐ ঘর, যেখানে আল্লাহর যিকির করা হয় এবং যে ঘরে যিকির করা হয় না, উভয় ঘর জীবিত ও মৃত ব্যক্তির ন্যায়।
ঘরের মধ্যে নামায না পড়ার কারণে ঘরকে হুযূর (সা) কবরস্থানের সাথে তুলনা করেছেন এ জন্যে যে, কবরস্থানে যেহেতু নামায পড়া হয় না, তাই নামায না পড়ার কারণে ঘরও কবরস্থানের মত হয়ে যায়। এই নির্দেশের মধ্যে আরো একটি রহস্য হলো এই যে, ঘরে নামায পড়ার কারণে মানুষ রিয়া ও প্রচারণা থেকে অনেকাংশে নিরাপদ থাকতে পারে। বস্তুত আল্লাহর নিকট ঐ সমস্ত ইবাদত পসন্দনীয়, যাতে কোন প্রকার রিয়া থাকে না। ঘরে নামায পড়ার ফলে ঐ ঘরে বরকত হয়ে থাকে, রহমতের ফিরিশতা নাযিল হন, শয়তান পলায়ন করে। মুসলিম শরীফে হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত আছে এবং এতে এই অংশটুকু অতিরিক্ত রয়েছে إن الشيطان ينفر من البيت الذي تقرأ فيه سورة البقرة অর্থাৎ “ঐ ঘর থেকে শয়তান, পলায়ন করে যেখানে সূরায়ে বাকারা পাঠ করা হয়। কোন কোন রিওয়ায়েতে আঁ হযরত (সা) থেকে এই হাদীসও বর্ণিত আছে যে, ঐ ঘর, যেখানে আল্লাহর যিকির করা হয় এবং যে ঘরে যিকির করা হয় না, উভয় ঘর জীবিত ও মৃত ব্যক্তির ন্যায়।
