মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৪. নামায অধ্যায়

হাদীস নং: ১৫৯
বিতরের বর্ণনা
১৫৯। হযরত আবু মাসউদ আনসারী (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রথম রাতে, মধ্যরাতে এবং শেষরাতে বিতর নামায আদায় করেছেন, যাতে এ নামায আদায় করার জন্য। মুসলমানদের দীর্ঘ সময় হাতে থাকে। এর মধ্যে যে কোন এক সময় এই নামায আদায় করলেই চলবে। অবশ্য যে ব্যক্তির রাতে (তাহাজ্জুদের জন্য) জাগ্রত হওয়ার ব্যাপারে একান্ত ভরসা থাকে, তার জন্য শেষরাতে বিতর পড়া উচিত। কেননা তাহলে (এরূপ ব্যক্তির জন্য) শেষরাতে বিতর পড়া উত্তম।
অন্য এক রিওয়ায়েতে হয়রত উকবা ইবনে আমির (রাযিঃ) এবং হযরত আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনো প্রথম রাতে, কখনো মধ্যরাতে এবং কখনো শেষরাতে বিতর আদায় করতেন। যাতে এ বিষয়ে মুসলমানগণ স্বাধীন থাকে এবং যথেষ্ট সময় হাতে থাকে (যার ফলে এই তিনটি সময়ের যে কোন একটি সময়ে বিতর আদায় করা হলে তা সুন্নত অনুযায়ী আদায় হবে)।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: " أَوْتَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوَّلَ اللَّيْلِ، وَأَوْسَطَهُ، وَآخِرَهُ، لِكَيْ يَكُونَ وَاسِعًا عَلَى الْمُسْلِمِينَ، أَيَّ: ذَلِكَ أَخَذُوا بِهِ كَانَ صَوَابًا، غَيْرَ أَنَّهُ مَنْ طَمِعَ لِقِيَامِ اللَّيْلِ، فَلْيَجْعَلْ وِتْرَهُ فِي آخِرِ اللَّيْلِ، فَإِنَّ ذَلِكَ أَفْضَلُ "، وَفِي رِوَايَةٍ: عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، وَأَبِي مُوسَى رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّهُمَا قَالَا: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «يُوتِرُ أَحْيَانًا أَوَّلَ اللَّيْلِ، وَأَوْسَطَهُ، وَآخِرَهُ، لِيَكُونَ سَعَةً لِلْمُسْلِمِينَ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হুযূর (সা) স্বীয় আমলের দ্বারা বিতরের জন্য দীর্ঘ সময়ের সুযোগ করে দিয়েছেন, ফলে রাতের যে কোন অংশে তা আদায় করলে সুন্নতের অনুসরণ করা হবে। দ্বিতীয়তঃ শেষরাতে বিতর আদায় করার ফযীলত অধিক। কেননা সহীহ হাদীসসমূহে এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে : فإن قراءة القرآن في آخر الليل محضورة وهى فضل “শেষরাতের তিলাওয়াতে কুরআনের সময় ফিরিশতা হাযির হয়ে থাকেন এবং এটা অধিক ফযীলতের কারণ।”
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান