মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
৪. নামায অধ্যায়
হাদীস নং: ৯৪
নামায শুরু করার বর্ণনা
৯৪। হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, নবী (ﷺ) (নামায শুরু করার সময়) তাঁর উভয় হাত এতখানি উপরে উঠাতেন যে, তা কানের লতি বরাবর হয়ে যেত। অন্য এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, হযরত ওয়ায়েল (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-কে নামাযে প্রারম্ভে হাত উঠাতে দেখেছেন, তখন ঐ হাত তাঁর কানের লতি পর্যন্ত উঠে যেত।
عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ يُحَاذِي بِهِمَا شَحْمَةَ أُذُنَيْهِ» ، وَفِي رِوَايَةٍ: أَنَّهُ «كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا شَحْمَةَ أُذُنَيْهِ» .
وَفِي رِوَايَةٍ: عَنْ وَائِلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ «يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى يُحَاذِيَ شَحْمَةَ أُذُنَيْهِ»
وَفِي رِوَايَةٍ: عَنْ وَائِلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ «يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى يُحَاذِيَ شَحْمَةَ أُذُنَيْهِ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হুযুর (সা) কিভাবে নামায শুরু করতেন উপরে বর্ণিত হাদীসে এ মাসয়ালা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তা হলো এই যে, তিনি (তাহরীমার সময়) এভাবে হাত উঠাতেন যে, হাত তাঁর কাঁধ বরাবর উঠে যেত। কখনো এতখানি হাত উঠাতেন যে, তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলী কান বরাবর উঠে যেতে।
এ মাসয়ালায় নামাযের প্রারম্ভে হাত কাঁধ বরাবর উঠানো উত্তম, না কানের লতি পর্যন্ত উঠানো উত্তম এ বিষয়ে হানাফী এবং শাফিঈ মাযহাবের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। হানাফী মাযহাবে কানের লতি পর্যন্ত উঠানো উত্তম। তাঁরা উপরে বর্ণিত হাদীসসহ একই বিষয়ে যে সমস্ত সহীহ রিওয়ায়েত রয়েছে, তা দলীল হিসেবে পেশ করে থাকেন। শাফিঈ মাযহাবে কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠানো উত্তম। তাঁরা দলীল হিসেবে আবূ হুমাইদ সায়েদী (রা) বর্ণিত হাদীস অথবা ইবনে উমর (রা) বর্ণিত হাদীস পেশ করে থাকেন।
মূলত উভয় মাযহাবের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কেননা উভয় মত সম্পর্কে সহীহ হাদীস বিদ্যমান রয়েছে এবং এ হাদীসসমূহের মধ্যে সমন্বয় করা খুবই সহজ। যেমন একবার ইমাম শাফিঈ (রা) মিসর গমন করেন। এখানে লোকজন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন যে, এ সমস্ত হাদীসের মধ্যে কি সমন্বয় করার কোন সুযোগ আছে। তিনি বললেন : হ্যাঁ, এভাবে সমন্বয় করা যায় যে, হাতের তালু কাঁধের সামনে থাকবে, বৃদ্ধাঙ্গুলী কানের লভি বরাবর এবং অঙ্গুলীসমূহের শেষ অংশ কানের উপর অংশের বরাবর থাকবে। অবশ্য হানাফী মাযহাব এ সমন্বয় সমর্থন করেছে। হানাফী মাযহাবে ফাতহুল কাদীরের লেখক এটাই গ্রহণ করেছেন। উপরোক্ত হাদীসসমূহের মধ্যে এভাবে সমন্বয় করা যায় যে, হযরত (সা) কোন বিশেষ নির্ধারিত নিয়ম ব্যতীত কখনো কাঁধ পর্যন্ত, কখনো কানের লতি পর্যন্ত এবং কখনো কানের উপর মাথা বরাবর পর্যন্ত হাত উঠাতেন।
এ মাসয়ালায় নামাযের প্রারম্ভে হাত কাঁধ বরাবর উঠানো উত্তম, না কানের লতি পর্যন্ত উঠানো উত্তম এ বিষয়ে হানাফী এবং শাফিঈ মাযহাবের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। হানাফী মাযহাবে কানের লতি পর্যন্ত উঠানো উত্তম। তাঁরা উপরে বর্ণিত হাদীসসহ একই বিষয়ে যে সমস্ত সহীহ রিওয়ায়েত রয়েছে, তা দলীল হিসেবে পেশ করে থাকেন। শাফিঈ মাযহাবে কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠানো উত্তম। তাঁরা দলীল হিসেবে আবূ হুমাইদ সায়েদী (রা) বর্ণিত হাদীস অথবা ইবনে উমর (রা) বর্ণিত হাদীস পেশ করে থাকেন।
মূলত উভয় মাযহাবের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কেননা উভয় মত সম্পর্কে সহীহ হাদীস বিদ্যমান রয়েছে এবং এ হাদীসসমূহের মধ্যে সমন্বয় করা খুবই সহজ। যেমন একবার ইমাম শাফিঈ (রা) মিসর গমন করেন। এখানে লোকজন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন যে, এ সমস্ত হাদীসের মধ্যে কি সমন্বয় করার কোন সুযোগ আছে। তিনি বললেন : হ্যাঁ, এভাবে সমন্বয় করা যায় যে, হাতের তালু কাঁধের সামনে থাকবে, বৃদ্ধাঙ্গুলী কানের লভি বরাবর এবং অঙ্গুলীসমূহের শেষ অংশ কানের উপর অংশের বরাবর থাকবে। অবশ্য হানাফী মাযহাব এ সমন্বয় সমর্থন করেছে। হানাফী মাযহাবে ফাতহুল কাদীরের লেখক এটাই গ্রহণ করেছেন। উপরোক্ত হাদীসসমূহের মধ্যে এভাবে সমন্বয় করা যায় যে, হযরত (সা) কোন বিশেষ নির্ধারিত নিয়ম ব্যতীত কখনো কাঁধ পর্যন্ত, কখনো কানের লতি পর্যন্ত এবং কখনো কানের উপর মাথা বরাবর পর্যন্ত হাত উঠাতেন।


বর্ণনাকারী: