আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৮- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
হাদীস নং: ৫২০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৭
৩৬৩। আসরের ওয়াক্ত
৫২০। মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) .... সায়্যার ইবনে সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি ও আমার পিতা আবু বারযা আসলামী (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। আমার পিতা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফরয নামাযসমূহ কিভাবে আদায় করতেন? তিনি বললেন, আল-হাজীর, যাকে তোমরা আল-উলা বা যোহর বলে থাক, তা তিনি আদায় করতেন যখন সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ত। আর আসরের নামায এমন সময় আদায় করতেন যে, তারপর আমাদের কেউ মদীনার শেষ প্রান্তে তার ঘরে ফিরে যেতো সূর্য তখনও সতেজ থাকতো। মাগরিব সম্পর্কে তিনি কি বলেছিলেন তা আমি ভুলে গেছি। আর ইশার নামায যাকে তোমরা আতামা বলে থাক, তা তিনি বিলম্বে আদায় করা পছন্দ করতেন। আর তিনি ইশার নামাযের আগে নিদ্রা যাওয়া এবং পরে কথাবার্তা বলা অপছন্দ করতেন। তিনি ফজরের নামায এমন সময় সমাপ্ত করতেন যখন প্রত্যেকে তার পাশ্ববর্তী ব্যক্তিকে চিনতে পারত। এ নামাযে তিনি ষাট থেকে একশ’ আয়াত তিলাওয়াত করতেন।
باب وَقْتِ الْعَصْرِ
547 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَوْفٌ، عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلاَمَةَ، قَالَ: دَخَلْتُ أَنَا وَأَبِي عَلَى أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ، فَقَالَ لَهُ أَبِي: كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي المَكْتُوبَةَ؟ فَقَالَ: «كَانَ يُصَلِّي الهَجِيرَ، الَّتِي تَدْعُونَهَا الأُولَى، حِينَ تَدْحَضُ الشَّمْسُ، وَيُصَلِّي العَصْرَ، ثُمَّ يَرْجِعُ أَحَدُنَا إِلَى رَحْلِهِ فِي أَقْصَى المَدِينَةِ [ص:115]، وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ - وَنَسِيتُ مَا قَالَ فِي المَغْرِبِ - وَكَانَ يَسْتَحِبُّ أَنْ يُؤَخِّرَ العِشَاءَ، الَّتِي تَدْعُونَهَا العَتَمَةَ، وَكَانَ يَكْرَهُ النَّوْمَ قَبْلَهَا، وَالحَدِيثَ بَعْدَهَا، وَكَانَ يَنْفَتِلُ مِنْ صَلاَةِ الغَدَاةِ حِينَ يَعْرِفُ الرَّجُلُ جَلِيسَهُ، وَيَقْرَأُ بِالسِّتِّينَ إِلَى المِائَةِ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইশার নামায দেরি করে পড়া মুস্তাহাব। আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৬৭) অবশ্য মুসল্লিদের জন্য কষ্টকর হলে কিংবা মুসল্লি কম হওয়ার আশঙ্কা থাকলে শুরু ওয়াক্তে ইশার নামায পড়ায় কোন দোষ নেই। (বুখারী: ৫৩৮ ও ৫৪৩)
