আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
১০- নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৭৮
কূপ খনন করার সময় চাপা পড়ে মারা গেলে তার দিয়াত।
৬৭৮ । আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “পশুর আঘাতে দণ্ড নেই, কূপে পড়াতে দণ্ড নেই, খনিতে দণ্ড নেই এবং ভূগর্ভে প্রাপ্ত সম্পদের এক-পঞ্চমাংশ (যাকাত) আদায় করতে হবে।**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীসের উপর আমল করি। “জুবার” শব্দের অর্থ বৃথা অর্থাৎ কারো রক্তমূল্য বৃথা যাওয়া। 'আজমা' এমন জন্তুকে বলা হয়, যা চরে বেড়ানোর জন্য ছেড়ে দেয়া হয় এবং তা কোন ব্যক্তিকে আহত করে বা শিং দিয়ে খোঁচা মারে। কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে কূপ খনন বা খনিজদ্রব্য উত্তোলনের কাজে নিয়োগ করলে এবং সে তাতে চাপা পড়ে মারা গেলে এর কোন দিয়াত নেই। আর খনি থেকে সোনা, রূপা, সীসা, তামা বা লোহা যা পাওয়া যায়, তার এক-পঞ্চমাংশ (যাকাত) আদায় করতে হবে। ইমাম আবু হানীফা এবং অধিকাংশ হানাফী ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীসের উপর আমল করি। “জুবার” শব্দের অর্থ বৃথা অর্থাৎ কারো রক্তমূল্য বৃথা যাওয়া। 'আজমা' এমন জন্তুকে বলা হয়, যা চরে বেড়ানোর জন্য ছেড়ে দেয়া হয় এবং তা কোন ব্যক্তিকে আহত করে বা শিং দিয়ে খোঁচা মারে। কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে কূপ খনন বা খনিজদ্রব্য উত্তোলনের কাজে নিয়োগ করলে এবং সে তাতে চাপা পড়ে মারা গেলে এর কোন দিয়াত নেই। আর খনি থেকে সোনা, রূপা, সীসা, তামা বা লোহা যা পাওয়া যায়, তার এক-পঞ্চমাংশ (যাকাত) আদায় করতে হবে। ইমাম আবু হানীফা এবং অধিকাংশ হানাফী ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
بَابُ: الْبِئْرِ جُبَارٌ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، وَعَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «جَرْحُ الْعَجْمَاءِ جُبَارٌ، وَالْبِئْرُ جُبَارٌ، وَالْمَعْدِنُ جُبَارٌ، وَفِي الرِّكَازِ الْخُمْسُ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، وَالْجُبَارُ الْهَدَرُ، وَالْعَجْمَاءُ الدَّابَّةُ الْمُنْفَلِتَةُ تَجْرَحُ الإِنْسَانَ، أَوْ تَعْقِرُهُ، وَالْبِئْرُ وَالْمَعْدِنُ، الرَّجُلُ يَسْتَأْجِرُ الرَّجُلَ يَحْفُرُ لَهُ بِئْرًا وَمَعْدِنًا، فَيَسْقُطُ عَلَيْهِ، فَيَقْتُلَهُ، فَذَلِكَ هَدَرٌ، وَفِي الرِّكَازِ الْخُمْسُ، وَالرِّكَازُ مَا اسْتُخْرِجَ مِنَ الْمَعْدِنِ مِنْ ذَهَبٍ، أَوْ فِضَّةٍ، أَوْ رَصَاصٍ، أَوْ نُحَاسٍ، أَوْ حَدِيدٍ، أَوْ زَيْبَقٍ، فَفِيهِ الْخُمْسُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، وَالْجُبَارُ الْهَدَرُ، وَالْعَجْمَاءُ الدَّابَّةُ الْمُنْفَلِتَةُ تَجْرَحُ الإِنْسَانَ، أَوْ تَعْقِرُهُ، وَالْبِئْرُ وَالْمَعْدِنُ، الرَّجُلُ يَسْتَأْجِرُ الرَّجُلَ يَحْفُرُ لَهُ بِئْرًا وَمَعْدِنًا، فَيَسْقُطُ عَلَيْهِ، فَيَقْتُلَهُ، فَذَلِكَ هَدَرٌ، وَفِي الرِّكَازِ الْخُمْسُ، وَالرِّكَازُ مَا اسْتُخْرِجَ مِنَ الْمَعْدِنِ مِنْ ذَهَبٍ، أَوْ فِضَّةٍ، أَوْ رَصَاصٍ، أَوْ نُحَاسٍ، أَوْ حَدِيدٍ، أَوْ زَيْبَقٍ، فَفِيهِ الْخُمْسُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
