আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
২- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৪৩
নামাযের মধ্যে ভুল হয়ে গেলে।
১৪৩৷ নাফে (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ)-কে নামাযে ভুলকারী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কেউ তার নামাযের মধ্যে সন্দেহে পতিত হলে চিন্তা করে ঠিক করবে সে কতো রাকআত পড়েছে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই নীতি গ্রহণ করেছি। যখন কোন ব্যক্তি কিয়ামের জন্য দাঁড়িয়ে যায় এবং বসার অবস্থা পরিবর্তন হয়ে যায়, তখন দু'টি সাহু সিজদা করা তার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়। প্রতিটি ভুলের জন্য (তাশাহ্হুদের পর একদিকে) সালাম ফিরানোর পর দু'টি সাহু সিজদা করতে হবে, চাই নামায বেশী অথবা কম হোক অথবা শয়তান সন্দেহে লিপ্ত করে দিয়ে থাকুক যে, নামায তিন রাকআত পড়া হয়েছে না চার রাকআত । যদি কোন ব্যক্তি প্রথমবারের মতো এই সন্দেহে পতিত হয়, তবে সে গোটা নামাযই পুনর্বার পড়বে। কিন্তু যে ব্যক্তি প্রায়ই এ ধরনের সন্দেহে পতিত হয়, সে নিজের প্রবল ধারণার ভিত্তিতে কাজ করবে-যদি সে নিশ্চিত না থাকে। তবে তার অধিক চিন্তা-ভাবনায় লিপ্ত হওয়া ঠিক হবে না। কেননা শয়তান তাকে যে সংশয়ের মধ্যে ফেলে দেয়, তা থেকে সে কখনো নিস্তার পেতে পারে না। এ সম্পর্কে বহু সংখ্যক হাদীস রয়েছে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই নীতি গ্রহণ করেছি। যখন কোন ব্যক্তি কিয়ামের জন্য দাঁড়িয়ে যায় এবং বসার অবস্থা পরিবর্তন হয়ে যায়, তখন দু'টি সাহু সিজদা করা তার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়। প্রতিটি ভুলের জন্য (তাশাহ্হুদের পর একদিকে) সালাম ফিরানোর পর দু'টি সাহু সিজদা করতে হবে, চাই নামায বেশী অথবা কম হোক অথবা শয়তান সন্দেহে লিপ্ত করে দিয়ে থাকুক যে, নামায তিন রাকআত পড়া হয়েছে না চার রাকআত । যদি কোন ব্যক্তি প্রথমবারের মতো এই সন্দেহে পতিত হয়, তবে সে গোটা নামাযই পুনর্বার পড়বে। কিন্তু যে ব্যক্তি প্রায়ই এ ধরনের সন্দেহে পতিত হয়, সে নিজের প্রবল ধারণার ভিত্তিতে কাজ করবে-যদি সে নিশ্চিত না থাকে। তবে তার অধিক চিন্তা-ভাবনায় লিপ্ত হওয়া ঠিক হবে না। কেননা শয়তান তাকে যে সংশয়ের মধ্যে ফেলে দেয়, তা থেকে সে কখনো নিস্তার পেতে পারে না। এ সম্পর্কে বহু সংখ্যক হাদীস রয়েছে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ إِذَا سُئِلَ عَنِ النِّسْيَانِ، قَالَ: «يَتَوَخَّى أَحَدُكُمُ الَّذِي يَظُنُّ أَنَّهُ نَسِيَ مِنْ صَلاتِهِ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، إِذَا نَاءَ لِلْقِيَامِ وَتَغَيَّرَتْ حَالُهُ عَنِ الْقُعُودِ وَجَبَ عَلَيْهِ لِذَلِكَ سَجْدَتَا السَّهْوِ.
وَكُلُّ سَهْوٍ وَجَبَتْ فِيهِ سَجْدَتَانِ مِنْ زِيَادَةٍ، أَوْ نُقْصَانِ فَسَجْدَتَا السَّهْوِ فِيهِ بَعْدُ التَّسْلِيمِ.
وَمَنْ أَدْخَلَ عَلَيْهِ الشَّيْطَانُ الشَّكَّ فِي صَلاتِهِ فَلَمْ يَدْرِ أَثَلاثًا صَلَّى أَمْ أَرْبَعًا، فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ أَوَّلَ مَا لَقِيَ تَكَلَّمَ وَاسْتَقْبَلَ صَلاتَهُ، وَإِنْ كَانَ يُبْتَلَى بِذَلِكَ كَثِيرًا مَضَى عَلَى أَكْثَرِ ظَنِّهِ وَرَأْيِهِ وَلَمْ يَمْضِ عَلَى الْيَقِينِ، فَإِنَّهُ إِنْ فَعَلَ ذَلِكَ لَمْ يَنْجُ فِيمَا يَرَى مِنَ السَّهْوِ الَّذِي يُدْخِلُ عَلَيْهِ الشَّيْطَانُ، وَفِي ذَلِكَ آثَارٌ كَثِيرَةٌ
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، إِذَا نَاءَ لِلْقِيَامِ وَتَغَيَّرَتْ حَالُهُ عَنِ الْقُعُودِ وَجَبَ عَلَيْهِ لِذَلِكَ سَجْدَتَا السَّهْوِ.
وَكُلُّ سَهْوٍ وَجَبَتْ فِيهِ سَجْدَتَانِ مِنْ زِيَادَةٍ، أَوْ نُقْصَانِ فَسَجْدَتَا السَّهْوِ فِيهِ بَعْدُ التَّسْلِيمِ.
وَمَنْ أَدْخَلَ عَلَيْهِ الشَّيْطَانُ الشَّكَّ فِي صَلاتِهِ فَلَمْ يَدْرِ أَثَلاثًا صَلَّى أَمْ أَرْبَعًا، فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ أَوَّلَ مَا لَقِيَ تَكَلَّمَ وَاسْتَقْبَلَ صَلاتَهُ، وَإِنْ كَانَ يُبْتَلَى بِذَلِكَ كَثِيرًا مَضَى عَلَى أَكْثَرِ ظَنِّهِ وَرَأْيِهِ وَلَمْ يَمْضِ عَلَى الْيَقِينِ، فَإِنَّهُ إِنْ فَعَلَ ذَلِكَ لَمْ يَنْجُ فِيمَا يَرَى مِنَ السَّهْوِ الَّذِي يُدْخِلُ عَلَيْهِ الشَّيْطَانُ، وَفِي ذَلِكَ آثَارٌ كَثِيرَةٌ
