শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
হাদীস নং: ৭২৭৪
আবুল কাসিম উপনাম রাখা শুদ্ধ কিনা?
৭২৭৪। ইউনুস (রাহঃ) ..... হামযা ইবন সুহায়ব (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা সুহায়ব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন উমর (রাযিঃ) আমাকে বললেন, হে সুহায়ব! তুমি একজন উত্তম ব্যক্তি যদি তোমার মধ্যে তিনটি জিনিস না থাকতো । আমি বললাম, হে আমীরুল মু'মিনীন! এ তিনটি জিনিস কি? তিনি বললেন, প্রথমত তোমাকে উপনামে ডাকা হয় অথচ তোমার কোন সন্তান নেই। দ্বিতীয়ত তুমি খাওয়া দাওয়ায় সীমালংঘন কর এবং তৃতীয়ত তুমি আরবী বলে পরিচিত অথচ তুমি আরবদের অন্তর্ভুক্ত নও। তখন আমি খলীফাকে বললাম, আপনি যে বলেছেন আমাকে উপনামে ডাকা হয় অথচ এ নামে আমার কোন সন্তান নেই, তা অবশ্য ঠিক কথা কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার উপনাম রেখেছেন আবু ইয়াহইয়া । আপনি যে বলেছেন, আমি আরবদের মধ্যে গণ্য হচ্ছি অথচ আমি আরবী নই, তার উত্তর হল এই যে, আমি নাসির ইবন কাসিত গোত্রের একজন সদস্য ৷ আমাদের গোত্রটি রোমের হলেও তারা তায়েফ থেকে আগত এ জন্য আমার পরিবার ও বংশ আরবী বলে গণ্য । আর আপনার কথা যে, আমার মধ্যে খাওয়া দাওয়া ও আহার্য প্রদানে সীমালংঘন রয়েছে, তার উত্তর হল এই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি হল, যে আহার্য প্রদান করে। হযরত উমায়র (রাযিঃ) সন্তান জন্ম নেয়ার পূর্বে সন্তানের উপনামে ডাকার কারণে সুহায়ব (রাযিঃ)-এর প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন । এতে বুঝা যায় যে, সাহাবা-ই কিরাম সকলে কিংবা তাদের অধিকাংশ তাদের সন্তান হওয়ার পূর্বে নিজেদেরকে উপনামে ডাকতে দিতেন না, সন্তান হওয়ার পর তারা তাদের সন্তানের কারণে উপনামে ভূষিত হতেন। এই আনসারী সাহাবীর পুত্র সন্তান জন্ম নেয়ায় তিনি তার নাম রাখেন আল-কাসিম।
তাই তাঁর উপনাম হবে আবুল কাসিম। কিন্তু আনসারগণ তা তার জন্যে পসন্দ করলেন না। কেননা তিনি এই উপনামে ভূষিত হওয়ার জন্যেই সন্তানের নাম রেখেছিলেন কাসিম। আনসারগণ তা মেনে নিতে অস্বীকার করলেন এবং তার জন্যে এটা তারা অপসন্দ করলেন। অন্য দিকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের এ কাজকে পসন্দ করলেন এবং এজন্যে তাদের প্রশংসা করলেন নিম্নে আরো একটি অনুরূপ বর্ণনা উপস্থাপন করা হল:
তাই তাঁর উপনাম হবে আবুল কাসিম। কিন্তু আনসারগণ তা তার জন্যে পসন্দ করলেন না। কেননা তিনি এই উপনামে ভূষিত হওয়ার জন্যেই সন্তানের নাম রেখেছিলেন কাসিম। আনসারগণ তা মেনে নিতে অস্বীকার করলেন এবং তার জন্যে এটা তারা অপসন্দ করলেন। অন্য দিকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের এ কাজকে পসন্দ করলেন এবং এজন্যে তাদের প্রশংসা করলেন নিম্নে আরো একটি অনুরূপ বর্ণনা উপস্থাপন করা হল:
7274 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ حَمْزَةَ بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ صُهَيْبٍ قَالَ: قَالَ لِي عُمَرُ: «نِعْمَ الرَّجُلُ أَنْتَ يَا صُهَيْبُ لَوْلَا خِصَالٌ فِيكَ ثَلَاثٌ» . قُلْتُ: وَمَا هِيَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: «تَكَنَّيْتَ وَلَمْ يُولَدْ لَكَ , وَفِيكَ سَرَفٌ فِي الطَّعَامِ , وَانْتَمَيْتَ إِلَى الْعَرَبِ , وَلَسْتَ مِنْهُمْ» . قُلْتُ: " أَمَّا قَوْلُكَ: تَكَنَّيْتَ وَلَمْ يُولَدْ لَكَ فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَنَّانِي أَبَا يَحْيَى. وَأَمَّا قَوْلُكَ: انْتَمَيْتَ إِلَى الْعَرَبِ وَلَسْتَ مِنْهُمْ فَإِنِّي رَجُلٌ مِنْ بَنِي النَّمِرِ بْنِ قَاسِطٍ , سَبَتْنَا الرُّومُ مِنَ الطَّائِفِ , بَعْدَمَا عَقَلْتُ أَهْلِي وَنَسَبِي. وَأَمَّا قَوْلُكَ فِيكَ سَرَفٌ فِي الطَّعَامِ فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ خِيَارُكُمْ مَنْ أَطْعَمَ الطَّعَامَ " فَهَذَا عُمَرُ قَدْ أَنْكَرَ عَلَى صُهَيْبٍ أَنْ يَتَكَنَّى قَبْلَ أَنْ يُولَدَ لَهُ , فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّهُمْ , أَوْ أَكْثَرَهُمْ , كَانُوا لَا يَتَكَنَّوْنَ , حَتَّى يُولَدَ لَهُمْ , فَيَكْتَنُونَ بِأَبْنَائِهِمْ. فَلَمَّا وُلِدَ لِذَلِكَ الْأَنْصَارِيِّ ابْنٌ , فَسَمَّى الْقَاسِمَ , أَنْكَرَتِ الْأَنْصَارُ ذَلِكَ عَلَيْهِ , لِأَنَّهُ إِنَّمَا سَمَّى بِهِ , لِيُكْنَى بِهِ، فَأَبَوْا ذَلِكَ وَأَنْكَرُوهُ عَلَيْهِ , فَأَثْنَى عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِذَلِكَ
وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا مَا
وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا مَا
