শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
হাদীস নং: ৭২৭৩
আবুল কাসিম উপনাম রাখা শুদ্ধ কিনা?
৭২৭৩। ইউনুস (রাহঃ) ..... জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একবার আমাদের এক ব্যক্তির একটি সন্তান হলো। সে তার নাম রাখলো আল-কাসিম। আমরা তাকে বললাম, তোমাকে আমরা আবুল কাসিম উপনামে ডাকব না। আর তোমার চোখে প্রশান্তি দান করব না। সে তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে আগমন করল এবং তাঁর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করল । রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমার ছেলের নাম রেখো আব্দুর রহমান।
আনসারগণ এ লোকটিকে কটু দৃষ্টিতে দেখলেন। কেননা সে তার ছেলের নাম রেখেছিল আল-কাসিম যাতে তাকে আবুল কাসিম উপনামে ডাকা হয়। তারা শুধু এরূপ উপনাম রাখাকে অপসন্দ করলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে খারাপ মনে করলেন না যখন তাঁর কাছে এ সংবাদটি পৌছেছিল। এ হাদীসের দ্বারা বুঝা যায়, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর উপনাম গ্রহণে নিষেধ করেছিলেন, এ উপনামের সাথে মুহাম্মাদ নাম রাখা হোক কিংবা না রাখা হোক তাতে কিছু আসে যায় না। কেউ যদি বলেন, এ হাদীসের আল-কাসিম বলে নাম রাখা যে দূষণীয় তা কেমন করে বুঝা যায়? উত্তরে তাকে বলা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উপনামে উপনাম রাখা যে দূষণীয়, তা বুঝা যায় তুমি রাসূল (ﷺ)-এর যে বাণী উল্লেখ করেছ, তারই মাধ্যমে । আর তা হলো শুধু আমিই কাসিম বা বন্টনকারী । আমি তোমাদের মাঝে বণ্টন করে থাকি। আবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উপনাম গ্রহণ করা যে দূষণীয়, তা এ জন্যও হতে পারে যে, তারা ছেলেদের নামে পিতাদের উপনাম রাখতো আর তাদের অধিকাংশেরই সন্তান জন্ম নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত কোন উপনামে ডাকা হতো না। সন্তান জন্ম নিলে সন্তানের নাম অনুযায়ী পিতাকে উক্ত উপনামে ডাকা হতো । এ তথ্যটির দলীল নিম্নরূপ:
আনসারগণ এ লোকটিকে কটু দৃষ্টিতে দেখলেন। কেননা সে তার ছেলের নাম রেখেছিল আল-কাসিম যাতে তাকে আবুল কাসিম উপনামে ডাকা হয়। তারা শুধু এরূপ উপনাম রাখাকে অপসন্দ করলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে খারাপ মনে করলেন না যখন তাঁর কাছে এ সংবাদটি পৌছেছিল। এ হাদীসের দ্বারা বুঝা যায়, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর উপনাম গ্রহণে নিষেধ করেছিলেন, এ উপনামের সাথে মুহাম্মাদ নাম রাখা হোক কিংবা না রাখা হোক তাতে কিছু আসে যায় না। কেউ যদি বলেন, এ হাদীসের আল-কাসিম বলে নাম রাখা যে দূষণীয় তা কেমন করে বুঝা যায়? উত্তরে তাকে বলা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উপনামে উপনাম রাখা যে দূষণীয়, তা বুঝা যায় তুমি রাসূল (ﷺ)-এর যে বাণী উল্লেখ করেছ, তারই মাধ্যমে । আর তা হলো শুধু আমিই কাসিম বা বন্টনকারী । আমি তোমাদের মাঝে বণ্টন করে থাকি। আবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উপনাম গ্রহণ করা যে দূষণীয়, তা এ জন্যও হতে পারে যে, তারা ছেলেদের নামে পিতাদের উপনাম রাখতো আর তাদের অধিকাংশেরই সন্তান জন্ম নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত কোন উপনামে ডাকা হতো না। সন্তান জন্ম নিলে সন্তানের নাম অনুযায়ী পিতাকে উক্ত উপনামে ডাকা হতো । এ তথ্যটির দলীল নিম্নরূপ:
7273 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ [ص:340] سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يَقُولُ: وُلِدَ لِرَجُلٍ مِنَّا غُلَامٌ , فَسَمَّاهُ الْقَاسِمَ، فَقَالَ: لَا نُكَنِّيكَ أَبَا الْقَاسِمِ , وَلَا نُنَعِّمُكَ عَيْنًا. فَأَتَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذُكِرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ: «سَمِّ ابْنَكَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ» فَهَذِهِ الْأَنْصَارُ قَدْ أَنْكَرَتْ عَلَى هَذَا الرَّجُلِ أَنْ يُسَمِّيَ ابْنَهُ الْقَاسِمَ , لِئَلَّا يُكْتَنَى بِهِ , وَقَصَدُوا بِالْكَرَاهَةِ فِي ذَلِكَ إِلَى الْكُنْيَةِ خَاصَّةً. ثُمَّ لَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ , رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا بَلَغَهُ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ نَهْيَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ التَّكَنِّي بِكُنْيَتِهِ , يَتَسَمَّى مَعَ ذَلِكَ بِاسْمِهِ , وَلَمْ يَتَسَمَّ بِهِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ مَا يَدُلُّ عَلَى كَرَاهَةِ التَّسَمِّي بِالْقَاسِمِ. قِيلَ لَهُ: قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ مَكْرُوهًا , كَمَا ذَكَرْتَ , لِقَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ بَيْنَكُمْ» . وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ كَرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّهُمْ كَانُوا يُكَنُّونَ الْآبَاءَ بِأَسْمَاءِ الْأَبْنَاءِ , وَقَدْ كَانَ أَكْثَرُهُمْ لَا يُكْتَنَى حَتَّى يُولَدَ لَهُ , فَيُكْتَنَى بِاسْمِ ابْنِهِ. وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ
