শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
হাদীস নং: ৭২৭২
আবুল কাসিম উপনাম রাখা শুদ্ধ কিনা?
৭২৭২। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার নাম গ্রহণ করে সে যেন আমার উপনাম গ্রহণ না করে। আবার যে ব্যক্তি আমার উপনাম গ্রহণ করে সে যেন আমার নাম গ্রহণ না করে।
উলামা-ই কিরাম বলেন, এ হাদীসগুলোর দ্বারা প্রমানিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা নিষেধ করেছেন তাহলো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নাম ও উপনামের মধ্যে সংমিশ্রণ। আর জাবির (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে রয়েছে যে, যদি তার নামে নাম রাখা না হয়, তাহলে তার উপনামে উপনাম রাখা মুবাহ্।
সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে অন্য পক্ষের যে দলীলটি উল্লেখ করা হল, তাতে সম্ভবনা রয়েছে যে, বারা (রাযিঃ), আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও জাবির (রাহঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে নিষেধ করেছেন, তা হলো তাঁর নাম ও উপনামের সংমিশ্রণ। আর যে কোন একটি রাখা হলো মুবাহ্। অতঃপর তাঁর উপনাম গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর এ নিষেধটি হলো পূর্বেকার নিষেধের অতিরিক্ত।
যদি কেউ বলেন, তুমি যা বলেছ অর্থাৎ প্রথমত নাম ও উপনামের সংমিশ্রণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরে উপনাম গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে, এ কথা থেকে উত্তম হল যে, প্রথমত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উপনাম গ্রহণ নিষিদ্ধ হয়েছিল, পরে নাম ও উপনামের মধ্যে সংমিশ্রণ নিষিদ্ধ হয়েছিল । অথচ এ নিষেধাজ্ঞার পূর্বে কোন একটি ছিল মুবাহ্।
উত্তরে তাকে বলা যায় : উপনাম গ্রহণ সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীস ও আমাদের উল্লেখিত অন্যান্যদের বর্ণিত হাদীসে যে নিষেধাজ্ঞা বর্ণনা করা হয়েছে, তা দু'টি অবস্থার কোন একটি থেকে খালি নয়। তা হলো নিষেধাজ্ঞাটি নাম ও উপনাম সংমিশ্রণের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু থেকে পূর্বে হবে কিংবা পরে হবে। যদি পরে হয়ে থাকে তাহলে তা হবে পূর্বেটির অতিরিক্ত ও তার জন্যে হুকুম অরহিতকারী।
আর যদি পূর্বে হয়ে থাকে, তাহলে তা হবে সাবিত বা সুদৃঢ়। অতঃপর এটাকে বর্ণনা করা হয়েছে এবং এটার হুকুম রহিত করা হয়েছে। যখন উপনাম নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি লক্ষ্যবস্তু হিসেবে তার সুদৃঢ়তা পরিদৃষ্ট হওয়ার পর হুকুম রহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তখন এটা আমাদের কাছে পূর্বের মূলে প্রতিষ্ঠিত বলে বিবেচিত হবে এবং তার হুকুম রহিত বলে গণ্য হবে না যতক্ষণ না আমরা সুনিশ্চিতভাবে জানতে পারি যে, তার হুকুম রহিত হয়েছে। আর এটাই হাদীসসমূহের পর্যালোচনার মাধ্যমে এ অনুচ্ছেদের গবেষণার ফলাফল। যুক্তির আলোচনার সূত্রপাত হল নিম্নরূপ:
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, ফিরিশতাদের নামে কারো নাম রাখা এবং আমাদের নবী (ﷺ) ব্যতীত অন্যান্য নবীদের নামে কারো নাম রাখার, উপনামে উপনাম রাখা এবং নাম ও উপনামের সংমিশ্রণের মধ্যে কোন ক্ষতি নেই। এমনকি আমাদের নবী (ﷺ)-এর নামে নাম রাখার মধ্যেও কোন ক্ষতি নেই। সুতরাং যুক্তির দাবি এই যে, তাঁর উপনাম গ্রহণ এবং তাঁর নাম ও উপনামের সংমিশ্রণেও কোন ক্ষতি নেই।
এ অনুচ্ছেদে গবেষণার ফলাফল এটাই। তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে যা প্রমাণিত, তার অনুকরণ ও অনুসরণ করা উত্তম। এ সম্পূর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে একটি বর্ণনাও পাওয়া যায়:
উলামা-ই কিরাম বলেন, এ হাদীসগুলোর দ্বারা প্রমানিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা নিষেধ করেছেন তাহলো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নাম ও উপনামের মধ্যে সংমিশ্রণ। আর জাবির (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে রয়েছে যে, যদি তার নামে নাম রাখা না হয়, তাহলে তার উপনামে উপনাম রাখা মুবাহ্।
সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে অন্য পক্ষের যে দলীলটি উল্লেখ করা হল, তাতে সম্ভবনা রয়েছে যে, বারা (রাযিঃ), আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও জাবির (রাহঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে নিষেধ করেছেন, তা হলো তাঁর নাম ও উপনামের সংমিশ্রণ। আর যে কোন একটি রাখা হলো মুবাহ্। অতঃপর তাঁর উপনাম গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর এ নিষেধটি হলো পূর্বেকার নিষেধের অতিরিক্ত।
যদি কেউ বলেন, তুমি যা বলেছ অর্থাৎ প্রথমত নাম ও উপনামের সংমিশ্রণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরে উপনাম গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে, এ কথা থেকে উত্তম হল যে, প্রথমত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উপনাম গ্রহণ নিষিদ্ধ হয়েছিল, পরে নাম ও উপনামের মধ্যে সংমিশ্রণ নিষিদ্ধ হয়েছিল । অথচ এ নিষেধাজ্ঞার পূর্বে কোন একটি ছিল মুবাহ্।
উত্তরে তাকে বলা যায় : উপনাম গ্রহণ সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীস ও আমাদের উল্লেখিত অন্যান্যদের বর্ণিত হাদীসে যে নিষেধাজ্ঞা বর্ণনা করা হয়েছে, তা দু'টি অবস্থার কোন একটি থেকে খালি নয়। তা হলো নিষেধাজ্ঞাটি নাম ও উপনাম সংমিশ্রণের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু থেকে পূর্বে হবে কিংবা পরে হবে। যদি পরে হয়ে থাকে তাহলে তা হবে পূর্বেটির অতিরিক্ত ও তার জন্যে হুকুম অরহিতকারী।
আর যদি পূর্বে হয়ে থাকে, তাহলে তা হবে সাবিত বা সুদৃঢ়। অতঃপর এটাকে বর্ণনা করা হয়েছে এবং এটার হুকুম রহিত করা হয়েছে। যখন উপনাম নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি লক্ষ্যবস্তু হিসেবে তার সুদৃঢ়তা পরিদৃষ্ট হওয়ার পর হুকুম রহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তখন এটা আমাদের কাছে পূর্বের মূলে প্রতিষ্ঠিত বলে বিবেচিত হবে এবং তার হুকুম রহিত বলে গণ্য হবে না যতক্ষণ না আমরা সুনিশ্চিতভাবে জানতে পারি যে, তার হুকুম রহিত হয়েছে। আর এটাই হাদীসসমূহের পর্যালোচনার মাধ্যমে এ অনুচ্ছেদের গবেষণার ফলাফল। যুক্তির আলোচনার সূত্রপাত হল নিম্নরূপ:
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, ফিরিশতাদের নামে কারো নাম রাখা এবং আমাদের নবী (ﷺ) ব্যতীত অন্যান্য নবীদের নামে কারো নাম রাখার, উপনামে উপনাম রাখা এবং নাম ও উপনামের সংমিশ্রণের মধ্যে কোন ক্ষতি নেই। এমনকি আমাদের নবী (ﷺ)-এর নামে নাম রাখার মধ্যেও কোন ক্ষতি নেই। সুতরাং যুক্তির দাবি এই যে, তাঁর উপনাম গ্রহণ এবং তাঁর নাম ও উপনামের সংমিশ্রণেও কোন ক্ষতি নেই।
এ অনুচ্ছেদে গবেষণার ফলাফল এটাই। তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে যা প্রমাণিত, তার অনুকরণ ও অনুসরণ করা উত্তম। এ সম্পূর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে একটি বর্ণনাও পাওয়া যায়:
7272 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْأَزْدِيُّ، قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللهِ، قَالَ: ثنا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَسَمَّى بِاسْمِي , فَلَا يَكْتَنِ بِكُنْيَتِي , وَمَنِ اكْتَنَى بِكُنْيَتِي , فَلَا يَتَسَمَّ بِاسْمِي» قَالُوا: فَثَبَتَ بِهَذِهِ الْآثَارِ أَنَّ مَا نَهَى عَنْهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ هُوَ الْجَمْعُ بَيْنَ كُنْيَتِهِ مَعَ اسْمِهِ. وَفِي حَدِيثِ جَابِرٍ إِبَاحَةُ التَّكَنِّي بِكُنْيَتِهِ , إِذَا لَمْ يَتَسَمَّ مَعَهَا بِاسْمِهِ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُخْرَى أَنَّهُ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَصَدَ بِنَهْيِهِ ذَلِكَ الْمَذْكُورِ فِي حَدِيثِ الْبَرَاءِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَجَابِرٍ إِلَى الْجَمْعِ بَيْنَ الْكُنْيَةِ وَالِاسْمِ , وَأَبَاحَ إِفْرَادَ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا , ثُمَّ نَهَى بَعْدَ ذَلِكَ عَنِ التَّكَنِّي بِكُنْيَتِهِ , فَكَانَ ذَلِكَ زِيَادَةً فِيمَا كَانَ تَقَدَّمَ مِنْ نَهْيِهِ فِي ذَلِكَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَمَا جَعَلَ مَا قُلْتَ أَوْلَى مِنْ أَنْ يَكُونَ نَهَى عَنِ التَّكَنِّي بِكُنْيَتِهِ , ثُمَّ نَهَى عَنِ الْجَمْعِ بَيْنَ اسْمِهِ وَكُنْيَتِهِ , وَكَانَ ذَلِكَ إِبَاحَةً لِبَعْضِ مَا كَانَ وَقَعَ عَلَيْهِ نَهْيُهُ قَبْلَ ذَلِكَ؟ . قِيلَ لَهُ لِأَنَّ نَهْيَهُ عَنِ التَّكَنِّي بِكُنْيَتِهِ فِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ فِيمَا ذَكَرْنَا مَعَهُ مِنَ الْآثَارِ , لَا يَخْلُو مِنْ أَحَدِ وَجْهَيْنِ. إِمَّا أَنْ يَكُونَ مُتَقَدِّمًا لِلْمَقْصُودِ فِيهِ إِلَى الْجَمْعِ بَيْنَ الِاسْمِ وَالْكُنْيَةِ أَوْ مُتَأَخِّرًا عَنْ ذَلِكَ. فَإِنْ كَانَ مُتَأَخِّرًا عَنْهُ , فَهُوَ زَائِدٌ عَلَيْهِ , غَيْرُ نَاسِخٍ لَهُ , وَإِنْ كَانَ مُتَقَدِّمًا لَهُ , فَقَدْ كَانَ ثَابِتًا ثُمَّ رُوِيَ هَذَا بَعْدَهُ فَنَسَخَهُ. فَلَمَّا احْتَمَلَ مَا قُصِدَ فِيهِ إِلَى النَّهْيِ عَنِ الْكُنْيَةِ أَنْ يَكُونَ مَنْسُوخًا , بَعْدَ عِلْمِنَا بِثُبُوتِهِ كَانَ عِنْدَنَا عَلَى أَصْلِهِ الْمُتَقَدِّمِ , وَعَلَى أَنَّهُ غَيْرُ مَنْسُوخٍ , حَتَّى نَعْلَمَ يَقِينًا أَنَّهُ مَنْسُوخٌ. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ , مِنْ طَرِيقِ مَعَانِي الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَقَدْ رَأَيْنَا الْمَلَائِكَةَ , لَا بَأْسَ أَنْ يَتَسَمَّوْا بِأَسْمَائِهِمْ , وَكَذَلِكَ سَائِرُ أَنْبِيَاءِ اللهِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ , غَيْرِ نَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَا بَأْسَ أَنْ يُتَسَمَّى بِأَسْمَائِهِمْ , وَيُكْنَى بِكُنَاهُمْ , وَيُجْمَعَ بَيْنَ اسْمِ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ وَكُنْيَتِهِ. فَهَذَا نَبِيُّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا بَأْسَ أَنْ يُتَسَمَّى بِاسْمِهِ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ لَا بَأْسَ أَنْ يُتَكَنَّى بِكُنْيَتِهِ , وَأَنْ لَا بَأْسَ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ اسْمِهِ وَكُنْيَتِهِ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ , غَيْرَ أَنَّ اتِّبَاعَ مَا قَدْ ثَبَتَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْلَى. فَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا
