শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা

হাদীস নং: ৭২৫১
আবুল কাসিম উপনাম রাখা শুদ্ধ কিনা?
৭২৫১। আবু উমাইয়া (রাহঃ) ..... আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যদি আমার একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে একে আমি আপনার নামে নাম রাখতে পারব এবং আপনার উপনামে তার উপনাম রাখতে পারব? তিনি উত্তরে বলেন, হ্যাঁ। বর্ণানাকারী বলেন, এটা ছিল হযরত আলী (রাযিঃ)-এর জন্য বিশেষ একটি অনুমতিমাত্র।
আবু জা'ফর তাহাবী রে) বলেন, একদল আলিমের মতে কোন ব্যক্তির জন্যে আবুল কাসিম উপনাম রাখা এবং তার সাথে মুহাম্মাদ নাম রাখায় কোন ক্ষতি নেই। তারা এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে যে হাদীস বর্ণিত আছে, তা দলীল হিসেবে পেশ করেন এবং বলেন, হাদীসে যে বিশেষ অনুমতির কথা উল্লেখ রয়েছে, তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে উল্লেখ নেই কিংবা আলী (রাযিঃ) থেকেও উল্লেখ নেই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বিশেষ অনুমতি দিয়েছিলেন; বরং আলী (রাযিঃ)-এর পরে কোন এক বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিত হয়েছে।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, বিশেষ অনুমতির ব্যাপারে তারা যা বলেছেন তাও হতে পারে এবং এটার বিপরীতও হতে পারে। উপরোক্ত অভিমতের বিপরীতে অভিমতের পক্ষে দলীল হল এই যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীদের যুগে একদল লোক ছিলেন যাদের নাম মুহাম্মাদ রাখা হয়েছিল এরং তাদের উপনাম আবুল কাসিম রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে মুহাম্মাদ ইবন তালহা, মুহাম্মাদ ইবনুল আশআস ও মুহাম্মাদ ইব্‌ন আবু হুযায়ফা (রাযিঃ)-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ।
প্রথম হাদীসে উল্লেখিত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর অনুমতিটি যদি আলী (রাযিঃ)-এর জন্য বিশেষভাবে প্রদান করা হতো তাহলে অন্যের জন্য এরূপ করা সংগত হতো না এবং আলী (রাযিঃ) এরূপ ব্যক্তিদের উপর অসন্তুষ্ট হতেন। আর অন্যান্য সাহাবায়ে কিরাম যারা তাঁর সময়ে উপস্থিত ছিলেন তাঁরাও তা অপসন্দ করতেন ও প্রতিহত করতেন । যারা এ অভিমত পেশ করেন যে, এটা হযরত আলী (রাযিঃ)-এর জন্য একটি বিশেষ অনুমতি ছিল, তারা উপরোক্ত হাদীসের পাশাপাশি অন্য একটি বর্ণনাও পেশ-করেন।
بَابُ التَّكَنِّي بِأَبِي الْقَاسِمِ هَلْ يَصِحُّ أَمْ لَا؟
7251 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ قَادِمٍ قَالَ: ثنا فِطْرٌ عَنْ مُنْذِرٍ الثَّوْرِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَنَفِيَّةِ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ , إِنْ وُلِدَ لِي ابْنٌ أُسَمِّيهِ بِاسْمِكَ , وَأُكَنِّيهِ بِكُنْيَتِكَ؟ قَالَ «نَعَمْ» . قَالَ: وَكَانَتْ رُخْصَةً مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَلِيٍّ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِأَنْ يُكْتَنَى الرَّجُلُ بِأَبِي الْقَاسِمِ , وَأَنْ يَتَسَمَّى مَعَ ذَلِكَ بِمُحَمَّدٍ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ. [ص:336] وَقَالُوا: أَمَّا مَا ذُكِرَ مِنْ أَنَّ ذَلِكَ رُخْصَةٌ , فَلَمْ يُذْكَرْ ذَلِكَ فِي الْحَدِيثِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا ذُكِرَ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ رُخْصَةً مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنَّمَا هُوَ قَوْلٌ مِمَّنْ بَعْدَ عَلِيٍّ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ عَلَى مَا قَالَ وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ. وَالدَّلِيلُ عَلَى أَنَّهُ خِلَافُ ذَلِكَ أَنَّهُ قَدْ كَانَ فِي زَمَنِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَاعَةٌ قَدْ كَانُوا مُسَمَّيْنَ بِمُحَمَّدٍ مُتَكَنِّينَ بِأَبِي الْقَاسِمِ , مِنْهُمْ مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْأَشْعَثِ وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حُذَيْفَةَ. فَلَوْ كَانَ مَا أَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ خَاصًّا , إِذًا , لَمَا سَوَّغَهُ غَيْرُهُ , وَلَأَنْكَرَهُ عَلَى فَاعِلِهِ , وَأَنْكَرَهُ مَعَهُ مَنْ كَانَ بِحَضْرَتِهِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى أَنَّ ذَلِكَ كَانَ خَاصًّا لِعَلِيٍّ: قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى مَا قُلْنَا. فَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৭২৫১ | মুসলিম বাংলা