শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
হাদীস নং: ৭২৫২
আবুল কাসিম উপনাম রাখা শুদ্ধ কিনা?
৭২৫২। ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি আমার পরে তোমার কোন ছেলে সন্তান হয় তাহলে আমার নামে তার নাম রেখো এবং আমার উপনামে তার উপনাম রেখো । এটা তোমার জন্য একটি বিশেষ অনুমতি, অন্যান্য লোকদের জন্যে নয়।
তারা আরো বলেন, এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আলী (রাযিঃ)-এর জন্যে এ ব্যাপারে বিশেষ একটি অনুমতি উল্লেখিত হয়েছে, অন্য কারো জন্যে নয়। তাদেরকে বলা যায় যে, তোমাদের উল্লেখিত দাবি সত্য হতো যদি তোমাদের বর্ণিত হাদীসটি সুপ্রমাণিত হতো কিন্তু আমাদের মতে তোমাদের এ হাদীসটি সুপ্রমাণিত নয় । কেননা এ হাদীসে উল্লেখিত বর্ণনাকারী আয়্যূব ইবন ওয়াকিদ (রাহঃ) এ অনুচ্ছেদের প্রথমে উল্লেখিত হাদীসের বর্ণনাকারী কাতার (রাহঃ)-এর মুকাবিলা করতে পারে না৷
যাদের অভিমতে এটা আলী (রাযিঃ)-এর জন্যে ছিল একটি বিশেষ অনুমতি, তারা পরে দুই দলে বিভক্ত হয়ে যান। একদল বলেন, কারো জন্য উচিত নয় আবুল কাসিম উপনাম রাখা । এর সাথে মুহাম্মাদ নাম রাখা হোক কিংবা না রাখা হোক, এতে কিছু আসে যায় না। অন্য একদল বলেন, যার নাম মুহাম্মাদ রাখা হয়েছে, তার উপনাম আবুল কাসিম রাখা উচিত নয়। তবে যার নাম মুহাম্মাদ রাখা হয়নি, তার উপনাম আবুল কাসিম রাখলে কোন ক্ষতি নেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আরো একটি বর্ণনা পাওয়া যায় যাতে প্রমাণিত হয়ে যে, এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত আলী (রাযিঃ)-কে বিশেষ অনুমতি দিয়েছেন। তারা উল্লেখ করেন:
তারা আরো বলেন, এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আলী (রাযিঃ)-এর জন্যে এ ব্যাপারে বিশেষ একটি অনুমতি উল্লেখিত হয়েছে, অন্য কারো জন্যে নয়। তাদেরকে বলা যায় যে, তোমাদের উল্লেখিত দাবি সত্য হতো যদি তোমাদের বর্ণিত হাদীসটি সুপ্রমাণিত হতো কিন্তু আমাদের মতে তোমাদের এ হাদীসটি সুপ্রমাণিত নয় । কেননা এ হাদীসে উল্লেখিত বর্ণনাকারী আয়্যূব ইবন ওয়াকিদ (রাহঃ) এ অনুচ্ছেদের প্রথমে উল্লেখিত হাদীসের বর্ণনাকারী কাতার (রাহঃ)-এর মুকাবিলা করতে পারে না৷
যাদের অভিমতে এটা আলী (রাযিঃ)-এর জন্যে ছিল একটি বিশেষ অনুমতি, তারা পরে দুই দলে বিভক্ত হয়ে যান। একদল বলেন, কারো জন্য উচিত নয় আবুল কাসিম উপনাম রাখা । এর সাথে মুহাম্মাদ নাম রাখা হোক কিংবা না রাখা হোক, এতে কিছু আসে যায় না। অন্য একদল বলেন, যার নাম মুহাম্মাদ রাখা হয়েছে, তার উপনাম আবুল কাসিম রাখা উচিত নয়। তবে যার নাম মুহাম্মাদ রাখা হয়নি, তার উপনাম আবুল কাসিম রাখলে কোন ক্ষতি নেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আরো একটি বর্ণনা পাওয়া যায় যাতে প্রমাণিত হয়ে যে, এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত আলী (রাযিঃ)-কে বিশেষ অনুমতি দিয়েছেন। তারা উল্লেখ করেন:
7252 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ أَسْلَمَ قَالَ: ثنا أَيُّوبُ بْنُ وَاقِدٍ قَالَ: ثنا فِطْرُ بْنُ خَلِيفَةَ، عَنْ مُنْذِرٍ الثَّوْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ , عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنْ وُلِدَ لَكَ بَعْدِي ابْنٌ فَسَمِّهِ بِاسْمِي , وَكَنِّهِ بِكُنْيَتِي , وَهِيَ لَكَ خَاصَّةً دُونَ النَّاسِ» قَالُوا: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , الْخُصُوصِيَّةُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَلِيٍّ بِذَلِكَ دُونَ النَّاسِ. قِيلَ لَهُمْ: هَذَا كَمَا ذَكَرْتُمْ , لَوْ ثَبَتَ هَذَا الْحَدِيثُ عَلَى مَا رَوَيْتُمْ , وَلَكِنَّهُ لَيْسَ بِثَابِتٍ عِنْدَنَا , لِأَنَّ أَيُّوبَ بْنَ وَاقِدٍ لَا يَقُومُ مَقَامَ مَنْ خَالَفَهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , مِمَّنْ رَوَاهُ عَنْ فِطْرٍ عَلَى مَا ذَكَرْنَا فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ. فَقَالَ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى أَنَّ ذَلِكَ كَانَ خَاصًّا لِعَلِيٍّ بَعْدَ أَنِ افْتَرَقُوا فِرْقَتَيْنِ. فَقَالَتْ فِرْقَةٌ: لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَتَكَنَّى بِأَبِي الْقَاسِمِ , سَوَاءٌ كَانَ اسْمُهُ مُحَمَّدًا , أَوْ لَمْ يَكُنْ. وَقَالَتِ الْفُرْقَةُ الْأُخْرَى: لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِمَّنْ سُمِّيَ بِمُحَمَّدٍ أَنْ يُكَنَّى بِأَبِي الْقَاسِمِ , وَلَا بَأْسَ لِمَنْ لَمْ يَتَسَمَّ بِمُحَمَّدٍ أَنْ يَتَكَنَّى بِأَبِي الْقَاسِمِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى مَا قُلْنَا , فِي خُصُوصِيَّةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ عَلِيًّا. فَذَكَرُوا
