শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
হাদীস নং: ৬৯৯৬
মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করা
৬৯৯৬। রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাযিঃ) ….. উন্মুল মু'মিনীন আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা আবু আব্দুর রহমান ইবন উমর (রাযিঃ)-কে রহম করুন। তিনি বলেন, মৃত ব্যক্তির জন্য জীবিতদের কান্নাকাটি করার কারণে তাকে আযাব দেওয়া হয়। আল্লাহর কসম, এটা আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রাযিঃ)-এর ধারণা। আল্লাহ্ তা'আলা তাঁকে রহম করুন। আল্লাহ তা'আলা বলেন : وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى অর্থাৎ এবং কেউ অন্য কারো ভার বহন করবে না। (৬ : ১৬৪)
আসল ব্যাপার হচ্ছে যে, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জনৈক ইয়াহুদীর কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, তোমরা তার উপর কাঁদছ, অথচ কবরে তার আযাব হচ্ছে। অর্থাৎ তার নিজের আমলের কারণে (আযাব হচ্ছে)। বস্তুত এই হাদীসে আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খবর দিয়েছেন যে, ঐ কাফিরের কবরে তার নিজের আমলের কারণে আযাব হচ্ছে। অথচ তার পরিবার-পরিজন তার জন্য কাঁদছে। আল্লাহ্ তা'আলা এটাকে নিষেধ করেছেন যে, “কেউ অন্য কারো ভার বহন করবে না।"
এতে প্রতীয়মান হয় যে, মৃতকে কবরে জীবিত লোকদের কান্নাকাটির কারণে আযাব দেয়া হয় না। যখন সে তার জীবদ্দশায় এর হুকুম দিয়ে মৃত্যুবরণ করে না থাকে। কেননা আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত জাবির (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত দ্বারা মাকরূহ তথা নিষিদ্ধ কান্নার বিশ্লেষণ হচ্ছে যে, সেটি কি এবং এটা সেই কান্না যার সঙ্গে চেহারা খামচানো এবং গলার কাপড় ছিঁড়ে ফেলা পাওয়া যায়। আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি এতে সাব্যস্ত হলো যে, মৃতের জন্য কাঁদার বৈধতা ঐ অবস্থায় প্রযোজ্য হবে যখন এর সঙ্গে কোন মাকরূহ কারণ এসে সন্নিবেশীত না হবে। অর্থাৎ কাপড় ছিড়ে ফেলা, চেহারা থাপড়ানো ও বিলাপ ইত্যাদি করা।
আসল ব্যাপার হচ্ছে যে, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জনৈক ইয়াহুদীর কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, তোমরা তার উপর কাঁদছ, অথচ কবরে তার আযাব হচ্ছে। অর্থাৎ তার নিজের আমলের কারণে (আযাব হচ্ছে)। বস্তুত এই হাদীসে আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খবর দিয়েছেন যে, ঐ কাফিরের কবরে তার নিজের আমলের কারণে আযাব হচ্ছে। অথচ তার পরিবার-পরিজন তার জন্য কাঁদছে। আল্লাহ্ তা'আলা এটাকে নিষেধ করেছেন যে, “কেউ অন্য কারো ভার বহন করবে না।"
এতে প্রতীয়মান হয় যে, মৃতকে কবরে জীবিত লোকদের কান্নাকাটির কারণে আযাব দেয়া হয় না। যখন সে তার জীবদ্দশায় এর হুকুম দিয়ে মৃত্যুবরণ করে না থাকে। কেননা আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত জাবির (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত দ্বারা মাকরূহ তথা নিষিদ্ধ কান্নার বিশ্লেষণ হচ্ছে যে, সেটি কি এবং এটা সেই কান্না যার সঙ্গে চেহারা খামচানো এবং গলার কাপড় ছিঁড়ে ফেলা পাওয়া যায়। আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি এতে সাব্যস্ত হলো যে, মৃতের জন্য কাঁদার বৈধতা ঐ অবস্থায় প্রযোজ্য হবে যখন এর সঙ্গে কোন মাকরূহ কারণ এসে সন্নিবেশীত না হবে। অর্থাৎ কাপড় ছিড়ে ফেলা, চেহারা থাপড়ানো ও বিলাপ ইত্যাদি করা।
6996 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ: يَغْفِرُ اللهُ لِأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , يَقُولُ: إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الْحَيِّ. وَاللهِ مَا ذَاكَ إِلَّا إِيهَامًا مِنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَغْفِرُ اللهُ لَهُ , إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ: {وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى} . وَمَا ذَاكَ إِلَّا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ عَلَى قَبْرِ يَهُودِيٍّ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنْتُمْ تَبْكُونَ عَلَيْهِ , وَإِنَّهُ لَيُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ» يَقُولُ: بِعَمَلِهِ فَأَخْبَرَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا أَخْبَرَ أَنَّ ذَلِكَ الْكَافِرَ يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِعَمَلِهِ , وَأَهْلُهُ يَبْكُونَ عَلَيْهِ , وَقَدْ مَنَعَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ , أَنْ تَزِرَ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ مَيِّتًا لَا يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِبُكَاءِ حَيٍّ لَمْ يَأْمُرْ بِهِ فِي حَيَاتِهِ , وَمَاتَ , لِحَدِيثِ جَابِرٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ الْبُكَاءُ الْمَكْرُوهُ مَا هُوَ , وَأَنَّهُ هُوَ الَّذِي مَعَهُ اللَّطْمُ وَالشَّقُّ. فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا إِبَاحَةُ الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ , إِذَا لَمْ يَكُنْ مَعَهُ سَبَبٌ مَكْرُوهٌ , مِنْ شَقِّ ثَوْبٍ , وَلَطْمِ وَجْهٍ , وَنِيَاحَةٍ , وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ
