শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা

হাদীস নং: ৬৯৯৪
মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করা
৬৯৯৪। আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে দেখেছি, তিনি উসমান ইবন মাযউন (রাযিঃ)-এর ইন্তেকালের পরে তাঁকে চুমু দিচ্ছেন এবং তাঁর অশ্রু দাঁড়ি মুবারক গড়িয়ে পড়ছে।
বস্তুত এই সমস্ত রিওয়ায়াতে যা আমরা উল্লেখ করেছি, এতে মৃতদের জন্য কান্নাকাটি করার বৈধতা ব্যক্ত হয়েছে। অধিকন্তু এর দ্বারা তাদের কোন কষ্ট হয় না এবং এটা তাদের আযাবের কারণও নয়। যদি এমনটি না হতো তাহলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কাঁদতেন না এবং না কান্নাকে জায়েয সাব্যস্ত করতেন, বরং তা থেকে নিষেধ করতেন। যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, তোমরা ইবন উমর (রাযিঃ)-এর যে হাদীস নকল করেছ তাতে তো ঐ বৈধতার রহিতকরণ প্রতীয়মান হয় । আর তা হচ্ছে তাঁর বাণী “আজকের পরে কোন মৃতের জন্য কাঁদবে না।"
তাকে (উত্তরে) বলা হবে যে, তাতে তোমার এ কথার সপক্ষে কোন প্রমাণ নেই যা তুমি উল্লেখ করেছ। সম্ভবত তাঁর বাণী যে, “আজকের পরে কোন মৃতের জন্য কাঁদবে না”-এর মর্মার্থ হচ্ছে যে, যারা এখন পর্যন্ত মরে গিয়েছে এবং তোমরা তাদের জন্য কান্নাকাটি করে ফেলেছ এখন আর তাদের জন্য কাঁদবে না। কেননা এ কাঁদার দ্বারা তাদের বিষন্নতা দূরীভূত হয়ে যায়। আর স্বয়ং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে মৃতদের জন্য কাঁদার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিশ্লেষণ বর্ণিত আছে, যা নিম্নরূপ
6994 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُ عُثْمَانَ بْنَ مَظْعُونٍ بَعْدَ مَوْتِهِ , وَدُمُوعُهُ تَسِيلُ عَلَى لِحْيَتِهِ» فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ الَّتِي ذَكَرْنَا , إِبَاحَةُ الْبُكَاءِ عَلَى الْمَوْتَى , وَذَلِكَ أَنَّ ذَلِكَ غَيْرُ ضَارٍّ لَهُمْ , وَلَا سَبَبَ لِعَذَابِهِمْ. وَلَوْلَا ذَلِكَ , لَمَا بَكَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا أَبَاحَ الْبُكَاءَ , وَلَمَنَعَ مِنْ ذَلِكَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّ فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ الَّذِي ذَكَرْتُ , مَا يَدُلُّ عَلَى نَسْخِ مَا كَانَ أَبَاحَ مِنْ ذَلِكَ , وَهُوَ قَوْلُهُ وَلَا يَبْكِينَ عَلَى هَالِكٍ بَعْدَ الْيَوْمِ. قِيلَ لَهُ: مَا فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى مَا ذَكَرْتُ , قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ قَوْلُهُ: وَلَا يَبْكِينَ عَلَى هَالِكٍ بَعْدَ الْيَوْمِ أَيْ مِنْ هَلْكَاهُنَّ الَّذِينَ قَدْ بَكَيْنَ عَلَيْهِمْ مُنْذُ هَلَكُوا إِلَى هَذَا الْوَقْتِ , لِأَنَّ فِي ذَلِكَ الْبُكَاءِ مَا قَدْ أَتَيْنَ بِهِ عَلَى مَا جَلَا عَنْهُنَّ حُزْنَهُنَّ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي تَفْسِيرِ الْبُكَاءِ , الَّذِي قَصَدَ إِلَى النَّهْيِ فِي نَهْيِهِ عَنِ الْبُكَاءِ عَلَى الْمَوْتَى
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৬৯৯৪ | মুসলিম বাংলা