শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
হাদীস নং: ৬৮২৩
সরকার প্রধান ব্যাতীত অন্যরা আংটি পরিধান করা প্রসঙ্গে।
৬৮২৩। আলী (রাহঃ) …. মুগীরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, ইব্রাহীম (রাযিঃ)-এর আংটির নক্শায় نَحْنُ بِاللّٰهِ و لَهُ বাক্য উৎকীর্ণ ছিল।
বস্তুত এঁরা হচ্ছেন সাহাবা কিরাম ও তাবেঈন। যাঁদের থেকে আমরা এই সমস্থ (উল্লেখিত) রিওয়ায়াতসমূহ নকল করেছি যে, তাঁরা আংটি পরিধান করতেন। অথচ তাঁদের কাছে হুকুমত বা রাজত্ব ছিল না। রিওয়ায়াতের তরীকায় এটাই হচ্ছে এই অনুচ্ছেদের বিশ্লেষন।
আর যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষন হচ্ছে যে, যখন রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য আংটি পরিধান করা জায়েয, কেননা এটা অলংকার নয়। অনুরুপভাবে রাষ্ট্রপ্রধান ব্যতিত অন্যদের জন্যও এটা পরিধান করা জায়েয হবে।
আমরা লক্ষ করছি যে, স্বর্ণ ও রুপার পাত্র ব্যবহার নিষেধ করা হয়েছে। এতে রাষ্ট্রপ্রধান ও অন্য সকলেই অভিন্ন। তাই যুক্তির দাবি হচ্ছে যে, এখানেও এই বিধান প্রজোয্য হবে যে, যে আংটি রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য পরিধান করা জায়েয হবে, এতে তিনি এবং সাধারণ লোক বারাবর হবে। যদি রাষ্ট্রপ্রধানের এটা এ জন্য জায়েয হয় যে, তিনি মুসলমানদের সম্পদের উপর সিলমোহর লাগানোর ব্যাপারে মুখাপেক্ষী, তা হলে এটা সাধারণ লোকের জন্য জায়েয হবে। কেননা তারা নিজের সম্পদসমূহ এবং পত্রাদির উপর সিলমোহর লাগানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।
সুতরাং এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপ্রধান এবং রাষ্ট্রপ্রধান ব্যতিত অন্য লোকের পার্থক্য হবে না।
বস্তুত এঁরা হচ্ছেন সাহাবা কিরাম ও তাবেঈন। যাঁদের থেকে আমরা এই সমস্থ (উল্লেখিত) রিওয়ায়াতসমূহ নকল করেছি যে, তাঁরা আংটি পরিধান করতেন। অথচ তাঁদের কাছে হুকুমত বা রাজত্ব ছিল না। রিওয়ায়াতের তরীকায় এটাই হচ্ছে এই অনুচ্ছেদের বিশ্লেষন।
আর যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষন হচ্ছে যে, যখন রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য আংটি পরিধান করা জায়েয, কেননা এটা অলংকার নয়। অনুরুপভাবে রাষ্ট্রপ্রধান ব্যতিত অন্যদের জন্যও এটা পরিধান করা জায়েয হবে।
আমরা লক্ষ করছি যে, স্বর্ণ ও রুপার পাত্র ব্যবহার নিষেধ করা হয়েছে। এতে রাষ্ট্রপ্রধান ও অন্য সকলেই অভিন্ন। তাই যুক্তির দাবি হচ্ছে যে, এখানেও এই বিধান প্রজোয্য হবে যে, যে আংটি রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য পরিধান করা জায়েয হবে, এতে তিনি এবং সাধারণ লোক বারাবর হবে। যদি রাষ্ট্রপ্রধানের এটা এ জন্য জায়েয হয় যে, তিনি মুসলমানদের সম্পদের উপর সিলমোহর লাগানোর ব্যাপারে মুখাপেক্ষী, তা হলে এটা সাধারণ লোকের জন্য জায়েয হবে। কেননা তারা নিজের সম্পদসমূহ এবং পত্রাদির উপর সিলমোহর লাগানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।
সুতরাং এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপ্রধান এবং রাষ্ট্রপ্রধান ব্যতিত অন্য লোকের পার্থক্য হবে না।
6823 - حَدَّثَنِي عَلِيٌّ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ مُغِيرَةَ، قَالَ: كَانَ نَقْشُ خَاتَمِ إِبْرَاهِيمَ نَحْنُ بِاللهِ وَلَهُ " فَهَؤُلَاءِ الَّذِينَ رَوَيْنَا عَنْهُمْ هَذِهِ الْآثَارَ , مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَابِعِيهِمْ , قَدْ كَانُوا يَتَخَتَّمُونَ , وَلَيْسَ لَهُمْ سُلْطَانٌ. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ , مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. وَأَمَّا مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّ السُّلْطَانَ , إِذَا كَانَ لَهُ لُبْسُ الْخَاتَمِ , ; لِأَنَّهُ لَيْسَ بِحِلْيَةٍ , فَكَذَلِكَ أَيْضًا غَيْرُ السُّلْطَانِ لَهُ أَيْضًا لُبْسُهُ ; لِأَنَّهُ لَيْسَ بِحِلْيَةٍ. وَقَدْ رَأَيْنَا مَا نُهِيَ عَنْهُ مِنِ اسْتِعْمَالِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ , يَسْتَوِي فِيهِ , السُّلْطَانُ وَالْعَامَّةُ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ , مَا أُبِيحَ لِلسُّلْطَانِ مِنْ لُبْسِ الْخَاتَمِ , يَسْتَوِي فِيهِ هُوَ وَالْعَامَّةُ. وَإِنْ كَانَ إِنَّمَا أُبِيحَ الْخَاتَمُ لِاحْتِيَاجِهِ إِلَيْهِ لِيَخْتِمَ بِهِ مَالَ الْمُسْلِمِينَ , وَأَنَّهُ أَيْضًا مُبَاحٌ لِلْعَامَّةِ ; لِاحْتِيَاجِهِمْ إِلَيْهِ لِلْخَتْمِ , عَلَى أَمْوَالِهِمْ وَكُتُبِهِمْ , فَلَا فَرْقَ فِي ذَلِكَ بَيْنَ السُّلْطَانِ , وَغَيْرِ السُّلْطَانِ
