আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৮- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫২১
৩৫১। নামাযের ওয়াক্তসমূহঃ নামাযের সময় ও তার ফযীলত।
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয়ই নামায মু’মিনদের উপর নির্ধারিত ফরয। আয়াতে ব্যবহৃত মাওকুতান (مَوْقُوتًا) শব্দটি মুয়াক্কাতান (مُؤَقَّتاً) এর অর্থে ব্যবহৃত, অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ে ফরয — যা আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন।
৪৯৭। আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ..... ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) একদিন কোন এক নামায আদায়ে বিলম্ব করলেন। তখন উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) তাঁর কাছে গেলেন এবং তাঁর কাছে বর্ণনা করলেন যে, ইরাকে অবস্থানকালে মুগীরা ইবনে শু’বা (রাযিঃ) একদিন এক নামায আদায়ে বিলম্ব করেছিলেন। ফলে আবু মাসউদ আনসারী (রাযিঃ) তাঁর নিকট গিয়ে বললেন, হে মুগীরা! একি? তুমি কি অবগত নও যে, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) অবতরণ করে নামায আদায় করলেন, আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ও নামায আদায় করলেন। আবার তিনি নামায আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ও নামায আদায় করলেন। পুনরায় তিনি নামায আদায় করলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ও নামায আদায় করলেন। আবার তিনি নামায আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ও নামায আদায় করলেন। পুনরায় তিনি নামায আদায় করলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ও নামায আদায় করলেন। তারপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেন, এরই জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি।*

উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) উরওয়া (রাহঃ)-কে বললেন, “তুমি যা রিওয়ায়াত করছ তা একটু ভেবে দেখ। জিবরাঈলই কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য নামায এর ওয়াক্ত নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন?” উরওয়া (রাহঃ) বললেন, বশীর ইবনে আবু মাসউদ (রাহঃ) তার পিতা থেকে এরূপই বর্ণনা করতেন। উরওয়া (রাহঃ) বলেনঃ অবশ্য আয়িশা (রাযিঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এমন মুহূর্তে আসরের নামায আদায় করতেন যে, সূর্যরশ্মি তখনও তাঁর হুজরার মধ্যে বিরাজমান থাকত। তবে তা উপরের দিকে উঠে যাওয়ার আগেই।

*অর্থাৎ, যে সময়ে যে নামায আদায় করা হয়েছে, ঠিক সে সময়ে সেই নামায আদায় করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন