শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়

হাদীস নং: ৫০৬০
৮. কাসামা (কসম) কিভাবে নেয়া হবে
৫০৬০। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাযিঃ) ..... হারিস ওয়াদাঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার লােকেরা দুই গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে এক নিহত ব্যক্তিকে পেয়ে এ বিষয়ে তারা উমার ইব্‌ন খাত্তাব (রাযিঃ)-কে লিখল। উমার (রাযিঃ) তাদেরকে লিখলেন যে, ঔ গ্রামের মাঝে দুরত্বের অনুমান কর, যে গ্রাম তার অধিক নিকটবর্তী হবে তাদের পঞ্চাশজন লােক থেকে কাসামা (কসম) নাও, তারা আল্লাহর কসম করবে। অতঃপর তাদের থেকে দণ্ড হিসাবে দিয়াত আদায় কর। হারিস (রাহঃ) বলেন, আমিও কসমকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। এরপর আমরা দিয়াত আদায় করেছি।

বস্তুত এই কাসামা (কসম)-এর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাহাবাহগণ ফয়সালা করেছেন তা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর ঐ সমস্ত হাদীসসমূহের অনুকূলবর্তী, যা আমরা অন্য স্থানে বর্ণনা করেছি। তিনি বলেছেনঃ যদি লােকদেরকে শুধু তাদের দাবি অনুযায়ী দেয়া হয় তাহলে লােকেরা অন্যদের খুন ও সম্পদসমূহের দাবি করবে। কিন্তু বিবাদীর উপর কসম প্রযােজ্য হবে। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পদ ও খুনকে অভিন্ন সাব্যস্ত করে উভয়ের জন্য একই হুকুমের ফয়সালা দিয়েছেন এবং বিবাদীর উপর কসমকে আবশ্যক করেছেন। এতে সাব্যস্ত হলাে যে, সাহল (রাযিঃ)-এর হাদীসের মর্মও সেটা, যা আমরা এর উপর বিশ্লেষণ করেছি। এর উপর সেই রিওয়ায়াতও প্রমাণ বহন করে, যা আমরা পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছিঃ সাঈদ ইব্‌ন উবায়দ (রাহঃ) বুশায়র ইব্‌ন ইয়াসার (রাহঃ) থেকে, তিনি সাহল ইব্‌ন আবী হাসমা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাদেরকে সাক্ষ্য-প্রমাণ পেশ করার হুকুম দিয়েছেন। যখন তারা বলল যে, তাদের কাছে সাক্ষ্য নেই তখন তিনি বললেন, তারা কি তােমাদের জন্য কসম করবে?

সুতরাং যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি তাতে প্রতীয়মান হয় যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর হুকুম বা ফয়সালা এটাই ছিল এবং যা কিছু ইয়াহ্ইয়া ইব্‌ন সাঈদ (রাহঃ) ও আবু লায়লা ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে বৃদ্ধি রয়েছে তা ফয়সালা নয় বরং ওগুলাের মর্ম সেটাই যা আমরা এর উপর বিশ্লেষণ করেছি। অতঃপর এই ইমাম যুহরী (রাহঃ) যিনি অবশ্যই কাসামা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর ফয়সালা জ্ঞাত ছিলেন। এ বিষয়ে তাঁর থেকে বর্ণিত কিছু হাদীস নিম্নরূপঃ
5060 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ مَطَرٍ عَنْ أَبِي جَرِيرٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنِ الْحَارِثِ الْوَادِعِيِّ قَالَ: أَصَابُوا قَتِيلًا بَيْنَ قَرْيَتَيْنِ فَكَتَبُوا فِي ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ. فَكَتَبَ عُمَرُ أَنْ قِيسُوا بَيْنَ الْقَرْيَتَيْنِ فَأَيُّهُمَا كَانَ إِلَيْهِ أَدْنَى فَخُذُوا خَمْسِينَ قَسَامَةً فَيَحْلِفُونَ بِاللهِ ثُمَّ غَرَّمَهُمُ الدِّيَةَ. قَالَ الْحَارِثُ: فَكُنْتُ فِيمَنْ أَقْسِمُ ثُمَّ غَرِمْنَا الدِّيَةَ فَهَذِهِ الْقَسَامَةُ الَّتِي حَكَمَ بِهَا أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ وَافَقَ ذَلِكَ مَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ أَنَّهُ قَالَ «لَوْ يُعْطَى النَّاسُ بِدَعْوَاهُمْ لَادَّعَى نَاسٌ دِمَاءَ رِجَالٍ وَأَمْوَالَهُمْ وَلَكِنَّ الْيَمِينَ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ» . فَسَوَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ بَيْنَ الْأَمْوَالِ وَالدِّمَاءِ وَحَكَمَ فِيهَا بِحُكْمٍ وَاحِدٍ فَجَعَلَ الْيَمِينَ فِي ذَلِكَ كُلِّهِ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ مَعْنَى حَدِيثِ سَهْلٍ أَيْضًا عَلَى مَا قَدْ تَأَوَّلْنَاهُ عَلَيْهِ. وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي الْبَابِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا
عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَاهُمْ بِالْبَيِّنَةِ فَلَمَّا ذَكَرُوا أَنْ لَا بَيِّنَةَ لَهُمْ قَالَ «أَفَيَحْلِفُونَ لَكُمْ؟» فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا أَنَّ مَا كَانَ مِنْ حُكْمِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ هُوَ هَذَا وَكَانَ مَا زَادَ عَلَيْهِ مِمَّا فِي حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ وَأَبِي لَيْلَى بْنِ عَبْدِ اللهِ لَيْسَ عَلَى الْحُكْمِ وَلَكِنْ عَلَى الْمَعْنَى الَّذِي تَأَوَّلْنَاهُمَا عَلَيْهِ. ثُمَّ هَذَا الزُّهْرِيُّ قَدْ عَلِمَ بِقَضَاءِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْقَسَامَةِ. فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ مَا قَدْ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৫০৬০ | মুসলিম বাংলা