শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৮৫৩
২. বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি কি?
৪৮৫৩। আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) ..... জাবির ইন সামরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ মায়িয (রাযিঃ) কে ‘রাজম’ করার আদেশ দেন। সেখানে তিনি বেত্রাঘাতের কথা বলেননি।
আমরা যা কিছু উল্লেখ করলাম তাতে প্রমাণিত হয় যে, বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি হলাে প্রস্তর দ্বারা শান্তি প্রদান করা, বেত্রাঘাত নয়।
যদি কেউ বলেন, যেখানে বেত্রাঘাত ও প্রস্তর উভয়টার দ্বারা শাস্তি প্রদান করা হয়, তা শুধুমাত্র প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করা থেকে উত্তম নয় কেন? উত্তরে প্রশ্নকারীকে বলা যায় প্রস্তরের শাস্তির সাথে বেত্রাঘাতের শাস্তি রহিত হয়ে যাওয়ার দলীলটি বিদ্যমান থাকায় উভয়টার দ্বারা শাস্তি প্রযােগ করা উত্তম নয়। কেননা ব্যভিচারী বিবাহিত ও অবিবাহিতের মধ্যে শান্তির ক্ষেত্রে পার্থক্য করার পূর্বে ব্যভিচারীর যে মূল শাস্তি প্রয়ােগ করা হয়েছিল তা আল্লাহু তা'আলা তার কিতাবে বর্ণনা করেনঃ وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِنْ نِسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِنْكُمْ فَإِنْ شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا
অর্থাৎ তােমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাদের বিরুদ্ধে তােমাদের মধ্য হতে চারজন সাক্ষী তলব করবে। যদি তারা সাক্ষ্য দেয় তবে তাদেরকে গৃহে অবরুদ্ধ করবে, যে পর্যন্ত না তাদের মৃত্যু হয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্যে কোন ব্যবস্থা করেন। (সূরা নিসা : ১৫) এটা ছিল ব্যভিচারিণীর শাস্তি, তাকে মৃত্যু পর্যন্ত গৃহে, অবরুদ্ধ করে রাখা কিংবা আল্লাহু তাদের জন্যে কোন ব্যবস্থা করবেন। অতঃপর তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণী خُذُوا عَنِّي فَقَدْ جَعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلً অর্থাৎ আমার থেকে তােমরা শরীয়তের বিধি-বিধান গ্রহণ কর, আল্লাহ তাদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন “এর মাধ্যমে রহিত হয়ে যায়। অতএব উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে সেই ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়। আল্লাহ তা'আলা এ ব্যবস্থার কথাই আল্লাহর বাণী أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا এর মাধ্যমে বলেছেন। আর এ ব্যবস্থার কথাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণীতে বর্ণিত হয়। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিবাহিতের মধ্যে বেত্রাঘাত ও প্রস্তরের শাস্তি নির্ধারণ করেন। আর অবিবাহিতের ক্ষেত্রে বেত্রাঘাত ও নির্বাসনের শাস্তি নির্ধারিত করেন। আমরা এটা জানতে পারলাম যে, এ আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার পর এ বাণীটি রাসূলুল্লাহু (ﷺ) হতে বর্ণিত হয়। আর আমরা এটাও জানতে পারলাম যে, প্রস্তরের মাধ্যমে ব্যভিচারীর শাস্তি নির্ধারিত হবার পূর্বে সে আয়াতটি অবতীর্ণ হয়নি, কেননা আল্লাহর কিতাবের বর্ণনা অনুযায়ী ব্যভিচারীর শাস্তি ছিল গৃহে অবরুদ্ধ থাকা। আর আল্লাহর বাণী أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا এবং উবাদাহ ইবনুস সামিতের হাদীসের মধ্যখানে অন্য কোন হুকুম ছিলনা। তাই আমরা জানতে পারলাম যে, উবাদা (রাযিঃ)-এর হাদীসটি ছিল এ আয়াতটি অবতীর্ণ হবার পর। আর মায়িয (রাযিঃ)-এর হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার বিবাহ সম্বন্ধে প্রশ্ন করেছিলেন, কেননা বিবাহিত ও অবিবাহিতের শান্তির মধ্যে পার্থক্য বিরাজ করছে।
আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিবাহিত ও অবিবাহিতের শাস্তির মধ্যে পার্থক্য বর্ণনা করেছেন। অবিবাহিতের জন্য একশ বেত্রাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন। অন্য দিকে বিবাহিতের জন্যে প্রস্তরের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান। আমরা আরাে জানতে পারলাম যে, উবাদা (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটির পরে হচ্ছে যায়দ (রাযিঃ), আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়িদ ইব্ন খালিদ আল-জুহানী বর্ণিত হাদীস। তাই মায়িয (রাযিঃ), আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীস উবাদা (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের জন্যে ناسخ বা হুকুম রহিতকারী হিসেবে গণ্য । কেননা রাসূলুল্লাহ -এর যে হুকুমাটি পরে হয় তা পূর্বেকার হুকুমের জন্যে হয় ناسخ বা হুকুম রহিতকারী। সুতরাং আমরা যে হাদীসটি আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়দ ইব্ন খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছি, আর মায়িয (রাযিঃ) হতে যে হাদীসটি বর্ণনা করেছি এগুলাে উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীস হতে উত্তম । উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি বিশুদ্ধ গবেষণা হতে বিচ্ছিন্ন। কেননা আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সীমালংঘনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বসম্মত শাস্তি হল একক। যেমন আমরা লক্ষ্য করেছি, চোরের জন্য শাস্তি হল হস্ত কর্তন আর অন্য কিছু নয়। অপবাদ প্রদানকারীর জন্যে শান্তি হল বেত্রাঘাত আর অন্য কিছু নয়। কাজেই গবেষণা বলে যে, বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তির ক্ষেত্রেও একটিও হবে, অন্যটি নয়। কাজেই রাজম-এর বিষয়টিই হবে সর্বসম্মত। আর বেত্রাঘাতের বিষয়টি সর্বসম্মত না হওয়ায় তা হবে বর্জিত। এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাযিঃ) ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
যদি কেউ প্রশ্ন করেন যে, এটার হুকুম কেমন করে রহিত হতে পারে, যেখানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পর হযরত আলী (রাযিঃ) স্বয়ং আমল করেছেন। এরপর নীচের হাদীসটি বর্ণনা করেনঃ
আমরা যা কিছু উল্লেখ করলাম তাতে প্রমাণিত হয় যে, বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি হলাে প্রস্তর দ্বারা শান্তি প্রদান করা, বেত্রাঘাত নয়।
যদি কেউ বলেন, যেখানে বেত্রাঘাত ও প্রস্তর উভয়টার দ্বারা শাস্তি প্রদান করা হয়, তা শুধুমাত্র প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করা থেকে উত্তম নয় কেন? উত্তরে প্রশ্নকারীকে বলা যায় প্রস্তরের শাস্তির সাথে বেত্রাঘাতের শাস্তি রহিত হয়ে যাওয়ার দলীলটি বিদ্যমান থাকায় উভয়টার দ্বারা শাস্তি প্রযােগ করা উত্তম নয়। কেননা ব্যভিচারী বিবাহিত ও অবিবাহিতের মধ্যে শান্তির ক্ষেত্রে পার্থক্য করার পূর্বে ব্যভিচারীর যে মূল শাস্তি প্রয়ােগ করা হয়েছিল তা আল্লাহু তা'আলা তার কিতাবে বর্ণনা করেনঃ وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِنْ نِسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِنْكُمْ فَإِنْ شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا
অর্থাৎ তােমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাদের বিরুদ্ধে তােমাদের মধ্য হতে চারজন সাক্ষী তলব করবে। যদি তারা সাক্ষ্য দেয় তবে তাদেরকে গৃহে অবরুদ্ধ করবে, যে পর্যন্ত না তাদের মৃত্যু হয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্যে কোন ব্যবস্থা করেন। (সূরা নিসা : ১৫) এটা ছিল ব্যভিচারিণীর শাস্তি, তাকে মৃত্যু পর্যন্ত গৃহে, অবরুদ্ধ করে রাখা কিংবা আল্লাহু তাদের জন্যে কোন ব্যবস্থা করবেন। অতঃপর তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণী خُذُوا عَنِّي فَقَدْ جَعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلً অর্থাৎ আমার থেকে তােমরা শরীয়তের বিধি-বিধান গ্রহণ কর, আল্লাহ তাদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন “এর মাধ্যমে রহিত হয়ে যায়। অতএব উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে সেই ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়। আল্লাহ তা'আলা এ ব্যবস্থার কথাই আল্লাহর বাণী أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا এর মাধ্যমে বলেছেন। আর এ ব্যবস্থার কথাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণীতে বর্ণিত হয়। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিবাহিতের মধ্যে বেত্রাঘাত ও প্রস্তরের শাস্তি নির্ধারণ করেন। আর অবিবাহিতের ক্ষেত্রে বেত্রাঘাত ও নির্বাসনের শাস্তি নির্ধারিত করেন। আমরা এটা জানতে পারলাম যে, এ আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার পর এ বাণীটি রাসূলুল্লাহু (ﷺ) হতে বর্ণিত হয়। আর আমরা এটাও জানতে পারলাম যে, প্রস্তরের মাধ্যমে ব্যভিচারীর শাস্তি নির্ধারিত হবার পূর্বে সে আয়াতটি অবতীর্ণ হয়নি, কেননা আল্লাহর কিতাবের বর্ণনা অনুযায়ী ব্যভিচারীর শাস্তি ছিল গৃহে অবরুদ্ধ থাকা। আর আল্লাহর বাণী أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا এবং উবাদাহ ইবনুস সামিতের হাদীসের মধ্যখানে অন্য কোন হুকুম ছিলনা। তাই আমরা জানতে পারলাম যে, উবাদা (রাযিঃ)-এর হাদীসটি ছিল এ আয়াতটি অবতীর্ণ হবার পর। আর মায়িয (রাযিঃ)-এর হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার বিবাহ সম্বন্ধে প্রশ্ন করেছিলেন, কেননা বিবাহিত ও অবিবাহিতের শান্তির মধ্যে পার্থক্য বিরাজ করছে।
আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিবাহিত ও অবিবাহিতের শাস্তির মধ্যে পার্থক্য বর্ণনা করেছেন। অবিবাহিতের জন্য একশ বেত্রাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন। অন্য দিকে বিবাহিতের জন্যে প্রস্তরের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান। আমরা আরাে জানতে পারলাম যে, উবাদা (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটির পরে হচ্ছে যায়দ (রাযিঃ), আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়িদ ইব্ন খালিদ আল-জুহানী বর্ণিত হাদীস। তাই মায়িয (রাযিঃ), আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীস উবাদা (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের জন্যে ناسخ বা হুকুম রহিতকারী হিসেবে গণ্য । কেননা রাসূলুল্লাহ -এর যে হুকুমাটি পরে হয় তা পূর্বেকার হুকুমের জন্যে হয় ناسخ বা হুকুম রহিতকারী। সুতরাং আমরা যে হাদীসটি আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়দ ইব্ন খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছি, আর মায়িয (রাযিঃ) হতে যে হাদীসটি বর্ণনা করেছি এগুলাে উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীস হতে উত্তম । উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি বিশুদ্ধ গবেষণা হতে বিচ্ছিন্ন। কেননা আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সীমালংঘনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বসম্মত শাস্তি হল একক। যেমন আমরা লক্ষ্য করেছি, চোরের জন্য শাস্তি হল হস্ত কর্তন আর অন্য কিছু নয়। অপবাদ প্রদানকারীর জন্যে শান্তি হল বেত্রাঘাত আর অন্য কিছু নয়। কাজেই গবেষণা বলে যে, বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তির ক্ষেত্রেও একটিও হবে, অন্যটি নয়। কাজেই রাজম-এর বিষয়টিই হবে সর্বসম্মত। আর বেত্রাঘাতের বিষয়টি সর্বসম্মত না হওয়ায় তা হবে বর্জিত। এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাযিঃ) ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
যদি কেউ প্রশ্ন করেন যে, এটার হুকুম কেমন করে রহিত হতে পারে, যেখানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পর হযরত আলী (রাযিঃ) স্বয়ং আমল করেছেন। এরপর নীচের হাদীসটি বর্ণনা করেনঃ
4853 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا الْأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ قَالَ أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سِمَاكٍ , عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ , «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجَمَ مَاعِزًا , وَلَمْ يَذْكُرْ جَلْدًا» فَفِيمَا ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ مَا يَدُلُّ أَنَّ حَدَّ الْمُحْصَنِ هُوَ الرَّجْمُ دُونَ الْجَلْدِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: وَلِمَ لَا كَانَ مَا فِيهِ الرَّجْمُ وَالْجَلْدُ أَوْلَى مِمَّا فِيهِ الرَّجْمُ خَاصَّةً؟ قِيلَ لَهُ: لِدَلَالَةٍ دَلَّتْ عَلَى نَسْخِ الْجَلْدِ مَعَ الرَّجْمِ , وَهِيَ أَنَّا رَأَيْنَا أَصْلَ مَا كَانَ عَلَى الزَّانِي قَبْلَ أَنْ نُفَرِّقَ بَيْنَ حُكْمِهِ إِذَا كَانَ مُحْصَنًا , وَبَيْنَ حُكْمِهِ إِذَا كَانَ غَيْرَ مُحْصَنٍ مَا وَصَفَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي كِتَابِهِ بِقَوْلِهِ «وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِنْ نِسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِنْكُمْ فَإِنْ شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا» فَكَانَ هَذَا هُوَ حَدَّ الزَّانِيَةِ , أَنْ تُمْسَكَ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى تَمُوتَ أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا. ثُمَّ نُسِخَ بِقَوْلِهِ «خُذُوا عَنِّي فَقَدْ جَعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا» فَذَكَرَ مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي حَدِيثِ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ فَكَانَ ذَلِكَ هُوَ السَّبِيلَ الَّذِي قَالَ اللهُ تَعَالَى { «أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا» } [النساء: 15] فَجَعَلَ اللهُ ذَلِكَ السَّبِيلَ , عَلَى مَا قَدْ بَيَّنَهُ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفَرَضَ فِي ذَلِكَ الْجَلْدَ وَالرَّجْمَ عَلَى الثَّيِّبِ وَالْجَلْدَ وَالنَّفْيَ عَلَى غَيْرِ الثَّيِّبِ. فَعَلِمْنَا أَنَّ ذَلِكَ الْقَوْلَ قَدْ كَانَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ نُزُولِ هَذِهِ الْآيَةِ وَأَنَّهُ لَمْ يَتَقَدَّمْ نُزُولَ الْآيَةِ وُجُوبُ الرَّجْمِ عَلَى الزَّانِي لِأَنَّ حَدَّهُ كَانَ عَلَى مَا وَصَفَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي كِتَابِهِ مِنَ الْحَبْسِ فِي الْبُيُوتِ. وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَ قَوْلِهِ «أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا» وَبَيْنَ حَدِيثِ عُبَادَةَ حُكْمٌ آخَرُ فَعَلِمْنَا أَنَّ حَدِيثَ عُبَادَةَ كَانَ بَعْدَ نُزُولِ هَذِهِ الْآيَةِ وَأَنَّ حَدِيثَ مَاعِزٍ الَّذِي سَأَلَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ عَنْ إِحْصَانِهِ , لِتَفْرِقَتِهِ بَيْنَ حَدِّ الْمُحْصَنِ وَغَيْرِ الْمُحْصَنِ وَحَدِيثَ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ أَنَّهُ فَرَّقَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ بَيْنَ حُكْمِ الْبِكْرِ وَالثَّيِّبِ «فَجَعَلَ عَلَى الْبِكْرِ جَلْدَ مِائَةٍ وَتَغْرِيبَ عَامٍ وَعَلَى الثَّيِّبِ الرَّجْمَ» - مُتَأَخِّرٌ عَنْهُ. فَكَانَ ذَلِكَ نَاسِخًا لَهُ لِأَنَّ مَا تَأَخَّرَ مِنْ حُكْمِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْسَخُ مَا تَقَدَّمَ مِنْهُ. [ص:140] فَلِهَذَا كَانَ مَا ذَكَرْنَا مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَحَدِيثِ مَاعِزٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , أَوْلَى مِنْ حَدِيثِ عُبَادَةَ مَعَ مَا قَدْ شَذَّ مِنَ النَّظَرِ الصَّحِيحِ. وَذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا الْعُقُوبَاتِ الْمُتَّفَقَ عَلَيْهَا فِي انْتِهَاكِ الْحُرُمَاتِ كُلِّهَا إِنَّمَا هِيَ شَيْءٌ وَاحِدٌ. مِنْ ذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا أَنَّ السَّارِقَ عَلَيْهِ الْقَطْعُ لَا غَيْرُ وَالْقَاذِفَ عَلَيْهِ الْجَلْدُ لَا غَيْرُ. فَكَانَ النَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ الزَّانِي الْمُحْصَنُ , عَلَيْهِ شَيْءٌ وَاحِدٌ لَا غَيْرُ فَيَكُونُ عَلَيْهِ الرَّجْمُ الَّذِي قَدِ اتُّفِقَ أَنَّهُ عَلَيْهِ , وَيَنْتَفِي عَنْهُ الْجَلْدُ الَّذِي لَمْ يَتَّفِقْ أَنَّهُ عَلَيْهِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: وَكَيْفَ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ مَنْسُوخًا وَقَدْ عَمِلَ بِهِ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَذَكَرَ مَا قَدْ
