শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৮৫২
২. বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি কি?
৪৮৫২। সালিহ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ..... উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “আমার থেকে তােমরা বিধিবিধান গ্রহণ কর। আল্লাহ তা'আলা তাদের জন্যে বিধি বিধান প্রদান করেছেন। অবিবাহিত অবিবাহিতার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হলে তাকে একশ বেত্রাঘাত করতে হবে এবং এক বছরের নির্বাসনে প্রেরণ করতে হবে। আর বিবাহিত বিবাহিতার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হলে তাকে একশ বেত্রাঘাত করতে হবে এবং প্রস্তর দ্বারা শাস্তি দিতে হবে।”
তারা বলেন, এটাই আমাদের অভিমত। বিবাহিতকে বেত্রাঘাত করতে হবে। এরপর তাকে প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করতে হবে, যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন। এদের বিরুদ্ধে এবং দ্বিতীয় প্রতিপক্ষের পক্ষে বিরাজমান দলীলটিও আমরা উল্লেখ করেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উনাইস আল-আসলামী (রাযিঃ) কে মহিলাটির কাছে পরদিন আগমন করার জন্যে আদেশ করেছিলেন এবং বলেছিলেন, যদি সে স্বীকার করে তাহলে তাকে যেন প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করা হয়, কিন্তু তাকে বেত্রাঘাত করতে বলেননি। এ অনুচ্ছেদের প্রথমে হাদীসটি সনদ সহকারে বর্ণনা করা হয়েছে। ঐ হাদীসে একথাও উল্লেখ রয়েছে যে, যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে আগমন করেছিলেন তিনি বলেছিলেন, আমি কতিপয় জ্ঞানী লােককে জিজ্ঞেস করেছি, তারা আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, এ মহিলাটিকে প্রস্তর দ্বারা শাস্তি দিতে হবে। সে কিন্তু প্রস্তরের সাথে বেত্রাঘাতের কথা উল্লেখ করেনি, আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তার কথা প্রত্যাখ্যান করেননি। এতে প্রমাণিত হয় যে, ব্যভিচারীর জন্যে যা কিছু শাস্তি রয়েছে তা হলাে প্রস্তরের শান্তি, বেত্রাঘাত নয়। এ সম্পর্কে মায়িয (রাযিঃ)-এর ঘটনাটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণিত রয়েছে, যা এ তথ্যটি সুদৃঢ় করেছে।
4852 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , قَالَ أَخْبَرَنَا مَنْصُورُ بْنُ زَاذَانَ , عَنِ الْحَسَنِ , قَالَ: ثنا حِطَّانُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الرَّقَاشِيُّ , عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «خُذُوا عَنِّي فَقَدْ جَعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا الْبِكْرُ بِالْبِكْرِ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ , وَالثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ جَلْدُ مِائَةٍ وَالرَّجْمُ» [ص:139] قَالُوا: فَبِهَذَا نَقُولُ نَرَى أَنْ يُجْلَدَ الْمُحْصَنُ , ثُمَّ يُرْجَمَ بَعْدَ ذَلِكَ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِلْآخَرِينَ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ مَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَمْرِهِ أُنَيْسًا الْأَسْلَمِيَّ بِرَجْمِ الْمَرْأَةِ الَّتِي أَمَرَهُ أَنْ يَغْدُوَ عَلَيْهَا فَيَرْجُمَهَا إِنِ اعْتَرَفَتْ، وَلَمْ يَأْمُرْهُ أَنْ يَجْلِدَهَا. وَقَدْ ذَكَرْتَ ذَلِكَ بِإِسْنَادِهِ فِي الْبَابِ الْأَوَّلِ وَفِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ أَيْضًا أَنَّ الَّذِي " قَامَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: إِنِّي سَأَلْتُ رِجَالًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا الرَّجْمَ , وَلَمْ يَذْكُرْ مَعَهُ الْجَلْدَ فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ". فَدَلَّ هَذَا أَنَّ جَمِيعَ مَا كَانَ عَلَيْهَا مِنَ الْجَلْدِ فِي الزِّنَا الَّذِي كَانَ مِنْهَا هُوَ الرَّجْمُ دُونَ الْجَلْدِ. وَقَدْ شَدَّ ذَلِكَ أَيْضًا مَا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا فَعَلَ بِمَاعِزٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৪৮৫২ | মুসলিম বাংলা