শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
৮. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৬৪৭
৭. অনুচ্ছেদঃ যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলে যে, ‘কদরের রাতে তুমি তালাক’ তাহলে তালাক কখন প্রতিফলিত হবে?
৪৬৪৭। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) …… মুয়াবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে লাইলাতুল কদর সম্পর্কে বর্ণনা পেশ করেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, ২৩ তারিখের রজনীতে লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়।
লাইলাতুল কদর সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞানগর্ভ পর্যালোচনার পরিসমাপ্তি এখানেই ঘটল, যা আল্লাহর কিতাব এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হল। এর পরেও সাহাবায়ে কিরাম ও তাবিঈদের মাধ্যমে যেসব বর্ণনা আমাদের কাছে পৌঁছেছে, সব কিছু আমাদের উল্লেখিত অর্থই ব্যক্ত করে। লাইলাতুল কদর সম্পর্কে যে সব মতবিরোধ সাহাবায়ে কিরাম (রাযিঃ) হতে আমাদের কাছে পৌঁছেছে তারই আলোকে আমরা এখন আলোচনা করব যে, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলে যে, “তুমি লাইলাতুল কদরে তালাক" তাহলে কখন তালাক কার্যকর হবে? ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলেন, “যদি সে তার স্ত্রীকে রামাদান মাসের পূর্বে এ কথা বলে তাহলে রামাদান মাস অতিক্রম করার পূর্বে তালাক কার্যকর হবেনা। কেননা রামাদান মাসের রাতগুলো হতে কোন্ রাতে লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়, তা নিয়ে উলামায়ে কিরামের মধ্যে যে মতবিরোধ রয়েছে, তা এ অনুচ্ছেদে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। কোন কোন বর্ণনায় আছে যে, সারা মাসেই লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়, আবার কোন কোন বর্ণনায় আছে, ঐ মাসের বিশেষ একটি রাতে লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়। তাই তিনি বলেন, এজন্য আমি মাসটি অতিক্রম করার পূর্বে তালাক কার্যকর হবে বলে অভিমত দিবনা। কেননা আমি এ ব্যাপারে জানি যে, সময় শেষ হবার পরই তালাক কার্যকর হবে। আর এখানে যখন সময় শেষ হয়ে গেল তখনি তালাক কার্যকর হবে। ইমাম সাহেব আরো বলেন, যদি কেউ তার স্ত্রীকে রামাদান মাসের প্রথম দিকে কিংবা শেষের দিকে কিংবা মাঝের দিকে এ কথা বলে তাহলে মাসের বাকি অংশ আতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে তালাক কার্যকর হবেনা, এমনকি এর পরের বছরের রামদান মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বেও তালাক কার্যকর হবেনা। ইমাম সাহেব আরো বলেন, কেননা এ মাসের যে অংশ অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে তার মধ্যেও লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়েছে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পরের বছরের সম্পূর্ণ রামাদান মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে তালাক কার্যকর ও বাস্তবায়িত হবেনা। আর এ মাসের বাকি অংশেও লাইলাতুল কদর সংঘটিত হতে পারে। তাই সেখানে তালাক কার্যকর হবে। তাহলে উক্ত ব্যক্তির উদাহরণ হল ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে তার স্ত্রীকে রামাদান মাসের পূর্বে বলে যে, তুমি লাইলাতুল কদরে তালাক। সুতরাং রামাদান মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরই বলা যাবে যে তালাক কার্যকর হয়েছে। ইমাম সাহেব আরো বলেন যে, এ ব্যাপারে যখন সমস্যা দেখা দিয়েছে তখন তালাক কার্যকর হওয়া সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করার পরেই আমি বলব যে, তালাক কার্যকর হয়েছে। আর আমি এ রামাদান মাস এবং পরবর্তী রামাদান মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরই তালাক কার্যকর হওয়ার সময় সম্বন্ধে জানতে পারব, এর পূর্বে নয়। এ অনুচ্ছেদে এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাযিঃ)-এর অভিমত পাওয়া যায়। ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) একবার এ অভিমত অনুযায়ী নিজ মতামত পেশ করেছেন এবং দ্বিতীয় বার বলেছেন, যদি কেউ তার স্ত্রীকে রামাদান মাসের কোন এক অংশে এরূপ কথা বলে থাকে তাহলে আগামী রামাদান মাসের এ সময়টা অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে তালাক কার্যকর হয়েছে বলে হুকুম দেয়া যাবেনা। তিনি আরো বলেন, কেননা সে যখন একথা বলেছে এ সময়টুকু অতিক্রান্ত হলে এক বছর পূর্ণ হবে। তাহলে প্রতিটি বছরই এরূপ হবে এবং আমরা এভাবে তালাক কার্যকর হওয়ার সময়টিও জেনে যাবো।
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ “আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর দ্বিতীয় অভিমতটি আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা তালাকদাতা বলেনি যে, প্রতি বছরই তালাক কার্যকর হবে, যার মধ্যে লাইলাতুল কদর বিদ্যমান থাকবে। আর যে বছরে রামাদান মাসটা পূরো থাকবেনা সেখানে তালাকও কার্যকর হবেনা। আমাদেরকে বলা হয়েছে যে, প্রতিবছর রামাদান মাসে লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়, আর এটা আল্লাহ্র কিতাব দ্বারা প্রমাণিত এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর বাণী দ্বারাও প্রমাণিত, যা আমরা এ অনুচ্ছেদের প্রথমাংশে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি। তাই সম্ভাবনা রয়েছে যে, যদি কেউ তার স্ত্রীকে রামাদান মাসের কিছু অংশে বলে যে, তুমি লাইলাতুল কদরে তালাক তাহলে মাসের যে অংশ চলে গেছে ঐ অংশে লাইলাতুল কদর সংঘটিত হতে পারে। সুতরাং ঐ সময় থেকে পরবর্তী বছরের রামাদান মাসের ঐ সময় পর্যন্ত তালাক কার্যকর হতে পারে, তার মধ্যে লাইলাতুল কদর বিদ্যমান নাও থাকতে পারে। এ বর্ণনা দ্বারা ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর অভিমতের ত্রুটি প্রকাশ হয়ে পড়ে আর ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে পড়ে। ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) অন্য একবার বলেন, “যখন কোন স্বামী তার স্ত্রীকে রামাদান মাসের কোন একাংশে একথা বলে, তাহলে ২৭ শা রাত অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে তালাক কার্যকর ও বাস্তবায়ন হবেনা।” এ ব্যাপারে তিনি হযরত বিলাল (রাযিঃ) ও উবাই ইবন কা'ব হতে বর্ণিত হাদীসকে দলীল হিসেবে পেশ করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, রামাদান মাসের নির্দিষ্ট এ রাতে লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়। যখন ২৭ শা রাত অতিক্রান্ত হয় তখন জানা যায় যে, লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়েছে। আর তালাক কার্যকর হবারও হুকুম দেয়া যাবে। ২৭ শা তারিখের পূর্বে লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়েছে বলে জানা যায় না। তাই তালাক কার্যকর হয়েছে বলে হুকুমও দেয়া যায় না। এ অভিমতটির সমর্থনে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে আমরা প্রয়োজনীয় হাদীসসমূহ বর্ণনা করেছি।
লাইলাতুল কদর সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞানগর্ভ পর্যালোচনার পরিসমাপ্তি এখানেই ঘটল, যা আল্লাহর কিতাব এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হল। এর পরেও সাহাবায়ে কিরাম ও তাবিঈদের মাধ্যমে যেসব বর্ণনা আমাদের কাছে পৌঁছেছে, সব কিছু আমাদের উল্লেখিত অর্থই ব্যক্ত করে। লাইলাতুল কদর সম্পর্কে যে সব মতবিরোধ সাহাবায়ে কিরাম (রাযিঃ) হতে আমাদের কাছে পৌঁছেছে তারই আলোকে আমরা এখন আলোচনা করব যে, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলে যে, “তুমি লাইলাতুল কদরে তালাক" তাহলে কখন তালাক কার্যকর হবে? ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলেন, “যদি সে তার স্ত্রীকে রামাদান মাসের পূর্বে এ কথা বলে তাহলে রামাদান মাস অতিক্রম করার পূর্বে তালাক কার্যকর হবেনা। কেননা রামাদান মাসের রাতগুলো হতে কোন্ রাতে লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়, তা নিয়ে উলামায়ে কিরামের মধ্যে যে মতবিরোধ রয়েছে, তা এ অনুচ্ছেদে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। কোন কোন বর্ণনায় আছে যে, সারা মাসেই লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়, আবার কোন কোন বর্ণনায় আছে, ঐ মাসের বিশেষ একটি রাতে লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়। তাই তিনি বলেন, এজন্য আমি মাসটি অতিক্রম করার পূর্বে তালাক কার্যকর হবে বলে অভিমত দিবনা। কেননা আমি এ ব্যাপারে জানি যে, সময় শেষ হবার পরই তালাক কার্যকর হবে। আর এখানে যখন সময় শেষ হয়ে গেল তখনি তালাক কার্যকর হবে। ইমাম সাহেব আরো বলেন, যদি কেউ তার স্ত্রীকে রামাদান মাসের প্রথম দিকে কিংবা শেষের দিকে কিংবা মাঝের দিকে এ কথা বলে তাহলে মাসের বাকি অংশ আতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে তালাক কার্যকর হবেনা, এমনকি এর পরের বছরের রামদান মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বেও তালাক কার্যকর হবেনা। ইমাম সাহেব আরো বলেন, কেননা এ মাসের যে অংশ অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে তার মধ্যেও লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়েছে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পরের বছরের সম্পূর্ণ রামাদান মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে তালাক কার্যকর ও বাস্তবায়িত হবেনা। আর এ মাসের বাকি অংশেও লাইলাতুল কদর সংঘটিত হতে পারে। তাই সেখানে তালাক কার্যকর হবে। তাহলে উক্ত ব্যক্তির উদাহরণ হল ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে তার স্ত্রীকে রামাদান মাসের পূর্বে বলে যে, তুমি লাইলাতুল কদরে তালাক। সুতরাং রামাদান মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরই বলা যাবে যে তালাক কার্যকর হয়েছে। ইমাম সাহেব আরো বলেন যে, এ ব্যাপারে যখন সমস্যা দেখা দিয়েছে তখন তালাক কার্যকর হওয়া সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করার পরেই আমি বলব যে, তালাক কার্যকর হয়েছে। আর আমি এ রামাদান মাস এবং পরবর্তী রামাদান মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরই তালাক কার্যকর হওয়ার সময় সম্বন্ধে জানতে পারব, এর পূর্বে নয়। এ অনুচ্ছেদে এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাযিঃ)-এর অভিমত পাওয়া যায়। ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) একবার এ অভিমত অনুযায়ী নিজ মতামত পেশ করেছেন এবং দ্বিতীয় বার বলেছেন, যদি কেউ তার স্ত্রীকে রামাদান মাসের কোন এক অংশে এরূপ কথা বলে থাকে তাহলে আগামী রামাদান মাসের এ সময়টা অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে তালাক কার্যকর হয়েছে বলে হুকুম দেয়া যাবেনা। তিনি আরো বলেন, কেননা সে যখন একথা বলেছে এ সময়টুকু অতিক্রান্ত হলে এক বছর পূর্ণ হবে। তাহলে প্রতিটি বছরই এরূপ হবে এবং আমরা এভাবে তালাক কার্যকর হওয়ার সময়টিও জেনে যাবো।
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ “আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর দ্বিতীয় অভিমতটি আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা তালাকদাতা বলেনি যে, প্রতি বছরই তালাক কার্যকর হবে, যার মধ্যে লাইলাতুল কদর বিদ্যমান থাকবে। আর যে বছরে রামাদান মাসটা পূরো থাকবেনা সেখানে তালাকও কার্যকর হবেনা। আমাদেরকে বলা হয়েছে যে, প্রতিবছর রামাদান মাসে লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়, আর এটা আল্লাহ্র কিতাব দ্বারা প্রমাণিত এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর বাণী দ্বারাও প্রমাণিত, যা আমরা এ অনুচ্ছেদের প্রথমাংশে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি। তাই সম্ভাবনা রয়েছে যে, যদি কেউ তার স্ত্রীকে রামাদান মাসের কিছু অংশে বলে যে, তুমি লাইলাতুল কদরে তালাক তাহলে মাসের যে অংশ চলে গেছে ঐ অংশে লাইলাতুল কদর সংঘটিত হতে পারে। সুতরাং ঐ সময় থেকে পরবর্তী বছরের রামাদান মাসের ঐ সময় পর্যন্ত তালাক কার্যকর হতে পারে, তার মধ্যে লাইলাতুল কদর বিদ্যমান নাও থাকতে পারে। এ বর্ণনা দ্বারা ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর অভিমতের ত্রুটি প্রকাশ হয়ে পড়ে আর ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে পড়ে। ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) অন্য একবার বলেন, “যখন কোন স্বামী তার স্ত্রীকে রামাদান মাসের কোন একাংশে একথা বলে, তাহলে ২৭ শা রাত অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে তালাক কার্যকর ও বাস্তবায়ন হবেনা।” এ ব্যাপারে তিনি হযরত বিলাল (রাযিঃ) ও উবাই ইবন কা'ব হতে বর্ণিত হাদীসকে দলীল হিসেবে পেশ করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, রামাদান মাসের নির্দিষ্ট এ রাতে লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়। যখন ২৭ শা রাত অতিক্রান্ত হয় তখন জানা যায় যে, লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়েছে। আর তালাক কার্যকর হবারও হুকুম দেয়া যাবে। ২৭ শা তারিখের পূর্বে লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়েছে বলে জানা যায় না। তাই তালাক কার্যকর হয়েছে বলে হুকুমও দেয়া যায় না। এ অভিমতটির সমর্থনে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে আমরা প্রয়োজনীয় হাদীসসমূহ বর্ণনা করেছি।
4647 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُعَاذٍ , قَالَ: ثنا أُبَيٌّ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: سَمِعْتُ مُطَرِّفَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يُحَدِّثُ , عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ , قَالَ: «لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ» . [ص:94] فَهَذَا مُنْتَهَى مَا وَقَفْنَا عَلَيْهِ , مِنْ عِلْمِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ , أَيُّ لَيْلَةٍ هِيَ؟ مِمَّا دَلَّنَا عَلَيْهِ كِتَابُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ , وَسُنَّةُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَأَمَّا مَا رُوِيَ بَعْدَ ذَلِكَ عَنِ الصَّحَابَةِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ وَتَابِعِيهِمْ , فَمَعْنَاهُ دَاخِلٌ فِي الْمَعَانِي الَّتِي ذَكَرْنَا. وَإِنَّمَا احْتَجْنَا إِلَى ذِكْرِ مَا رُوِيَ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ , لِمَا قَدِ اخْتَلَفَ فِيهِ أَصْحَابُنَا رَحِمَهُمُ اللهُ فِي قَوْلِ الرَّجُلِ لِامْرَأَتِهِ: أَنْتِ طَالِقٌ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ , مَتَى يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ. فَقَالَ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ: إِنْ قَالَ لَهَا ذَلِكَ قَبْلَ شَهْرِ رَمَضَانَ , لَمْ يَقَعِ الطَّلَاقُ حَتَّى يَمْضِيَ شَهْرُ رَمَضَانَ. لِمَا قَدِ اخْتُلِفَ فِي مَوْضِعِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ مِنْ لَيَالِي شَهْرِ رَمَضَانَ , عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَا فِي هَذَا الْبَابَ , مِمَّا رُوِيَ أَنَّهَا فِي الشَّهْرِ كُلِّهِ , وَمِمَّا قَدْ رُوِيَ أَنَّهَا فِي خَاصٍّ مِنْهُ , قَالَ رَحِمَهُ اللهُ: فَلَا أَحْكُمُ بِوُقُوعِ الطَّلَاقِ , إِلَّا بَعْدَ مُضِيِّ الشَّهْرِ , لِأَنِّي أَعْلَمُ بِذَلِكَ أَنَّهُ قَدْ مَضَى الْوَقْتُ الَّذِي أَوْقَعَ الطَّلَاقَ فِيهِ , وَأَنَّ الطَّلَاقَ قَدْ وَقَعَ. قَالَ رَحِمَهُ اللهُ: وَإِنْ قَالَ ذَلِكَ لَهَا فِي شَهْرِ رَمَضَانَ , فِي أَوَّلِهِ , أَوْ فِي آخِرِهِ , أَوْ فِي وَسَطِهِ , لَمْ يَقَعِ الطَّلَاقُ , حَتَّى يَمْضِيَ مَا بَقِيَ مِنْ ذَلِكَ الشَّهْرِ , وَحَتَّى يَمْضِيَ شَهْرُ رَمَضَانَ أَيْضًا كُلُّهُ , مِنَ السَّنَةِ الْقَابِلَةِ. قَالَ رَحِمَهُ اللهُ: لِأَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ تَكُونَ فِيمَا مَضَى مِنْ هَذَا الشَّهْرِ الَّذِي هُوَ فِيهِ , فَلَا يَقَعُ الطَّلَاقُ حَتَّى يَمْضِيَ شَهْرُ رَمَضَانَ كُلُّهُ , مِنَ السَّنَةِ الْجَائِيَةِ , وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ تَكُونَ فِيمَا بَقِيَ مِنْ ذَلِكَ الشَّهْرِ الَّذِي هُوَ فِيهِ , فَيَقَعُ الطَّلَاقُ فِيهَا , فَيَكُونُ كَمَنْ قَالَ لِامْرَأَتِهِ , قَبْلَ شَهْرِ رَمَضَانَ أَنْتِ طَالِقٌ لَيْلَةَ الْقَدْرِ فَيَكُونُ الطَّلَاقُ لَا يُحْكَمُ بِهِ عَلَيْهِ إِلَّا بَعْدَ مُضِيِّ شَهْرِ رَمَضَانَ قَالَ رَحِمَهُ اللهُ: فَلَمَّا أَشْكَلَ ذَلِكَ , لَمْ أَحْكُمْ بِوُقُوعِ الطَّلَاقِ إِلَّا بَعْدَ عِلْمِي بِوُقُوعِهِ , وَلَا أَعْلَمُ ذَلِكَ , إِلَّا بَعْدَ مُضِيِّ شَهْرِ رَمَضَانَ , الَّذِي هُوَ فِيهِ , وَشَهْرِ رَمَضَانَ الْجَائِي بَعْدَهُ. فَهَذَا مَذْهَبُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ فِي هَذَا الْبَابِ , وَقَدْ كَانَ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ , قَالَ مَرَّةً بِهَذَا الْقَوْلِ أَيْضًا , وَقَالَ مَرَّةً أُخْرَى: إِذَا قَالَ لَهَا ذَلِكَ الْقَوْلَ فِي بَعْضِ شَهْرِ رَمَضَانَ , لَمْ يُحْكَمْ بِوُقُوعِ الطَّلَاقِ حَتَّى يَمْضِيَ مِثْلُ ذَلِكَ الْوَقْتِ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ , مِنَ السَّنَةِ الْجَائِيَةِ. قَالَ: لِأَنَّ ذَلِكَ إِذَا كَانَ , فَقَدْ كَمُلَ حَوْلٌ , مُنْذُ قَالَ ذَلِكَ الْقَوْلَ وَهِيَ فِي كُلِّ حَوْلٍ فَعَلِمْنَا بِذَلِكَ وُقُوعَ الطَّلَاقِ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَهَذَا قَوْلٌ - عِنْدِي - لَيْسَ بِشَيْءٍ , لِأَنَّهُ لَمْ يَقُلْ لَنَا , إِنَّ كُلَّ حَوْلٍ يَكُونُ فَفِيهِ لَيْلَةُ الْقَدْرِ , عَلَى أَنَّ ذَلِكَ الْحَوْلَ لَيْسَ فِيهِ شَهْرُ رَمَضَانَ بِكَمَالِهِ مِنْ سَنَةٍ وَاحِدَةٍ. وَإِنَّمَا قِيلَ لَنَا: إِنَّهَا فِي شَهْرِ رَمَضَانَ مِنْ كُلِّ سَنَةٍ , هَكَذَا دَلَّنَا عَلَيْهِ كِتَابُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ , وَقَالَهُ لَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْبَابِ فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , احْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ إِذَا قَالَ لَهَا فِي بَعْضِ شَهْرِ رَمَضَانَ أَنْتِ طَالِقٌ لَيْلَةَ الْقَدْرِ أَنْ تَكُونَ لَيْلَةُ الْقَدْرِ فِيمَا مَضَى مِنْ ذَلِكَ الشَّهْرِ. [ص:95] فَيَكُونُ إِذَا مَضَى حَوْلٌ مِنْ حِينَئِذٍ , إِلَى مِثْلِهِ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ , مِنَ السَّنَةِ الْجَائِيَةِ , لَا لَيْلَةَ قَدْرٍ فِيهِ. فَفَسَدَ بِمَا ذَكَرْنَا , قَوْلُ أَبِي يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ الَّذِي وَصَفْنَا , وَثَبَتَ - عَلَى هَذَا التَّرْتِيبِ - مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَقَدْ كَانَ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ قَالَ مَرَّةً أُخْرَى: إِذَا قَالَ لَهَا الْقَوْلَ فِي بَعْضِ شَهْرِ رَمَضَانَ: إِنَّ الطَّلَاقَ لَا يَقَعُ , حَتَّى يَمْضِيَ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ. وَذَهَبَ فِي ذَلِكَ - فِيمَا نَرَى وَاللهُ أَعْلَمُ - إِلَى أَنَّ مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ أَنَّهَا فِي لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ بِعَيْنِهَا هُوَ حَدِيثُ بِلَالٍ , وَحَدِيثُ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ فَإِذَا مَضَتْ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ , عُلِمَ أَنَّ لَيْلَةَ الْقَدْرِ قَدْ كَانَتْ , فَحَكَمَ بِوُقُوعِ الطَّلَاقِ وَقِيلَ ذَلِكَ فَلَيْسَ بِعِلْمِ كَوْنِهَا فَكَذَلِكَ لَمْ يُحْكَمْ بِوُقُوعِ الطَّلَاقِ. وَهَذَا الْقَوْلُ تَشْهَدُ لَهُ الْآثَارُ الَّتِي رَوَيْنَاهَا , فِي هَذَا الْبَابِ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
