শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
৮. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৬৪৮
৮. বাধ্যকৃত ব্যক্তির দেয়া তালাক
৪৬৪৮। রাবী' ইবন সুলাইমান আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, “আমার উম্মতের ভুল-ত্রুটি ও আমার উম্মতের দ্বারা যা কিছু জোরপূর্বক করানো হয়ে থাকে আল্লাহ্ তা ক্ষমা করে দিয়েছেন।"
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম অভিমত পেশ করেছেন যে, যদি কোন ব্যক্তিকে তালাক, বিবাহ, শপথ, দাসমুক্তি কিংবা এরূপ কোন কাজের জন্যে বাধ্য করা হয় এবং জোরপূর্বক কাজটি করানো হয় তাহলে এগুলো সব বাতিল বলে গণ্য হবে। কেননা আল্লাহ্ তা'আলা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর উম্মতের জন্যে যা কিছু ক্ষমা করে দিয়েছেন তার মধ্যে এগুলো অন্তর্ভুক্ত। আর তারা এ হাদীস দ্বারা নিজেদের পক্ষে দলীল পেশ করেছেন। অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরোধিতা করেন এবং বলেন, জবরদস্তি অবস্থায় যে শপথ করানো হয় তা গণ্য করা হবে এবং বাধ্যকৃত ব্যক্তির দেয়া তালাক, দাসমুক্তি, বিবাহ ও তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর রাজায়াত ইত্যাদি চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। আর দলীল হিসেবে উপরোক্ত হাদীসটি উল্লেখ করেন এবং প্রথম পক্ষ হাদীসটির যেরূপ ব্যাখ্যা করেছেন তার থেকে ভিন্নরূপ ব্যাখ্যা ২য় পক্ষ করেছেন। তারা আরো বলেন, “এ হাদীসটি বিশেষ করে শিরকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেননা সম্প্রদায়টি ছিল নতুন মুসলমান এবং তারা কাফিরদের সাথে বসবাস করত। তাই মুশরিকরা যখন সুযোগ পেত তখন তাদেরকে জোরপূর্বক কুফরী স্বীকার করাত। তারা তখন মুখে মুখে স্বীকার করত। কাফিররা আম্মার ইবন ইয়াসার (রাযিঃ)-এর সাথে এরূপ আচরণ করত এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর অন্যান্য সাহাবীদের সাথেও কাফিররা এরূপ ব্যবহার করত। অতঃপর তাদের সম্বন্ধে আল্লাহ্ তা'আলা অবতীর্ণ করেনঃ
إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ
অর্থাৎ তবে তার জন্য নয়, যাকে কুফরীর জনে! বাধ্য করা হয়; কিন্তু তার চিত্ত থাকে ঈমানে অবিচলিত। (সূরা নাহলঃ ১১৬)। অনেক সময় তারা অসতকর্তা বশত ভুল করত। তারা তাদের এ অভ্যাস সম্পর্কে ইসলামের পূর্বে আলোচনা করেছিল, অনেক সময় তারা ভুল করত, এ নিয়েও তারা আলোচনা করত। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে এটা থেকে ক্ষমা করে দিলেন, কেননা তারা এ সম্বন্ধে ছিল অপারগ ও উপায়হীন। এটার প্রতি তারা মোটেই উৎসুক ছিলনা। আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও এ ধরনের তাফসীর গ্রহণ করেছেন। আল-কাসানী (রাহঃ) তার পিতা থেকে এ সম্বন্ধে আমাদের কাছে বর্ণনা পেশ করেছেন। সুতরাং হাদীসটি এ অর্থও বুঝাতে পারে, আবার প্রথম পক্ষ যা বলেছেন তাও বুঝাতে পারে। যখন এরূপ দুই ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে তখন আমরা এমন একটি দলীলের প্রয়োজনীয়তা বোধ করতে লাগলাম, যা তার অর্থ ও ব্যাখ্যা আমাদের কাছে সুস্পষ্ট করে দেবে এবং আমাদেরকে যে কোন একটি অর্থ ও ব্যাখ্যা বুঝাতে সহায়তা করবে। আর আমরা বিনা দ্বিধায় এ অর্থ ও ব্যাখ্যাটিকে অবলম্বন করে নেবে। এ ব্যাপারে আমরা গবেষণার আশ্রয় নিলাম ও দেখতে পেলাম خطأ -এর অর্থ কোন ব্যক্তি কোন একটি কাজের ইচ্ছে করল ও তা করল কিন্তু প্রকৃত পক্ষে কাজটি করার ইচ্ছে সে পোষণ করেনি এবং এটার দিকে উৎসুকও নয়। আর ★★ অর্থ হল কোন একটি কাজ করার কোন ব্যক্তি ইচ্ছে পোষণ করল এবং ইচ্ছার ভিত্তিতে সে কাজটি বাস্তবে রূপ দিল। তবে সে এমন লক্ষ্য বস্তুটি ভুলে গেল যেটা তাকে ঐ কাজ থেকে বিরত রাখত। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যখন কোন ব্যক্তি কাউকে নিজের স্ত্রী বলে ভুল করে এবং সে তার দিকে ইচ্ছে করে ও তাকে তালাক দেয়, তাহলে উলামায়ে কিরামের সকলে একমত যে, তার তালাকটি কার্যকর হবে। ভুলের জন্যে তারা তালাক-কে বাতিল মনে করেনা। আর তার এ ভুলটি মার্জনীয় ভুলেরও অন্তর্ভুক্ত নয়। কেননা মার্জনীয় ভুলের মধ্যে তালাক, শপথ ও গোলাম মুক্তির কিছুই অন্তর্ভুক্ত নয়। অনুরূপভাবে কোন কিছু করার জন্যে জোরপূর্বক বাধ্য করাও মার্জনীয় ভুলের অন্তর্ভুক্ত নয়। যারা তালাক, দাস মুক্তি ও শপথকে মার্জনীয় ভুলের মধ্যে গণ্য করেছেন এ আলোচনা দ্বারা তাদের ত্রুটি প্রমাণিত হয়।
প্রথমপক্ষতাদের মতামতের সপক্ষে নিম্নে বর্ণিত দলীলটি পেশ করেন, যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণিত রয়েছেঃ
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম অভিমত পেশ করেছেন যে, যদি কোন ব্যক্তিকে তালাক, বিবাহ, শপথ, দাসমুক্তি কিংবা এরূপ কোন কাজের জন্যে বাধ্য করা হয় এবং জোরপূর্বক কাজটি করানো হয় তাহলে এগুলো সব বাতিল বলে গণ্য হবে। কেননা আল্লাহ্ তা'আলা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর উম্মতের জন্যে যা কিছু ক্ষমা করে দিয়েছেন তার মধ্যে এগুলো অন্তর্ভুক্ত। আর তারা এ হাদীস দ্বারা নিজেদের পক্ষে দলীল পেশ করেছেন। অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরোধিতা করেন এবং বলেন, জবরদস্তি অবস্থায় যে শপথ করানো হয় তা গণ্য করা হবে এবং বাধ্যকৃত ব্যক্তির দেয়া তালাক, দাসমুক্তি, বিবাহ ও তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর রাজায়াত ইত্যাদি চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। আর দলীল হিসেবে উপরোক্ত হাদীসটি উল্লেখ করেন এবং প্রথম পক্ষ হাদীসটির যেরূপ ব্যাখ্যা করেছেন তার থেকে ভিন্নরূপ ব্যাখ্যা ২য় পক্ষ করেছেন। তারা আরো বলেন, “এ হাদীসটি বিশেষ করে শিরকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেননা সম্প্রদায়টি ছিল নতুন মুসলমান এবং তারা কাফিরদের সাথে বসবাস করত। তাই মুশরিকরা যখন সুযোগ পেত তখন তাদেরকে জোরপূর্বক কুফরী স্বীকার করাত। তারা তখন মুখে মুখে স্বীকার করত। কাফিররা আম্মার ইবন ইয়াসার (রাযিঃ)-এর সাথে এরূপ আচরণ করত এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর অন্যান্য সাহাবীদের সাথেও কাফিররা এরূপ ব্যবহার করত। অতঃপর তাদের সম্বন্ধে আল্লাহ্ তা'আলা অবতীর্ণ করেনঃ
إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ
অর্থাৎ তবে তার জন্য নয়, যাকে কুফরীর জনে! বাধ্য করা হয়; কিন্তু তার চিত্ত থাকে ঈমানে অবিচলিত। (সূরা নাহলঃ ১১৬)। অনেক সময় তারা অসতকর্তা বশত ভুল করত। তারা তাদের এ অভ্যাস সম্পর্কে ইসলামের পূর্বে আলোচনা করেছিল, অনেক সময় তারা ভুল করত, এ নিয়েও তারা আলোচনা করত। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে এটা থেকে ক্ষমা করে দিলেন, কেননা তারা এ সম্বন্ধে ছিল অপারগ ও উপায়হীন। এটার প্রতি তারা মোটেই উৎসুক ছিলনা। আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও এ ধরনের তাফসীর গ্রহণ করেছেন। আল-কাসানী (রাহঃ) তার পিতা থেকে এ সম্বন্ধে আমাদের কাছে বর্ণনা পেশ করেছেন। সুতরাং হাদীসটি এ অর্থও বুঝাতে পারে, আবার প্রথম পক্ষ যা বলেছেন তাও বুঝাতে পারে। যখন এরূপ দুই ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে তখন আমরা এমন একটি দলীলের প্রয়োজনীয়তা বোধ করতে লাগলাম, যা তার অর্থ ও ব্যাখ্যা আমাদের কাছে সুস্পষ্ট করে দেবে এবং আমাদেরকে যে কোন একটি অর্থ ও ব্যাখ্যা বুঝাতে সহায়তা করবে। আর আমরা বিনা দ্বিধায় এ অর্থ ও ব্যাখ্যাটিকে অবলম্বন করে নেবে। এ ব্যাপারে আমরা গবেষণার আশ্রয় নিলাম ও দেখতে পেলাম خطأ -এর অর্থ কোন ব্যক্তি কোন একটি কাজের ইচ্ছে করল ও তা করল কিন্তু প্রকৃত পক্ষে কাজটি করার ইচ্ছে সে পোষণ করেনি এবং এটার দিকে উৎসুকও নয়। আর ★★ অর্থ হল কোন একটি কাজ করার কোন ব্যক্তি ইচ্ছে পোষণ করল এবং ইচ্ছার ভিত্তিতে সে কাজটি বাস্তবে রূপ দিল। তবে সে এমন লক্ষ্য বস্তুটি ভুলে গেল যেটা তাকে ঐ কাজ থেকে বিরত রাখত। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যখন কোন ব্যক্তি কাউকে নিজের স্ত্রী বলে ভুল করে এবং সে তার দিকে ইচ্ছে করে ও তাকে তালাক দেয়, তাহলে উলামায়ে কিরামের সকলে একমত যে, তার তালাকটি কার্যকর হবে। ভুলের জন্যে তারা তালাক-কে বাতিল মনে করেনা। আর তার এ ভুলটি মার্জনীয় ভুলেরও অন্তর্ভুক্ত নয়। কেননা মার্জনীয় ভুলের মধ্যে তালাক, শপথ ও গোলাম মুক্তির কিছুই অন্তর্ভুক্ত নয়। অনুরূপভাবে কোন কিছু করার জন্যে জোরপূর্বক বাধ্য করাও মার্জনীয় ভুলের অন্তর্ভুক্ত নয়। যারা তালাক, দাস মুক্তি ও শপথকে মার্জনীয় ভুলের মধ্যে গণ্য করেছেন এ আলোচনা দ্বারা তাদের ত্রুটি প্রমাণিত হয়।
প্রথমপক্ষতাদের মতামতের সপক্ষে নিম্নে বর্ণিত দলীলটি পেশ করেন, যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণিত রয়েছেঃ
بَابُ طَلَاقِ الْمُكْرَهِ
4648 - حَدَّثَنَا رَبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ , قَالَ: أَخْبَرَنَا الْأَوْزَاعِيُّ , عَنْ عَطَاءٍ , عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَجَاوَزَ اللهُ لِي عَنْ أُمَّتِي , الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ , وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا أُكْرِهَ عَلَى طَلَاقٍ , أَوْ نِكَاحٍ , أَوْ يَمِينٍ , أَوْ إِعْتَاقٍ , أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ حَتَّى فَعَلَهُ مُكْرَهًا , أَنَّ ذَلِكَ كُلَّهُ بَاطِلٌ , لِأَنَّهُ قَدْ دَخَلَ فِيمَا تَجَاوَزَ اللهُ فِيهِ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أُمَّتِهِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: بَلْ يَلْزَمُهُ مَا حَلَفَ بِهِ فِي حَالِ الْإِكْرَاهِ , مِنْ يَمِينٍ , وَيَنْفُذُ عَلَيْهِ طَلَاقُهُ , وَعَتَاقُهُ , وَنِكَاحُهُ , وَمُرَاجَعَتُهُ لِزَوْجَتِهِ الْمُطَلَّقَةِ , إِنْ كَانَ رَاجَعَهَا. وَتَأَوَّلُوا فِي هَذَا الْحَدِيثِ , مَعْنًى غَيْرَ الْمَعْنَى الَّذِي تَأَوَّلَهُ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى فَقَالُوا: إِنَّمَا ذَلِكَ فِي الشِّرْكِ خَاصَّةً , لِأَنَّ الْقَوْمَ كَانُوا حَدِيثِي عَهْدٍ بِكُفْرٍ , فِي دَارٍ كَانَتْ دَارَ كُفْرٍ , فَكَانَ الْمُشْرِكُونَ إِذَا قَدَرُوا عَلَيْهِمْ , اسْتَكْرَهُوهُمْ عَلَى الْإِقْرَارِ بِالْكُفْرِ , فَيُقِرُّونَ بِذَلِكَ بِأَلْسِنَتِهِمْ , قَدْ فَعَلُوا ذَلِكَ بِعَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَبِغَيْرِهِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَرَضِيَ عَنْهُمْ , فَنَزَلَتْ فِيهِمْ {إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ} [النحل: 106] وَرُبَّمَا سَهْوًا , فَتَكَلَّمُوا بِمَا جَرَتْ عَلَيْهِ عَادَتُهُمْ قَبْلَ الْإِسْلَامِ , وَرُبَّمَا أَخْطَئُوا فَتَكَلَّمُوا بِذَلِكَ أَيْضًا , فَتَجَاوَزَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُمْ عَنْ ذَلِكَ , لِأَنَّهُمْ غَيْرُ مُخْتَارِينَ لِذَلِكَ , وَلَا قَاصِدِينَ إِلَيْهِ. [ص:96] وَقَدْ ذَهَبَ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ إِلَى هَذَا التَّفْسِيرِ أَيْضًا. حَدَّثَنَاهُ الْكَيْسَانِيُّ , عَنْ أَبِيهِ. فَالْحَدِيثُ يَحْتَمِلُ هَذَا الْمَعْنَى , وَيَحْتَمِلُ مَا قَالَ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , فَلَمَّا احْتَمَلَ ذَلِكَ , احْتَجْنَا إِلَى كَشْفِ مَعَانِيهِ , لِيَدُلَّنَا عَلَى أَحَدِ التَّأْوِيلَيْنِ، فَنَصْرِفُ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ إِلَيْهِ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَوَجَدْنَا الْخَطَأَ , هُوَ مَا أَرَادَ الرَّجُلُ غَيْرَهُ , فَفَعَلَهُ , لَا عَنْ قَصْدٍ مِنْهُ إِلَيْهِ , وَلَا إِرَادَةٍ مِنْهُ إِيَّاهُ , وَكَانَ السَّهْوُ مَا قَصَدَ إِلَيْهِ , فَفَعَلَهُ عَلَى الْقَصْدِ مِنْهُ إِلَيْهِ , عَلَى أَنَّهُ سَاهٍ عَنِ الْمَعْنَى الَّذِي يَمْنَعُهُ مِنْ ذَلِكَ الْفِعْلِ وَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا نَسِيَ أَنْ تَكُونَ هَذِهِ الْمَرْأَةُ لَهُ زَوْجَةً , فَقَصَدَ إِلَيْهَا , فَطَلَّقَهَا , فَكُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ أَنَّ طَلَاقَهُ عَامِلٌ وَلَمْ يُبْطِلُوا ذَلِكَ لِسَهْوِهِ , وَلَمْ يَدْخُلْ ذَلِكَ السَّهْوُ فِي السَّهْوِ الْمَعْفُوِّ عَنْهُ فَإِذَا كَانَ السَّهْوُ الْمَعْفُوُّ عَنْهُ , لَيْسَ فِيهِ مَا ذَكَرْنَا مِنَ الطَّلَاقِ وَالْأَيْمَانِ , وَالْعَتَاقِ , كَانَ كَذَلِكَ الِاسْتِكْرَاهُ الْمَعْفُوُّ عَنْهُ , لَيْسَ فِيهِ أَيْضًا مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ فَثَبَتَ بِذَلِكَ , فَسَادُ قَوْلِ الَّذِينَ أَدْخَلُوا الطَّلَاقَ وَالْعَتَاقَ وَالْأَيْمَانَ فِي ذَلِكَ. وَاحْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَيْضًا لِقَوْلِهِمْ , بِمَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
