শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
৪. যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ৩১৫৩
সা'-এর ওজন কতটুকু?
৩১৫৩। আহমদ ইব্ন দাউদ (রাহঃ) ..... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক মুদ (মাককুক) পরিমাণ পানি দিয়ে উযূ এবং পাঁচ মুদ পরিমাণ পানি দিয়ে গােসল করতেন।
প্রশ্নকারী বলেছে ঃ এই হাদীস প্রথমােক্ত হাদীসের পরিপন্থী।
উত্তরে তাঁকে বলা হবে যে, আমাদের মতে এটা তার পরিপন্থী নয়। যেহেতু শরীক (রাহঃ)-এর হাদীসে এসেছে যে, নবী (ﷺ) আর এক মুদ পরিমাণ পানি দিয়ে উযূ করতেন। এর সাথে উতবা ইবন আবী হাকীম (রাহঃ) এর সাথে তার অনুকূলে মত প্রকাশ করেছেন। সুতরাং আব্দুল্লাহ ইবন জুবায়র (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। যখন কি-না শুবা (রাহঃ) আব্দুল্লাহ ইবন জুবায়র (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি, এতে সম্ভাবনা থাকছে যে মাকুক দ্বারা মুদ্ বুঝিয়েছেন। যেহেতু তারা মুদকে মাককুক হিসাবে আখ্যায়িত করতেন। অতএব যা দ্বারা তিনি উযু করেছেন তা হচ্ছে এক মদ এবং যা দ্বারা গােসল করেছেন তা হচ্ছে পাচ মুদ পরিমাণ। যার থেকে চার মুদ দ্বারা গােসল করেছেন আর যা এক সা' পরিমাণ এবং অপর এক মুদ দ্বারা উযূ করেছেন। সুতরাং এই হাদীসে সমন্বয় সাধিত হয়ে গেল যে, যে পানি দ্বারা তিনি উযূ করেছেন, তা ছিলাে জানাবাতের (গােসলের পূর্বে উযূ) এবং যে পানি দ্বারা তিনি গােসল করেছেন তা ছিলাে জানাবাতের (গােসল)। আর পক্ষান্তরে উতবা (রাহঃ)-এর হাদীসে পৃথক করে বর্ণনা করা হয়েছে যে, যে পানি দ্বারা তিনি গােসল করেছেন, তা ছিলাে বিশেষ করে জানাবাতের গােসল, এর দ্বারা তিনি (গােসল পূর্ব) উযূ করেননি। তবে তার জন্য উক্ত উযুও (অন্য পানি দ্বারা) থাকত। আমি ইবন আবী ইমরান (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমি ইবনুস ছালাযী (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি সা’র অনুমান করা হয়েছে সেই বস্তুর ওজনের উপর যার, পরিমাপ ও ওজন কিসমিস ও ডাল ইত্যাদির সমপরিমাণ । যেহেতু বলা হয়ে থাকেঃ সেটির পরিমাপ ও ওজন সমান।
প্রশ্নকারী বলেছে ঃ এই হাদীস প্রথমােক্ত হাদীসের পরিপন্থী।
উত্তরে তাঁকে বলা হবে যে, আমাদের মতে এটা তার পরিপন্থী নয়। যেহেতু শরীক (রাহঃ)-এর হাদীসে এসেছে যে, নবী (ﷺ) আর এক মুদ পরিমাণ পানি দিয়ে উযূ করতেন। এর সাথে উতবা ইবন আবী হাকীম (রাহঃ) এর সাথে তার অনুকূলে মত প্রকাশ করেছেন। সুতরাং আব্দুল্লাহ ইবন জুবায়র (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। যখন কি-না শুবা (রাহঃ) আব্দুল্লাহ ইবন জুবায়র (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি, এতে সম্ভাবনা থাকছে যে মাকুক দ্বারা মুদ্ বুঝিয়েছেন। যেহেতু তারা মুদকে মাককুক হিসাবে আখ্যায়িত করতেন। অতএব যা দ্বারা তিনি উযু করেছেন তা হচ্ছে এক মদ এবং যা দ্বারা গােসল করেছেন তা হচ্ছে পাচ মুদ পরিমাণ। যার থেকে চার মুদ দ্বারা গােসল করেছেন আর যা এক সা' পরিমাণ এবং অপর এক মুদ দ্বারা উযূ করেছেন। সুতরাং এই হাদীসে সমন্বয় সাধিত হয়ে গেল যে, যে পানি দ্বারা তিনি উযূ করেছেন, তা ছিলাে জানাবাতের (গােসলের পূর্বে উযূ) এবং যে পানি দ্বারা তিনি গােসল করেছেন তা ছিলাে জানাবাতের (গােসল)। আর পক্ষান্তরে উতবা (রাহঃ)-এর হাদীসে পৃথক করে বর্ণনা করা হয়েছে যে, যে পানি দ্বারা তিনি গােসল করেছেন, তা ছিলাে বিশেষ করে জানাবাতের গােসল, এর দ্বারা তিনি (গােসল পূর্ব) উযূ করেননি। তবে তার জন্য উক্ত উযুও (অন্য পানি দ্বারা) থাকত। আমি ইবন আবী ইমরান (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমি ইবনুস ছালাযী (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি সা’র অনুমান করা হয়েছে সেই বস্তুর ওজনের উপর যার, পরিমাপ ও ওজন কিসমিস ও ডাল ইত্যাদির সমপরিমাণ । যেহেতু বলা হয়ে থাকেঃ সেটির পরিমাপ ও ওজন সমান।
3153 - فَذَكَرَ مَا حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , قَالَ: أنا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ جُبَيْرٍ , سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُولُ: «إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَتَوَضَّأُ بِالْمَكُّوكِ , وَيَغْتَسِلُ بِخَمْسِ مَكَاكِيِّ» قَالَ: فَهَذَا الْحَدِيثُ يُخَالِفُ الْحَدِيثَ الْأَوَّلَ. قِيلَ لَهُ: مَا فِي هَذَا، عِنْدَنَا، خِلَافٌ لَهُ , لِأَنَّ حَدِيثَ شَرِيكٍ إِنَّمَا فِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ , وَقَدْ وَافَقَهُ عَلَى ذَلِكَ , عَتَبَةُ بْنُ أَبِي حَكِيمٍ فَرَوَى عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ جُبَيْرٍ نَحْوًا مِنْ ذَلِكَ. فَلَمَّا رَوَى شُعْبَةُ مَا ذَكَرْنَا عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ جُبَيْرٍ , احْتُمِلَ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِالْمَكُّوكِ , الْمُدَّ , لِأَنَّهُمْ كَانُوا يُسَمُّونَ الْمُدَّ مَكُّوكًا , فَيَكُونُ الَّذِي كَانَ يَتَوَضَّأُ بِهِ مُدًّا , وَيَكُونُ الَّذِي يَغْتَسِلُ بِهِ خَمْسَةَ مَكَاكِيِّ , يَغْتَسِلُ بِأَرْبَعَةٍ مِنْهَا , وَهِيَ أَرْبَعَةُ أَمْدَادٍ , وَهِيَ صَاعٌ , وَيَتَوَضَّأُ بِآخَرَ , وَهُوَ مُدٌّ. فَجَمَعَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ مَا كَانَ يَتَوَضَّأُ بِهِ لِلْجَنَابَةِ , وَمَا كَانَ يَغْتَسِلُ بِهِ لَهَا. وَأَفْرَدَ فِي حَدِيثِ عُتْبَةَ , مَا كَانَ يَغْتَسِلُ بِهِ لَهَا خَاصَّةً , دُونَ مَا كَانَ يَتَوَضَّأُ بِهِ , وَأَنَّ ذَلِكَ الْوُضُوءَ لَهَا أَيْضًا. وَسَمِعْتُ ابْنَ أَبِي عِمْرَانَ يَقُولُ: سَمِعْتُ ابْنَ الثَّلْجِيِّ يَقُولُ: «إِنَّمَا قَدْرُ الصَّاعِ عَلَى وَزْنِ مَا يَعْتَدِلُ كَيْلُهُ وَوَزْنُهُ مِنَ الْمَاشِ وَالزَّبِيبِ وَالْعَدَسِ» , فَإِنَّهُ يُقَالُ: إِنَّ كَيْلَ ذَلِكَ وَوَزْنَهُ سَوَاءٌ.
