শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
৪. যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ৩০২৩
সুস্থ-সবল দরিদ্র ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল কি-না।
৩০২৩। আবু বাকরা (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ হাত তিনটি (তিন প্রকারের) আল্লাহর হাত সুউচ্চ, দাতার হাত, যা তার নিকটবর্তী ও যাচনাকারীর হাত কিয়ামত পর্যন্ত নিচু। যথাসম্ভব তুমি (সওয়াল থেকে) বিরত থাকবে, তোমার ব্যাপারে তুমি অক্ষম হবে না, জরুরী খরচ পরিমাণ রাখার জন্য তোমার উপরে ভর্ৎসনা নেই। আল্লাহ্ তা'আলা যখন তোমাকে সম্পদ দান করেন, তখন এর নিদর্শন তোমার উপরে প্রকাশিত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
আবু জা'ফর (তাহারী র) বলেনঃ এই সমস্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দারিদ্র্যের কারণে ভিক্ষা বৃত্তিকে বৈধ করেছেন, অন্য কারণে নয়। আমাদের মতে এই সমস্ত হাদীসের সঠিক মর্ম বিশ্লেষণ অপরিহার্য করে যে, নবী করীম (ﷺ) তাঁর নিম্নোক্ত বাণী “সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল নয়" দ্বারা যে ব্যক্তিকে বুঝিয়েছেন, সে অন্য ব্যক্তি, যাকে আমরা তা থেকে ওয়াহব ইবন খাম্বাশ (রাযিঃ)-এর হাদীসে নিম্নোক্ত উক্তি দ্বারা বাদ দিয়েছি-“তবে চরম দারিদ্র্য কিংবা দায়ভারে অতিষ্ঠ ব্যক্তির জন্য জায়িয আছে।" আর যে ব্যক্তি নিজ সম্পদ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সওয়াল করে এবং সাদাকার সম্পদ থেকে অমুখাপেক্ষী হয়, সে ব্যতিক্রম, যাতে এই সমস্ত হাদীস সহীহ হয়ে যায়, এর অর্থ ও মর্ম সাংঘর্ষিক না হয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যায়।
বস্তুত এই সমস্ত হাদীসের যে মর্ম আমরা গ্রহণ করেছি-এটি হচ্ছে, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীসের মর্ম সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন উত্থাপনকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে আর সেই হাদীসটি হচ্ছে নিম্নরূপঃ
আবু জা'ফর (তাহারী র) বলেনঃ এই সমস্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দারিদ্র্যের কারণে ভিক্ষা বৃত্তিকে বৈধ করেছেন, অন্য কারণে নয়। আমাদের মতে এই সমস্ত হাদীসের সঠিক মর্ম বিশ্লেষণ অপরিহার্য করে যে, নবী করীম (ﷺ) তাঁর নিম্নোক্ত বাণী “সুস্থ-সবল ব্যক্তির জন্য সাদাকা হালাল নয়" দ্বারা যে ব্যক্তিকে বুঝিয়েছেন, সে অন্য ব্যক্তি, যাকে আমরা তা থেকে ওয়াহব ইবন খাম্বাশ (রাযিঃ)-এর হাদীসে নিম্নোক্ত উক্তি দ্বারা বাদ দিয়েছি-“তবে চরম দারিদ্র্য কিংবা দায়ভারে অতিষ্ঠ ব্যক্তির জন্য জায়িয আছে।" আর যে ব্যক্তি নিজ সম্পদ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সওয়াল করে এবং সাদাকার সম্পদ থেকে অমুখাপেক্ষী হয়, সে ব্যতিক্রম, যাতে এই সমস্ত হাদীস সহীহ হয়ে যায়, এর অর্থ ও মর্ম সাংঘর্ষিক না হয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যায়।
বস্তুত এই সমস্ত হাদীসের যে মর্ম আমরা গ্রহণ করেছি-এটি হচ্ছে, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীসের মর্ম সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন উত্থাপনকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে আর সেই হাদীসটি হচ্ছে নিম্নরূপঃ
3023 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ الْهَجَرِيِّ , عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْأَيْدِي ثَلَاثٌ: فَيَدُ اللهِ الْعُلْيَا , وَيَدُ الْمُعْطِي الَّتِي تَلِيهَا , وَيَدُ السَّائِلِ السُّفْلَى إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ , فَاسْتَعْفِفْ مَا اسْتَطَعْتَ , وَلَا تَعْجِزْ عَنْ نَفْسِكَ , وَلَا تُلَامُ عَلَى كَفَافٍ وَإِذَا آتَاكَ اللهُ خَيْرًا فَلْيُرَ عَلَيْكَ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَكَانَتِ الْمَسْأَلَةُ الَّتِي أَبَاحَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ كُلِّهَا هِيَ لِلْفَقْرِ لَا غَيْرِهِ. وَكَانَ تَصْحِيحُ مَعَانِي هَذِهِ الْآثَارِ، عِنْدَنَا، يُوجِبُ أَنَّ مَنْ قَصَدَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَوْلِهِ «لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ» , هُوَ غَيْرُ مَنِ اسْتَثْنَاهُ مِنْ ذَلِكَ فِي حَدِيثِ وَهْبِ بْنِ خَنْبَشٍ بِقَوْلِهِ: «إِلَّا مِنْ فَقْرٍ مُدْقِعٍ , أَوْ غُرْمٍ مُفْظِعٍ» وَأَنَّهُ الَّذِي يُرِيدُ بِمَسْأَلَتِهِ أَنْ يُكْثِرَ مَالَهُ , وَيَسْتَغْنِيَ مِنْ مَالِ الصَّدَقَةِ , حَتَّى تَصِحَّ هَذِهِ الْآثَارُ , وَتَتَّفِقَ مَعَانِيهَا وَلَا تَتَضَادَّ. وَهَذَا الْمَعْنَى الَّذِي حَمَلْنَا عَلَيْهِ وُجُوهَ هَذِهِ الْآثَارِ , هُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. فَإِنْ سَأَلَ سَائِلٌ عَنْ مَعْنَى حَدِيثِ عُمَرَ الْمَرْوِيِّ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَحْوٍ مِنْ هَذَا
