শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
৩. জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৭৬২
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৬২। ইব্ন আবী দাউদ (রাযিঃ).... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ একবার আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাযিঃ) এক জানাযায় বের হলেন এবং আমি তাঁর সাথে ছিলাম। তিনি এর সাথে মহিলাদেরকে দেখে থেমে গিয়ে বললেন, এদেরকে ফিরিয়ে দাও। তাঁরা হচ্ছে জীবিত ও মৃতের জন্য ফিতনা। তারপর তিনি এর পিছনে চললেন। আমি বললাম! হে আবু আব্দুর রহমান! জানাযার ক্ষেত্রে (বহনকালে) কিভাবে চলা বিধেয়, এর আগে না পিছনে পিছনে? তিনি বললেন, তুমি কি আমকে দেখতে পাচ্ছ না যে, আমি এর পিছনে পিছনে চলছি।
এই আবু আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাযিঃ) যখন তাঁকে জানাযা’র (বহনকালে) চলা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি প্রশ্নকারীকে উত্তর দিয়েছিলেন যে, এর পিছনে চলবে। আর এটিই আমরা তাঁর সূত্রে এ অনুচ্ছেদের শুরু ভাগে রিওয়ায়াত করে এসেছি যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) লোকদের জন্য সহজসাধ্য হওয়ার বিষয় বিবেচনা করে এমনটি করতেন। আর তাঁদেরকে একথা জানিয়ে দেয়ার জন্য যে, জানাযার আগে আগে চলা অপেক্ষা পিছনে চলা যদিও উত্তম, কিন্তু এটি এরূপ বিষয় যা করা যেতে পারে এবং অন্যটি অন্যটিও করা যেতে পারে।
অনুরূপভাবে এই বিষয়ে ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতঃ সালিম (রাহঃ) তাঁর থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি জানাযার অগ্রভাগে চলতেন। এতে অগ্রভাগে চলার বৈধতা বুঝা যাচ্ছে, এরূপ নয় যে, তা পিছনে চলা অপেক্ষা উত্তম। তারপর তাঁর থেকে নাফি’ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেনঃ তিনি এর (জানাযার) পিছনে চলেছেন। এটি দ্বারাও প্রমাণিত হচ্ছে যে, জানাযার পিছনে চলা বৈধ, এজন্য নয় যে, এটি অন্যটি অপেক্ষা উত্তম। যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো তখন তিনি তাকে সেই চলার কথাই বলেছিলেন, যা জানাযায় করা তার জন্য উচিত যে এর পিছনে (চলবে)। এই জন্য যে, এটিই অন্যটি অপেক্ষা উত্তম।
আমরা বারা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রিওয়ায়াত করেছি যে, নবী করীম (ﷺ) তাঁদের জানাযা অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন। এর সাধারণ অর্থ হচ্ছে সেই (জানাযার) পিছনে চলা। এতে প্রতীয়মান হয় যে, জানাযার হক হচ্ছে এর অনুসরণ করা এবং এর প্রতি দুআ করা। সুতরাং এর মুসল্লী (জানাযার সালাত আদায়কারী) সালাতে সেটি অপেক্ষা পিছনে থাকবে। অতএব এর ভিত্তিতে যুক্তির দাবী হচ্ছে, এর অনুসরণকারী অনুসরণে এর পিছনে থাকবে। বস্তুত এটিই হচ্ছে হাদীসসমূহের সাথে সঙ্গতি রক্ষা করে যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ।
এই আবু আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাযিঃ) যখন তাঁকে জানাযা’র (বহনকালে) চলা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি প্রশ্নকারীকে উত্তর দিয়েছিলেন যে, এর পিছনে চলবে। আর এটিই আমরা তাঁর সূত্রে এ অনুচ্ছেদের শুরু ভাগে রিওয়ায়াত করে এসেছি যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) লোকদের জন্য সহজসাধ্য হওয়ার বিষয় বিবেচনা করে এমনটি করতেন। আর তাঁদেরকে একথা জানিয়ে দেয়ার জন্য যে, জানাযার আগে আগে চলা অপেক্ষা পিছনে চলা যদিও উত্তম, কিন্তু এটি এরূপ বিষয় যা করা যেতে পারে এবং অন্যটি অন্যটিও করা যেতে পারে।
অনুরূপভাবে এই বিষয়ে ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতঃ সালিম (রাহঃ) তাঁর থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি জানাযার অগ্রভাগে চলতেন। এতে অগ্রভাগে চলার বৈধতা বুঝা যাচ্ছে, এরূপ নয় যে, তা পিছনে চলা অপেক্ষা উত্তম। তারপর তাঁর থেকে নাফি’ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেনঃ তিনি এর (জানাযার) পিছনে চলেছেন। এটি দ্বারাও প্রমাণিত হচ্ছে যে, জানাযার পিছনে চলা বৈধ, এজন্য নয় যে, এটি অন্যটি অপেক্ষা উত্তম। যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো তখন তিনি তাকে সেই চলার কথাই বলেছিলেন, যা জানাযায় করা তার জন্য উচিত যে এর পিছনে (চলবে)। এই জন্য যে, এটিই অন্যটি অপেক্ষা উত্তম।
আমরা বারা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রিওয়ায়াত করেছি যে, নবী করীম (ﷺ) তাঁদের জানাযা অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন। এর সাধারণ অর্থ হচ্ছে সেই (জানাযার) পিছনে চলা। এতে প্রতীয়মান হয় যে, জানাযার হক হচ্ছে এর অনুসরণ করা এবং এর প্রতি দুআ করা। সুতরাং এর মুসল্লী (জানাযার সালাত আদায়কারী) সালাতে সেটি অপেক্ষা পিছনে থাকবে। অতএব এর ভিত্তিতে যুক্তির দাবী হচ্ছে, এর অনুসরণকারী অনুসরণে এর পিছনে থাকবে। বস্তুত এটিই হচ্ছে হাদীসসমূহের সাথে সঙ্গতি রক্ষা করে যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ।
2762 - وَقَدْ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ الْبَهْرَانِيُّ , فَقَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ , عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ نَافِعٍ , قَالَ: خَرَجَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَأَنَا مَعَهُ عَلَى جِنَازَةٍ فَرَأَى مَعَهَا نِسَاءً , فَوَقَفَ ثُمَّ قَالَ: «رُدَّهُنَّ , فَإِنَّهُنَّ فِتْنَةُ الْحَيِّ وَالْمَيِّتِ» ثُمَّ مَضَى , فَمَشَى خَلْفَهَا. فَقُلْتُ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ , كَيْفَ الْمَشْيُ فِي الْجِنَازَةِ؟ . أَمَامَهَا أَمْ خَلْفَهَا؟ . فَقَالَ: «أَمَا تَرَانِي أَمْشِي خَلْفَهَا» فَهَذَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , لَمَّا سُئِلَ عَنِ الْمَشْيِ فِي الْجِنَازَةِ , أَجَابَ سَائِلَهُ , إِنَّهُ خَلْفَهَا , وَهُوَ الَّذِي رَوَيْنَا عَنْهُ فِي الْبَابِ الْأَوَّلِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَمْشِي أَمَامَهَا. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ عَلَى جِهَةِ التَّخْفِيفِ عَلَى النَّاسِ , لِيُعَلِّمَهُمْ أَنَّ الْمَشْيَ خَلَفَ الْجِنَازَةِ , وَإِنْ كَانَ أَفْضَلَ مِنَ الْمَشْيِ أَمَامَهَا , لَيْسَ هُوَ مِمَّا لَا بُدَّ مِنْهُ , وَلَا مِمَّا يُحْرَجُ تَارِكُهُ , وَلَكِنَّهُ مِمَّا لَهُ أَنْ يَفْعَلَهُ , وَيَفْعَلَ غَيْرَهُ. وَكَذَلِكَ مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ مِنْ ذَلِكَ , , فَرَوَى عَنْهُ سَالِمٌ أَنَّهُ كَانَ يَمْشِي أَمَامَ الْجِنَازَةِ. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى إِبَاحَةِ الْمَشْيِ أَمَامَهَا , لَا عَلَى أَنَّ ذَلِكَ أَفْضَلُ مِنَ الْمَشْيِ خَلْفَهَا , ثُمَّ رَوَى عَنْهُ نَافِعٌ أَنَّهُ مَشَى خَلْفَهَا. فَدَلَّ ذَلِكَ أَيْضًا عَلَى إِبَاحَتِهِ الْمَشْيَ خَلْفَهَا , لَا عَلَى أَنَّ ذَلِكَ أَفْضَلُ مِنْ غَيْرِهِ. فَلَمَّا سَأَلَهُ , أَخْبَرَهُ بِالْمَشْيِ الَّذِي يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَفْعَلَ فِي الْجِنَازَةِ خَلْفَهَا , عَلَى أَنَّهُ هُوَ الَّذِي هُوَ أَفْضَلُ مِنْ غَيْرِهِ. وَقَدْ رَوَيْنَا فِي حَدِيثِ الْبَرَاءِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَمَرَهُمْ بِاتِّبَاعِ الْجِنَازَةِ» , وَالْأَغْلَبُ مِنْ مَعْنَى ذَلِكَ , هُوَ الْمَشْيُ خَلْفَهَا أَيْضًا. فَصَارَ بِذَلِكَ مِنْ حَقِّ الْجِنَازَةِ , اتِّبَاعُهَا وَالصَّلَاةُ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ يُصَلِّي عَلَيْهَا يَكُونُ فِي صَلَاتِهِ عَلَيْهَا مُتَأَخِّرًا عَنْهَا. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ الْمُتَّبِعُ لَهَا فِي اتِّبَاعِهِ لَهَا , مُتَأَخِّرًا عَنْهَا , فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ مَعَ مَا قَدْ وَافَقَهُ مِنَ الْآثَارِ
