শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
৩. জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৭৬১
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৬১। রাওহ ইব্নুল ফারাজ (রাহঃ).... ইব্ন আবযা (রাহঃ)-এর পিতা আবযা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার এক জানাযায় চলছিলাম যাতে আবু বকর (রাযিঃ), উমর (রাযিঃ) ও আলী (রাযিঃ) উপস্থিত ছিলেন। আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) জানাযার আগে আগে চলছিলেন, আর আলী (রাযিঃ) পিছনে চলছিলেন। আমার হাত তাঁর হাতে ছিলো, আলী (রাযিঃ) বললেন, জেনে রেখঃ সেই ব্যক্তির শ্রেষ্ঠত্ব যে কিনা জানাযার পিছনে পিছনে চলে ঐ ব্যক্তির উপরে যে আগে আগে চলে, যেমন শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে একাকি সালাত আদায়ের উপর জামাতে সালাত আদায়ের। তাঁরা উভয়েই এই বিষয়ে অবহিত আছেন, যেমনিভাবে আমি অবহিত রয়েছি। কিন্তু তাঁরা সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন, যেন লোকদের জন্য বিষয়টি সহযসাধ্য হয়।
এই হাদীসে আলী (রাযিঃ) জানাযার আগে আগে চলাওপেক্ষা পিছনে চলাকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং তাঁর উক্তি “নিশ্চই আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তেমনি অবহিত আছেন, যেমনিভাবে আবহিত রয়েছি। কিন্তু তাঁরা লোকদের জন্য সহজসাধ্য বিষয়ের বিবেচনা করে টা পরিত্যাগ করেছেন। এজন্য নয় যে, অন্যটি অপেক্ষা এটি উত্তম। এটি আসলে এরূপ বিষয় যা রায় বা নিজস্ব সিদ্ধান্ত বলা যায় না। বরং এটি বলা যায় এবং জানা যায় টা দ্বারা, যা তাঁদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অবহিত করেছেন এবং শিক্ষা দিয়েছেন। অতএব আমরা যে রিওয়াত বর্ণনা করেছি এর সঠিক মর্ম নিরূপণ দ্বারা প্রমাণিত হল যে, জানাযার আগে আগে চলা অপেক্ষা পিছনে চলা উত্তম।
এই হাদীসে আলী (রাযিঃ) জানাযার আগে আগে চলাওপেক্ষা পিছনে চলাকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং তাঁর উক্তি “নিশ্চই আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তেমনি অবহিত আছেন, যেমনিভাবে আবহিত রয়েছি। কিন্তু তাঁরা লোকদের জন্য সহজসাধ্য বিষয়ের বিবেচনা করে টা পরিত্যাগ করেছেন। এজন্য নয় যে, অন্যটি অপেক্ষা এটি উত্তম। এটি আসলে এরূপ বিষয় যা রায় বা নিজস্ব সিদ্ধান্ত বলা যায় না। বরং এটি বলা যায় এবং জানা যায় টা দ্বারা, যা তাঁদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অবহিত করেছেন এবং শিক্ষা দিয়েছেন। অতএব আমরা যে রিওয়াত বর্ণনা করেছি এর সঠিক মর্ম নিরূপণ দ্বারা প্রমাণিত হল যে, জানাযার আগে আগে চলা অপেক্ষা পিছনে চলা উত্তম।
2761 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي فَرْوَةَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ زَائِدَةَ بْنِ خِرَاشٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كُنْتُ أَمْشِي فِي جِنَازَةٍ فِيهَا أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ. فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَمْشِيَانِ أَمَامَهَا , وَعَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَمْشِي خَلْفَهَا يَدِي فِي يَدِهِ. فَقَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «أَمَّا إِنَّ فَضْلَ الرَّجُلِ يَمْشِي خَلَفَ الْجِنَازَةِ , عَلَى الَّذِي يَمْشِي أَمَامَهَا , كَفَضْلِ صَلَاةِ الْجَمَاعَةِ عَلَى صَلَاةِ الْفَذِّ , وَإِنَّهُمَا لَيَعْلَمَانِ مِنْ ذَلِكَ مِثْلَ الَّذِي أَعْلَمُ , وَلَكِنَّهُمَا سَهْلَانِ يُسَهِّلَانِ عَلَى النَّاسِ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ تَفْضِيلُ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ الْمَشْيَ خَلَفَ الْجِنَازَةِ , عَلَى الْمَشْيِ أَمَامَهَا. وَقَوْلُهُ «إِنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَعْلَمَانِ مِثْلَ مَا أَعْلَمُ , وَإِنَّهُمَا إِنَّمَا يَتْرُكَانِ ذَلِكَ لِلتَّسْهِيلِ عَلَى النَّاسِ» , لَا لِأَنَّ ذَلِكَ أَفْضَلُ مِنْ غَيْرِهِ. وَهَذَا مِمَّا لَا يُقَالُ بِالرَّأْيِ , إِنَّمَا يُقَالُ وَيُعْلَمُ , بِمَا قَدْ وَقَفَهُمْ عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَعَلَّمَهُمْ إِيَّاهُ مِنْ ذَلِكَ. فَقَدْ ثَبَتَ بِتَصْحِيحِ مَا رَوَيْنَا , أَنَّ الْمَشْيَ خَلَفَ الْجِنَازَةِ , أَفْضَلُ مِنَ الْمَشْيِ أَمَامَهَا
