শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
৩. জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৭৪৬
জানাযার সাথে কোন দিক হয়ে চলা
২৭৪৬। রবী;উল জীযী (রাহঃ).... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, তিনি জানাযার আগে আগে চলতেন। আর রাসুলুল্লাহ (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ), উমর (রাযিঃ) ও উসমান (রাযিঃ) জানাযার আগে আগে চলতেন এবং জানাযা অনুসরণের বিষয়ে এটাই সুন্নত।
2746 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ: ثَنَى يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ , قَالَ: ثنا عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّهُ كَانَ يَمْشِي أَمَامَ الْجِنَازَةِ وَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَمْشِي بَيْنَ يَدَيِ الْجِنَازَةِ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , وَكَذَلِكَ السُّنَّةُ فِي اتِّبَاعِ الْجِنَازَةِ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
জানাযায় অংশগ্রহণ করা।
সমস্ত মুসলিম ভাই-ভাই। বরং সব মুসলিম মিলে একদেহতুল্য। কাজেই কোনও মুসলিমের মৃত্যু হওয়া যেন কারও দেহের একটি অঙ্গ ছিন্ন হওয়া। অঙ্গের ছিন্ন হওয়া যেমন প্রত্যেকের জন্য শোকের বিষয়, তেমনি কোনও মুসলিম ভাইয়ের মৃত্যুতেও শোক ও দুঃখ বোধ করা ইসলামী ভ্রাতৃত্বের দাবি। সবচে' বড় কথা যার মৃত্যু হল সে এতদিন দুনিয়ায় আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিলেমিশে ছিল। এখন সে একা হয়ে গেছে। কারও পক্ষে এখন তার পাশে দাঁড়ানো সম্ভবই নয়। তবে কি তাকে এভাবে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে? তার জন্য কিছুই করার সুযোগ নেই? হাঁ, সুযোগ আছে। কারও শারীরিক বা আর্থিক সাহায্যই বড় সাহায্য নয়। এরচে'ও বড় সাহায্য হল দীনী ও ঈমানী সাহায্য। যে সাহায্য কবর ও হাশরে কাজে আসে, তার মত উপকার আর হয় না। মৃত্যু দ্বারা যে ব্যক্তি একা হয়ে গেল, এখন সে সাহায্যই তার প্রয়োজন। ইসলাম আমাদেরকে সেরকম সাহায্যের পথ দেখিয়েছে। এরকম সাহায্যের সর্বপ্রধান ব্যবস্থা জানাযার নামায়। এটা কবরযাত্রীর জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ। আল্লাহ যেন তাকে মাফ করে দেন সে দুআই জানাযায় নামাযে করা হয়ে থাকে। মুমিনগণ নামাযের রূপে তার জন্য এ দুআ করলে অবশ্যই তা কবুল হওয়ার আশা থাকে। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযি. বর্ণিত এক হাদীছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ- ما من ميت تصلي عليه أمة من المسلمين يبلغون مائة، كلهم يشفعون له، إلا شفعوا فيه “একশ সংখ্যক মুসলিমের একটি দল যে মায়্যিতের জানাযার নামায আদায় করে এবং তারা তার জন্য সুপারিশ করে, তার জন্য তাদের সুপারিশ অবশ্যই কবুল হয়।
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ- ما من رجل مسلم يموت، فيقوم على جنازته أربعون رجلا، لا يشركون بالله شيئا، إلا شفعهم الله فيه “কোনও মুসলিম ব্যক্তি যদি মারা যায়, তারপর আল্লাহর সঙ্গে কোনওকিছুকে শরীক করে না এমন চল্লিশ জন লোক তার জানাযা পড়ে, তবে আল্লাহ তাআলা তার পক্ষে তাদের সুপারিশ অবশ্যই কবুল করেন।
জীবিতদের যে আমল দ্বারা মৃত ব্যক্তির এত বড় উপকার হয়, অত্যন্ত আগ্রহ উদ্দীপনার সঙ্গেই তাতে শরীক হওয়া চাই। এর ফযীলতও অনেক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ- من شهد الجنازة حتى يصلي فله قيراط، ومن شهد حتى تدفن كان له قيراطان، قيل : وما القيراطان؟ قال: مثل الجبلين العظيمين “যে ব্যক্তি মায়্যিতের সাথে তার জানাযার নামায আদায় করা পর্যন্ত হাজির থাকে,সে এক কীরাত ছাওয়াব লাভ করে। আর যে ব্যক্তি তাকে দাফন করা পর্যন্ত হাজির থাকে, সে দুই কীরাত ছাওয়াব লাভ করে। জিজ্ঞেস করা হল, দুই কীরাত কী? তিনি বললেন, দুটি বড় বড় পাহাড়ের সমান।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জানাযায় অংশগ্রহণ করা একটি অবশ্যপালনীয় আমল এবং এটা মৃতব্যক্তি ও তার পরিবারবর্গের হক।
সমস্ত মুসলিম ভাই-ভাই। বরং সব মুসলিম মিলে একদেহতুল্য। কাজেই কোনও মুসলিমের মৃত্যু হওয়া যেন কারও দেহের একটি অঙ্গ ছিন্ন হওয়া। অঙ্গের ছিন্ন হওয়া যেমন প্রত্যেকের জন্য শোকের বিষয়, তেমনি কোনও মুসলিম ভাইয়ের মৃত্যুতেও শোক ও দুঃখ বোধ করা ইসলামী ভ্রাতৃত্বের দাবি। সবচে' বড় কথা যার মৃত্যু হল সে এতদিন দুনিয়ায় আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিলেমিশে ছিল। এখন সে একা হয়ে গেছে। কারও পক্ষে এখন তার পাশে দাঁড়ানো সম্ভবই নয়। তবে কি তাকে এভাবে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে? তার জন্য কিছুই করার সুযোগ নেই? হাঁ, সুযোগ আছে। কারও শারীরিক বা আর্থিক সাহায্যই বড় সাহায্য নয়। এরচে'ও বড় সাহায্য হল দীনী ও ঈমানী সাহায্য। যে সাহায্য কবর ও হাশরে কাজে আসে, তার মত উপকার আর হয় না। মৃত্যু দ্বারা যে ব্যক্তি একা হয়ে গেল, এখন সে সাহায্যই তার প্রয়োজন। ইসলাম আমাদেরকে সেরকম সাহায্যের পথ দেখিয়েছে। এরকম সাহায্যের সর্বপ্রধান ব্যবস্থা জানাযার নামায়। এটা কবরযাত্রীর জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ। আল্লাহ যেন তাকে মাফ করে দেন সে দুআই জানাযায় নামাযে করা হয়ে থাকে। মুমিনগণ নামাযের রূপে তার জন্য এ দুআ করলে অবশ্যই তা কবুল হওয়ার আশা থাকে। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযি. বর্ণিত এক হাদীছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ- ما من ميت تصلي عليه أمة من المسلمين يبلغون مائة، كلهم يشفعون له، إلا شفعوا فيه “একশ সংখ্যক মুসলিমের একটি দল যে মায়্যিতের জানাযার নামায আদায় করে এবং তারা তার জন্য সুপারিশ করে, তার জন্য তাদের সুপারিশ অবশ্যই কবুল হয়।
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ- ما من رجل مسلم يموت، فيقوم على جنازته أربعون رجلا، لا يشركون بالله شيئا، إلا شفعهم الله فيه “কোনও মুসলিম ব্যক্তি যদি মারা যায়, তারপর আল্লাহর সঙ্গে কোনওকিছুকে শরীক করে না এমন চল্লিশ জন লোক তার জানাযা পড়ে, তবে আল্লাহ তাআলা তার পক্ষে তাদের সুপারিশ অবশ্যই কবুল করেন।
জীবিতদের যে আমল দ্বারা মৃত ব্যক্তির এত বড় উপকার হয়, অত্যন্ত আগ্রহ উদ্দীপনার সঙ্গেই তাতে শরীক হওয়া চাই। এর ফযীলতও অনেক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ- من شهد الجنازة حتى يصلي فله قيراط، ومن شهد حتى تدفن كان له قيراطان، قيل : وما القيراطان؟ قال: مثل الجبلين العظيمين “যে ব্যক্তি মায়্যিতের সাথে তার জানাযার নামায আদায় করা পর্যন্ত হাজির থাকে,সে এক কীরাত ছাওয়াব লাভ করে। আর যে ব্যক্তি তাকে দাফন করা পর্যন্ত হাজির থাকে, সে দুই কীরাত ছাওয়াব লাভ করে। জিজ্ঞেস করা হল, দুই কীরাত কী? তিনি বললেন, দুটি বড় বড় পাহাড়ের সমান।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জানাযায় অংশগ্রহণ করা একটি অবশ্যপালনীয় আমল এবং এটা মৃতব্যক্তি ও তার পরিবারবর্গের হক।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
