শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৬৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৬৬
মুসল্লীর সামনে দিয়ে যাতায়াত করা, এটা তার সালাতকে বিনষ্ট করে কিনা?
২৬৬৫-২৬৬৬। ইবন মারযূক (রাহঃ) ...... ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ কোন কিছু সালাতকে বিনষ্ট করবে না, তোমরা যথাসম্ভব (যাতায়াতকারীদের) প্রতিহত করো।
সালিহ (রাহঃ) ..... ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
এই ইবন উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর ইন্তিকালের পরে এটি বলেছেন এবং তিনি তা নবী করীম ﷺ থেকে শুনেছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, তিনি পূর্বে যা রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে শুনেছেন তা রহিত হয়ে গিয়েছে এবং সেটি অপেক্ষা তাঁর এই নিজস্ব অভিমত উত্তম বিবেচিত হবে।
পক্ষান্তরে ইবন উমর (রাযিঃ) ও আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) কর্তৃক বর্নিত হাদীসে মুসল্লী কর্তৃক তার সম্মুখ দিয়ে যাতায়াতকারীর সাথে লড়াই করার যে বিষয় উল্লিখিত হয়েছে, এতে সম্ভাবনা রয়েছে যে, এটি সেই সময়কার ঘটনা যখন সালাতে আমলে কাসীরসহ কথা-বার্তা বৈধ ছিল। পরবর্তীতে সালাতে কাজকর্ম রহিত হয়ে যাওয়ার সাথে তা রহিত হয়ে গিয়েছে। বস্তুত এটি-ই হচ্ছে রিওয়ায়াতে দিক থেকে এই অনুচ্ছেদের হাদীস সমূহের সঠিক মর্ম নিরূপণের যথার্থ পন্থা।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)- এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
আলোচ্য বিষয়ের যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ হচ্ছে নিন্মরূপঃ আমরা লক্ষ্য করেছি যে, মুসল্লীর সম্মুখ দিয়ে কালো ব্যতীত অপরাপর রংের কুকুর যাতায়াত যে সালাত বিনষ্ট করে না, এই বিষয়ে তাঁদের ('আলিমদের) মতবিরোধ নেই। তাই আমরা কালো কুকুরের বিধানের দিকে দৃষ্টি দেয়ার প্রয়াস পাব যে, এটির বিধান অনুরূপ কিনা?
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, কালো বা অন্য সমস্ত কুকুরের গোশত আহার করা হারাম। এর গোশত আহারের অবৈধতা (হারাম হওয়া) বর্ন ভেদের কারনে নয়; বরং এর সত্তাগত কারণে। অনুরূপভাবে প্রত্যেক হিংস্র পশু ও হিংস্র পাখির গোশত এবং গৃহপালিত গাধার গোশত যা খেতে নিষেধ করা হয়েছে; এই সমস্তের মধ্যে বর্ন ভেদের কারনে বিধানগত কোনরূপ পার্থক্য সৃষ্টি হবে না। আর এই সমস্ত উচ্ছিষ্টও অনুরূপ।
অতএব উক্ত যুক্তির ভিত্তিতে মুসল্লীর সম্মুখ দিয়ে যাতায়াতে সমস্ত রকম কুকুরের বিধান অভিন্ন হবে। যেমনিভাবে অন্য কুকুর (কালো ব্যতীত) সালাত বিনষ্ট করে না, অনুরূপভাবে কালো কুকুর (সালাত বিনষ্ট করবে না)। যখন যুক্তির ভিত্তিতে কুকুরসমূহের বিষয়ে তা প্রমাণিত হলো, যা আমরা উল্লেখ করলাম; অতএব গাধার (বিধান) ও অনুরূপ হওয়া অধিকতর যুক্তিযুক্ত। কেননা গৃহপালিত গাধার গোশত আহারের ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে। একদল 'আলিম এর বৈধতা ঘোষণা করেছে, পক্ষান্তরে অপর একদল মাকরূহ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
যখন মুসলমানদের ঐক্যমত রয়েছে যে, যে জন্তুর গোশত আহার করা হয় না তার যাতায়াত সালাতকে বিনষ্ট করে না। তাহলে গোশত আহারে বিরোধপূর্ণ জন্তুর যাতায়াত উত্তমরূপেই সালাতকে বিনষ্ট করবে না।
বস্তুত এটি-ই হচ্ছে, এই অনুচ্ছেদের যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ এবং এটি-ই হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)- এর অভিমত।
এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর অনেক সাহাবা থেকেও বর্নিত আছে, তাঁদের থেকে বর্নিত হাদীস আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুর ভাগে বর্ননা করে এসেছি। তাঁদের থেকে এই বিষয়ে বর্নিত আরো কতিপয় হাদীসঃ
সালিহ (রাহঃ) ..... ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
এই ইবন উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর ইন্তিকালের পরে এটি বলেছেন এবং তিনি তা নবী করীম ﷺ থেকে শুনেছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, তিনি পূর্বে যা রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে শুনেছেন তা রহিত হয়ে গিয়েছে এবং সেটি অপেক্ষা তাঁর এই নিজস্ব অভিমত উত্তম বিবেচিত হবে।
পক্ষান্তরে ইবন উমর (রাযিঃ) ও আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) কর্তৃক বর্নিত হাদীসে মুসল্লী কর্তৃক তার সম্মুখ দিয়ে যাতায়াতকারীর সাথে লড়াই করার যে বিষয় উল্লিখিত হয়েছে, এতে সম্ভাবনা রয়েছে যে, এটি সেই সময়কার ঘটনা যখন সালাতে আমলে কাসীরসহ কথা-বার্তা বৈধ ছিল। পরবর্তীতে সালাতে কাজকর্ম রহিত হয়ে যাওয়ার সাথে তা রহিত হয়ে গিয়েছে। বস্তুত এটি-ই হচ্ছে রিওয়ায়াতে দিক থেকে এই অনুচ্ছেদের হাদীস সমূহের সঠিক মর্ম নিরূপণের যথার্থ পন্থা।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)- এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
আলোচ্য বিষয়ের যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ হচ্ছে নিন্মরূপঃ আমরা লক্ষ্য করেছি যে, মুসল্লীর সম্মুখ দিয়ে কালো ব্যতীত অপরাপর রংের কুকুর যাতায়াত যে সালাত বিনষ্ট করে না, এই বিষয়ে তাঁদের ('আলিমদের) মতবিরোধ নেই। তাই আমরা কালো কুকুরের বিধানের দিকে দৃষ্টি দেয়ার প্রয়াস পাব যে, এটির বিধান অনুরূপ কিনা?
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, কালো বা অন্য সমস্ত কুকুরের গোশত আহার করা হারাম। এর গোশত আহারের অবৈধতা (হারাম হওয়া) বর্ন ভেদের কারনে নয়; বরং এর সত্তাগত কারণে। অনুরূপভাবে প্রত্যেক হিংস্র পশু ও হিংস্র পাখির গোশত এবং গৃহপালিত গাধার গোশত যা খেতে নিষেধ করা হয়েছে; এই সমস্তের মধ্যে বর্ন ভেদের কারনে বিধানগত কোনরূপ পার্থক্য সৃষ্টি হবে না। আর এই সমস্ত উচ্ছিষ্টও অনুরূপ।
অতএব উক্ত যুক্তির ভিত্তিতে মুসল্লীর সম্মুখ দিয়ে যাতায়াতে সমস্ত রকম কুকুরের বিধান অভিন্ন হবে। যেমনিভাবে অন্য কুকুর (কালো ব্যতীত) সালাত বিনষ্ট করে না, অনুরূপভাবে কালো কুকুর (সালাত বিনষ্ট করবে না)। যখন যুক্তির ভিত্তিতে কুকুরসমূহের বিষয়ে তা প্রমাণিত হলো, যা আমরা উল্লেখ করলাম; অতএব গাধার (বিধান) ও অনুরূপ হওয়া অধিকতর যুক্তিযুক্ত। কেননা গৃহপালিত গাধার গোশত আহারের ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে। একদল 'আলিম এর বৈধতা ঘোষণা করেছে, পক্ষান্তরে অপর একদল মাকরূহ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
যখন মুসলমানদের ঐক্যমত রয়েছে যে, যে জন্তুর গোশত আহার করা হয় না তার যাতায়াত সালাতকে বিনষ্ট করে না। তাহলে গোশত আহারে বিরোধপূর্ণ জন্তুর যাতায়াত উত্তমরূপেই সালাতকে বিনষ্ট করবে না।
বস্তুত এটি-ই হচ্ছে, এই অনুচ্ছেদের যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ এবং এটি-ই হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)- এর অভিমত।
এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর অনেক সাহাবা থেকেও বর্নিত আছে, তাঁদের থেকে বর্নিত হাদীস আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুর ভাগে বর্ননা করে এসেছি। তাঁদের থেকে এই বিষয়ে বর্নিত আরো কতিপয় হাদীসঃ
2665 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الصَّمَدِ , عَنْ شُعْبَةَ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ , عَنْ نَافِعٍ , وَسَالِمٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: «لَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ شَيْءٌ، وَادْرَءُوا مَا اسْتَطَعْتُمْ»
2666 - حَدَّثَنَا صَالِحٌ، قَالَ: ثنا سَعِيدٌ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِثْلَهُ فَهَذَا ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَدْ قَالَ هَذَا بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَقَدْ سَمِعَ ذَلِكَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَدْ دَلَّ هَذَا عَلَى ثُبُوتِ نَسْخِ مَا كَانَ سَمِعَهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , حَتَّى صَارَ مَا قَالَ بِهِ مِنْ هَذَا , أَوْلَى عِنْدَهُ. مِنْ ذَلِكَ. وَأَمَّا الْقِتَالُ الْمَذْكُورُ فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وَأَبِي سَعِيدٍ مِنَ الْمُصَلِّي , لِمَنْ أَرَادَ الْمُرُورَ بَيْنَ يَدَيْهِ , فَقَدْ يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ أُبِيحَ فِي وَقْتٍ كَانَتِ الْأَفْعَالُ فِيهِ مُبَاحَةً فِي الصَّلَاةِ , ثُمَّ نُسِخَ ذَلِكَ بِنَسْخِ الْأَفْعَالِ فِي الصَّلَاةِ. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا رَأَيْنَاهُمْ لَا يَخْتَلِفُونَ فِي الْكَلْبِ غَيْرِ الْأَسْوَدِ , أَنَّ مُرُورَهُ بَيْنَ يَدَيِ الْمُصَلِّي لَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ. فَأَرَدْنَا أَنَّ نَنْظُرَ فِي حُكْمِ الْأَسْوَدِ , هَلْ هُوَ كَذَلِكَ أَمْ لَا؟ فَرَأَيْنَا الْكِلَابَ كُلَّهَا , حَرَامٌ أَكْلُ لُحُومِهَا , مَا كَانَ مِنْهَا أَسْوَدُ , وَمَا كَانَ مِنْهَا غَيْرَ أَسْوَدَ , فَلَمْ يَكُنْ حُرْمَةُ لُحُومِهَا لِأَلْوَانِهَا , وَلَكِنْ لِعِلَلِهَا فِي أَنْفُسِهَا. وَكَذَلِكَ كُلُّ مَا نُهِيَ أَكْلُهُ مِنْ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ , وَكُلِّ ذِي مِخْلَبٍ مِنَ الطَّيْرِ , وَمِنَ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ , لَا يَفْتَرِقُ فِي ذَلِكَ حُكْمُ شَيْءٍ مِنْهَا , لِاخْتِلَافِ أَلْوَانِهَا , وَكَذَلِكَ أَسْآرُهَا كُلُّهَا. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ حُكْمُ الْكِلَابِ كُلِّهَا فِي مُرُورِهَا , بَيْنَ يَدَيِ الْمُصَلِّي سَوَاءً , فَكَمَا كَانَ غَيْرُ الْأَسْوَدِ مِنْهَا لَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ , فَكَذَلِكَ الْأَسْوَدُ. وَلَمَّا ثَبَتَ فِي الْكِلَابِ بِالنَّظَرِ مَا ذَكَرْنَا , كَانَ الْحِمَارُ أَوْلَى أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ , لِأَنَّهُ قَدِ اخْتُلِفَ فِي أَكْلِ لُحُومِ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ , فَأَجَازَهُ قَوْمٌ , وَكَرِهَهُ آخَرُونَ. فَإِذْ كَانَ مَا لَا يُؤْكَلُ لَحْمُهُ بِاتِّفَاقِ الْمُسْلِمِينَ , لَا يَقْطَعُ مُرُورُهُ الصَّلَاةَ , كَانَ مَا اخْتُلِفَ فِي أَكْلِ لَحْمِهِ , أَحْرَى أَنْ لَا يَقْطَعَ مُرُورُهُ الصَّلَاةَ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا , عَنْ نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَدْ ذَكَرْنَا , بَعْدَمَا رُوِيَ عَنْهُمْ , فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْبَابِ
وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُمْ فِي ذَلِكَ أَيْضًا
2666 - حَدَّثَنَا صَالِحٌ، قَالَ: ثنا سَعِيدٌ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِثْلَهُ فَهَذَا ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَدْ قَالَ هَذَا بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَقَدْ سَمِعَ ذَلِكَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَدْ دَلَّ هَذَا عَلَى ثُبُوتِ نَسْخِ مَا كَانَ سَمِعَهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , حَتَّى صَارَ مَا قَالَ بِهِ مِنْ هَذَا , أَوْلَى عِنْدَهُ. مِنْ ذَلِكَ. وَأَمَّا الْقِتَالُ الْمَذْكُورُ فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وَأَبِي سَعِيدٍ مِنَ الْمُصَلِّي , لِمَنْ أَرَادَ الْمُرُورَ بَيْنَ يَدَيْهِ , فَقَدْ يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ أُبِيحَ فِي وَقْتٍ كَانَتِ الْأَفْعَالُ فِيهِ مُبَاحَةً فِي الصَّلَاةِ , ثُمَّ نُسِخَ ذَلِكَ بِنَسْخِ الْأَفْعَالِ فِي الصَّلَاةِ. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا رَأَيْنَاهُمْ لَا يَخْتَلِفُونَ فِي الْكَلْبِ غَيْرِ الْأَسْوَدِ , أَنَّ مُرُورَهُ بَيْنَ يَدَيِ الْمُصَلِّي لَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ. فَأَرَدْنَا أَنَّ نَنْظُرَ فِي حُكْمِ الْأَسْوَدِ , هَلْ هُوَ كَذَلِكَ أَمْ لَا؟ فَرَأَيْنَا الْكِلَابَ كُلَّهَا , حَرَامٌ أَكْلُ لُحُومِهَا , مَا كَانَ مِنْهَا أَسْوَدُ , وَمَا كَانَ مِنْهَا غَيْرَ أَسْوَدَ , فَلَمْ يَكُنْ حُرْمَةُ لُحُومِهَا لِأَلْوَانِهَا , وَلَكِنْ لِعِلَلِهَا فِي أَنْفُسِهَا. وَكَذَلِكَ كُلُّ مَا نُهِيَ أَكْلُهُ مِنْ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ , وَكُلِّ ذِي مِخْلَبٍ مِنَ الطَّيْرِ , وَمِنَ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ , لَا يَفْتَرِقُ فِي ذَلِكَ حُكْمُ شَيْءٍ مِنْهَا , لِاخْتِلَافِ أَلْوَانِهَا , وَكَذَلِكَ أَسْآرُهَا كُلُّهَا. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ حُكْمُ الْكِلَابِ كُلِّهَا فِي مُرُورِهَا , بَيْنَ يَدَيِ الْمُصَلِّي سَوَاءً , فَكَمَا كَانَ غَيْرُ الْأَسْوَدِ مِنْهَا لَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ , فَكَذَلِكَ الْأَسْوَدُ. وَلَمَّا ثَبَتَ فِي الْكِلَابِ بِالنَّظَرِ مَا ذَكَرْنَا , كَانَ الْحِمَارُ أَوْلَى أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ , لِأَنَّهُ قَدِ اخْتُلِفَ فِي أَكْلِ لُحُومِ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ , فَأَجَازَهُ قَوْمٌ , وَكَرِهَهُ آخَرُونَ. فَإِذْ كَانَ مَا لَا يُؤْكَلُ لَحْمُهُ بِاتِّفَاقِ الْمُسْلِمِينَ , لَا يَقْطَعُ مُرُورُهُ الصَّلَاةَ , كَانَ مَا اخْتُلِفَ فِي أَكْلِ لَحْمِهِ , أَحْرَى أَنْ لَا يَقْطَعَ مُرُورُهُ الصَّلَاةَ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا , عَنْ نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَدْ ذَكَرْنَا , بَعْدَمَا رُوِيَ عَنْهُمْ , فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْبَابِ
وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُمْ فِي ذَلِكَ أَيْضًا
