শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৬৩১
নামাযের অধ্যায়
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬৩১। আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) ...... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার জনৈক ব্যক্তি ইবন আব্বাস (রাযিঃ)- কে সালাম করেন, তিনি তখন সালাত আদায় করছিলেন। এতে তিনি তার কোন জওয়াব না দিয়ে তাকে নিজ হাতের দ্বারা ইশারা করেন।
বস্তুত এই ইবন আব্বাস (রাযিঃ) সালাতে সেই ব্যক্তির সালামের জওয়াব দেননি, যে তাকে সালাতরত অবস্থায় সালাম করেছিল। বরং তিনি তার একাজ মাকরূহ হওয়ার প্রতি নিজ হাতে ইশারা করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) ও জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) যারা উভয়েই নবী করীম ﷺ -কে তাঁর সালাতরত অবস্থায় সালাম করেছিলেন, তাঁরা উভয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর (ইন্তিকালের) পরে মুসল্লীকে সালাম দেয়া মাকরূহ বলেছেন। এতে প্রমাণিত হলো যে, নবী করীম ﷺ -এর যে ইশারা সম্পর্কে তারা অবহিত হয়েছিলেন সেটি জওয়াব হিসাবে ছিলনা। বরং তা ছিল নিষেধাজ্ঞা স্বরূপ। কারণ সালাত আদৌ সালামের স্থান নয়। যেহেতু সালাম হচ্ছে কথা বলার অনুরূপ, অতএব এর জওয়াবও অনুরূপ হবে। যখন সালাত কথা বলার স্থান নয়, অতএব সালামের জওয়াবও সালামের স্থান নয়।
রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতে অঙ্গসমূহকে স্থির রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
বস্তুত এই ইবন আব্বাস (রাযিঃ) সালাতে সেই ব্যক্তির সালামের জওয়াব দেননি, যে তাকে সালাতরত অবস্থায় সালাম করেছিল। বরং তিনি তার একাজ মাকরূহ হওয়ার প্রতি নিজ হাতে ইশারা করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) ও জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) যারা উভয়েই নবী করীম ﷺ -কে তাঁর সালাতরত অবস্থায় সালাম করেছিলেন, তাঁরা উভয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর (ইন্তিকালের) পরে মুসল্লীকে সালাম দেয়া মাকরূহ বলেছেন। এতে প্রমাণিত হলো যে, নবী করীম ﷺ -এর যে ইশারা সম্পর্কে তারা অবহিত হয়েছিলেন সেটি জওয়াব হিসাবে ছিলনা। বরং তা ছিল নিষেধাজ্ঞা স্বরূপ। কারণ সালাত আদৌ সালামের স্থান নয়। যেহেতু সালাম হচ্ছে কথা বলার অনুরূপ, অতএব এর জওয়াবও অনুরূপ হবে। যখন সালাত কথা বলার স্থান নয়, অতএব সালামের জওয়াবও সালামের স্থান নয়।
রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতে অঙ্গসমূহকে স্থির রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
كتاب الصلاة
2631 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خُشَيْشٍ، قَالَ: ثنا عَارِمٌ، قَالَ: ثنا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ عَطَاءٍ: أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا سَلَّمَ عَلَيْهِ رَجُلٌ وَهُوَ يُصَلِّي , فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا , وَغَمَزَهُ بِيَدِهِ " فَهَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَيْضًا لَمْ يَرُدَّ فِي صَلَاتِهِ عَلَى الَّذِي سَلَّمَ عَلَيْهِ وَهُوَ فِيهَا , وَلَكِنَّهُ غَمَزَهُ بِيَدِهِ عَلَى الْكَرَاهَةِ مِنْهُ لِمَا فَعَلَ. فَلَمَّا كَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُودٍ وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وَقَدْ كَانَا سَلَّمَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلِّي , قَدْ كَرِهَا مِنْ بَعْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّلَامَ عَلَى الْمُصَلِّي. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ مَا كَانَ مِنْ إِشَارَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّتِي قَدْ عِلْمَاهَا مِنْهُ , لَمْ تَكُنْ رَدًّا وَإِنَّمَا كَانَتْ نَهْيًا , لِأَنَّ الصَّلَاةَ لَيْسَتْ بِمَوْضِعِ سَلَامٍ , لِأَنَّ السَّلَامَ كَلَامٌ , فَجَوَابُهُ أَيْضًا كَذَلِكَ. فَلَمَّا كَانَتِ الصَّلَاةُ لَيْسَتْ بِمَوْضِعِ كَلَامٍ , يَكُونُ رَدُّ السَّلَامِ لَمْ يَكُنْ أَيْضًا بِمَوْضِعِ سَلَامٍ. وَقَدْ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَسْكِينِ الْأَطْرَافِ فِي الصَّلَاةِ