শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৬২৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৬২৯
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬২৮-২৬২৯। ফাহাদ (রাহঃ) ..... আবু সুফইয়ান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি জাবির (রাযিঃ) -কে বলতে শুনেছি, আমি সালাতরত অবস্থায় কাউকে সালাম করতে পছন্দ করি না। তবে সে যদি আমাকে সালাম করে আমি তার জওয়াব দিব।
মুহাম্মাদ ইবন খুযায়ম (রাহঃ) ..... আ'মাশ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আর এই জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) মুসল্লীকে সালাম দেয়া অপছন্দ করেছেন (মাকরূহ করেছেন)। অথচ তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে সালাতরত অবস্থায় সালাম করেছিলেন তিনি ﷺ তাঁকে ইশারা করেছেন। বস্তুত যদি নবী করীম ﷺ -এর ইশারা তাঁকে জওয়াবের উদ্দেশ্যে হতো তাহলে তিনি এটিকে মাকরূহ বলতেন না। যেহেতু রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে এর থেকে নিষেধ করেননি। কিন্তু তিনি এটিকে মাকরূহ বলেছেন এই জন্য, কারন রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর ইশারা তাঁর নিকট তাঁকে সালাতরত অবস্থায় সালামের নিষেধাজ্ঞা স্বরূপ ছিল।
প্রশ্নঃ কেউ যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, জাবির (রাযিঃ) তোমাদের এই হাদীসে বলেছেনঃ "কেউ যদি আমাকে সালাম দেয় তাহলে আমি অবশ্যই জওয়াব দিব" (তাহলে তোমরা মাকরূহ কিভাবে বলো?)।
উত্তরঃ তাকে বলা হবে যে, জাবির (রাযিঃ) কি বলেছেন, "আমি সালাতে অবশ্যই জওয়াব দিব"। হতে পারে "অবশ্যই আমি জওয়াব দিব" তাঁর এই উক্তির উদ্দেশ্য ছিল এ কথা বুঝানো, সালাত থেকে আমার অবসর হওয়ার পর (জওয়াব দিব) তাঁর মতের স্বপক্ষে নিন্মোক্ত হাদীস প্রমাণ বহন করেনঃ
মুহাম্মাদ ইবন খুযায়ম (রাহঃ) ..... আ'মাশ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আর এই জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) মুসল্লীকে সালাম দেয়া অপছন্দ করেছেন (মাকরূহ করেছেন)। অথচ তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে সালাতরত অবস্থায় সালাম করেছিলেন তিনি ﷺ তাঁকে ইশারা করেছেন। বস্তুত যদি নবী করীম ﷺ -এর ইশারা তাঁকে জওয়াবের উদ্দেশ্যে হতো তাহলে তিনি এটিকে মাকরূহ বলতেন না। যেহেতু রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে এর থেকে নিষেধ করেননি। কিন্তু তিনি এটিকে মাকরূহ বলেছেন এই জন্য, কারন রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর ইশারা তাঁর নিকট তাঁকে সালাতরত অবস্থায় সালামের নিষেধাজ্ঞা স্বরূপ ছিল।
প্রশ্নঃ কেউ যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, জাবির (রাযিঃ) তোমাদের এই হাদীসে বলেছেনঃ "কেউ যদি আমাকে সালাম দেয় তাহলে আমি অবশ্যই জওয়াব দিব" (তাহলে তোমরা মাকরূহ কিভাবে বলো?)।
উত্তরঃ তাকে বলা হবে যে, জাবির (রাযিঃ) কি বলেছেন, "আমি সালাতে অবশ্যই জওয়াব দিব"। হতে পারে "অবশ্যই আমি জওয়াব দিব" তাঁর এই উক্তির উদ্দেশ্য ছিল এ কথা বুঝানো, সালাত থেকে আমার অবসর হওয়ার পর (জওয়াব দিব) তাঁর মতের স্বপক্ষে নিন্মোক্ত হাদীস প্রমাণ বহন করেনঃ
2628 - مَا قَدْ حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ , قَالَ: ثنا أَبِي قَالَ: ثنا الْأَعْمَشُ , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سُفْيَانَ , قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرًا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُولُ: «مَا أُحِبُّ أَنْ أُسَلِّمَ عَلَى الرَّجُلِ وَهُوَ يُصَلِّي , وَلَوْ سَلَّمَ عَلَيَّ لَرَدَدْتُ عَلَيْهِ»
2629 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ إِشْكَابَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَهَذَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَدْ كَرِهَ أَنْ يُسَلِّمَ، عَلَى الْمُصَلِّي , وَقَدْ كَانَ سَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلِّي , فَأَشَارَ إِلَيْهِ. فَلَوْ كَانَتِ الْإِشَارَةُ الَّتِي كَانَتْ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَدًّا لِلسَّلَامِ عَلَيْهِ إِذْ لَمَا كَرِهَ ذَلِكَ , لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَنْهَهُ عَنْهُ , وَلَكِنَّهُ إِنَّمَا كَرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّ إِشَارَةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِلْكَ , كَانَتْ عِنْدَهُ نَهْيًا مِنْهُ لَهُ عَنِ السَّلَامِ عَلَيْهِ وَهُوَ يُصَلِّي. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ قَالَ جَابِرٌ فِي حَدِيثِكُمْ هَذَا «وَلَوْ سَلَّمَ عَلَيَّ لَرَدَدْتُ» . قِيلَ لَهُ: أَفَقَالَ جَابِرٌ «لَرَدَدْتُ فِي الصَّلَاةِ» قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِقَوْلِهِ «لَرَدَدْتُ» أَيْ بَعْدَ فَرَاغِي مِنَ الصَّلَاةِ
وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ مِنْ مَذْهَبِهِ
2629 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ إِشْكَابَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَهَذَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَدْ كَرِهَ أَنْ يُسَلِّمَ، عَلَى الْمُصَلِّي , وَقَدْ كَانَ سَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلِّي , فَأَشَارَ إِلَيْهِ. فَلَوْ كَانَتِ الْإِشَارَةُ الَّتِي كَانَتْ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَدًّا لِلسَّلَامِ عَلَيْهِ إِذْ لَمَا كَرِهَ ذَلِكَ , لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَنْهَهُ عَنْهُ , وَلَكِنَّهُ إِنَّمَا كَرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّ إِشَارَةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِلْكَ , كَانَتْ عِنْدَهُ نَهْيًا مِنْهُ لَهُ عَنِ السَّلَامِ عَلَيْهِ وَهُوَ يُصَلِّي. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ قَالَ جَابِرٌ فِي حَدِيثِكُمْ هَذَا «وَلَوْ سَلَّمَ عَلَيَّ لَرَدَدْتُ» . قِيلَ لَهُ: أَفَقَالَ جَابِرٌ «لَرَدَدْتُ فِي الصَّلَاةِ» قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِقَوْلِهِ «لَرَدَدْتُ» أَيْ بَعْدَ فَرَاغِي مِنَ الصَّلَاةِ
وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ مِنْ مَذْهَبِهِ
