শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৬০৭
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৬০৭। ফাহদ (রাহঃ) ও আবু যুর'আ দামেশকী (রাহঃ) ….. নিযাল ইবন সাবুর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, "রাসূলুল্লাহ ﷺ 'আমাদেরকে' বলেছেন" (অর্থাৎ তিনি আমাদের গোত্রকে সম্বোধন করে বলেছেন) বস্তুত আমাদেরকে এবং তোমাদেরকে আব্দে মানাফ এর গোত্র হিসেবে ডাকা হত। বর্তমানে তোমরা হলে 'বানূ আব্দুল্লাহ' (আব্দুল্লাহর বংশধর) এবং আমরা হলাম 'বানূ আব্দুল্লাহ (আব্দুল্লাহর বংশধর)। অর্থাৎ নিযাল (রাহঃ) -এর গোত্রকে তিনি সম্বোধন করে এ কথা বলেছেন।
এই নিযাল (রাহঃ) -ই বলেছেনঃ 'আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন'। অথচ তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে দেখেননি। বস্তুত এর দ্বারা তার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের গোত্রকে লক্ষ্য করে এ কথা তিনি বলেছেন।
তাউস (রাহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেনঃ "আমাদের নিকট মু'আয ইবন জাবাল (রাযিঃ) আগমন করেন"। তখন তিনি শাক-সবজি থেকে কোন কিছু (উশর) গ্রহণ করেন নি। বস্তুত তাউস (রাহঃ) তাঁর সাক্ষাৎ লাভ করেন নি। কেননা মু'আয (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর যুুগে যখন ইয়ামানে আগমন করেন, তাউস (রাহঃ) সে সময় জন্ম গ্রহন করেননি। অতএব "আমাদের নিকট তিনি আগমন করেছ" তাঁর এ কথার অর্থ হচ্ছেঃ 'আমাদের শহরে আগমন করেন'।
হাসান (বসরী) (রাহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেনঃ "উতবা ইবন গাযওয়ান (রাযিঃ) আমাদেরকে খুতবা (ভাষন) দান করেছেন"। অর্থাৎ তিনি বসরায় খুতবা দান করেছেন। অথচ হাসান বসরী (রাহঃ) তখন বসরায় বিদ্যমান ছিলেন না, কেননা তিনি জঙ্গে সিফফীন-এর এক বছর পূর্বে বসরা আগমন করেছিলেন। (অথচ উতবা (রাযিঃ) এর ইন্তিকাল হয় ১৫ বা ১৭ হিজরী সনেঃ ইসলামী বিশ্বকোষ ৫ম খন্ড)
2607 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، وَأَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ , قَالَا: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا مِسْعَرٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنِ النِّزَالِ بْنِ سَبْرَةَ، قَالَ: قَالَ لَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّا وَإِيَّاكُمْ كُنَّا نُدْعَى بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ , فَأَنْتُمُ الْيَوْمَ , بَنُو عَبْدِ اللهِ , وَنَحْنُ بَنُو عَبْدِ اللهِ» يَعْنِي لِقَوْمِ النِّزَالِ فَهَذَا النِّزَالُ , يَقُولُ: قَالَ لَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَهُوَ لَمْ يَرَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يُرِيدُ بِذَلِكَ: قَالَ لِقَوْمِنَا. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ طَاوُسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: قَدِمَ عَلَيْنَا مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ , فَلَمْ يَأْخُذْ مِنَ الْخَضْرَاوَاتِ شَيْئًا. وَطَاوُسٌ لَمْ يُدْرِكْ ذَلِكَ , لِأَنَّ مُعَاذًا إِنَّمَا كَانَ قَدْ قَدِمَ الْيَمَنَ , فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَلَمْ يُولَدْ طَاوُسٌ حِينَئِذٍ , فَكَانَ مَعْنَى قَوْلِهِ: «قَدِمَ عَلَيْنَا» أَيْ قَدِمَ بَلَدَنَا. وَرُوِيَ عَنِ الْحَسَنِ أَنَّهُ قَالَ: خَطَبَنَا عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ , يُرِيدُ خُطْبَتَهُ بِالْبَصْرَةِ. فَالْحَسَنُ لَمْ يَكُنْ بِالْبَصْرَةِ حِينَئِذٍ , لِأَنَّ قُدُومَهُ لَهَا إِنَّمَا كَانَ قَبْلَ صِفِّينَ بِعَامٍ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান