শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৬০৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৬০৬
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৬০৫-২৬০৬। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. কায়স ইবন আবু হাযিম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমরা আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর নিকট এসে বললাম, আমাদেরকে হাদীস বর্ননা করে শোনান! তিনি বললেন, 'আমি তিন বছর নবী করীম ﷺ এর সাহচর্য লাভ করেছি। লোকেরা বললেন, 'আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তিন বছর রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তিনি সেই সালাতে (যাতে যুলইয়াদায়নের ঘটনা ঘটে ছিল) নিজে উপস্থিত ছিলেন। আর সালাতে কথা বলা রহিত হয়েছে তখন, যখন নবী করীম ﷺ মক্কায় অবস্থান করছিলেন।
এতে বুঝা গেল যে, সালাতে কথা বলা প্রসঙ্গে যুলইয়াদায়নের হাদীসে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে এটি যদি সেটি থেকে পরবর্তীতে হয় তাহলে এটি (যুলইয়াদায়নের হাদীস রহিত হবে না)।
উত্তরঃ তাঁকে বলা হবে, আপনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর ইসলাম গ্রহণের সময় সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছেন এটি তাই যা আপনি বলেছেন (অর্থাৎ স্বীকৃত বিষয়), কিন্তু সালাতে কথা বলা রহিত হওয়া প্রসঙ্গে আপনার বক্তব্য যে, তখন নবী করীম ﷺ মক্কায় ছিলেন, (অর্থাৎ তা মক্কায় রহিত হয়েছে, এটি স্বীকৃত নয়) এটি আপনাকে কে বর্ননা করেছে? সনদযুক্ত রিওয়ায়াত ব্যতীত আপনি দলীল দিতে পারেন না যেমন আপনার বিরোধী পক্ষের জন্য আপনার বিপক্ষে অনুরূপ সনদ যুক্ত দলীল ব্যতীত কার্যকর হয় না। এটি কে আপনাকে বলেছে এবং কার থেকে এটি আপনি বর্ননা করেছেন? (অর্থাৎ এটি দলীল ও সনদ বিহীন কথা)। লক্ষ্য করুন, যায়দ ইবন আরকাম আল-আনসারী (রাযিঃ) বলেনঃ আমরা সালাতে কথা-বর্তা বলতান। শেষে আয়াত নাযিল হলঃ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ
-তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দাঁড়াবে নিশ্চুপ হয়ে (২ঃ ২৩৮)
তখন আমরা চুপ থাকতে নির্দেশিত হলাম। আর আমরা তাঁর থেকে এই হাদীসটি এই গ্রন্হের অন্যস্থানে রিওয়ায়াত করেছি। বস্তুত যায়দ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাহচর্য লাভে ধন্য হয়েছেন মদীনায় (অর্থাৎ তিনি মদীনায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন)। অতএব তার এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হল যে, সালাতে কথা বলা মদীনায় রহিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ মক্কা থেকে মদীনা আগমনের পর। তা স্বত্বেও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সেই সালাতে (যুলইয়াদায়নের ঘটনায়) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে কোন মতেই উপস্থিত ছিলেন না। যেহেতু যুলইয়াদায়ন (রাযিঃ) বদরের যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। এটি মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক প্রমুখ উল্লেখ করেছেন।
আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্নিত আছেঃ
ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ……. নাফি' (রাহঃ) সূত্রে ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাঁকে যুলইয়াদায়নের হাদীস বর্ননা করেছেন। তারপর তিনি বলেছেন যে, যুলইয়াদায়ন (রাযিঃ) শহীদ হয়ে যাওয়ার পরে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ইসলাম গ্রহণ করেছেন। আর আমাদের নিকট আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর উক্তি "রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেছেন" অর্থাৎ মুসলমানদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেছেন। আর এটি (এরূপ বলা) আভিধানিকভাবে বৈধ। নিযাল ইবন সাবুর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্নিত আছেঃ
এতে বুঝা গেল যে, সালাতে কথা বলা প্রসঙ্গে যুলইয়াদায়নের হাদীসে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে এটি যদি সেটি থেকে পরবর্তীতে হয় তাহলে এটি (যুলইয়াদায়নের হাদীস রহিত হবে না)।
উত্তরঃ তাঁকে বলা হবে, আপনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর ইসলাম গ্রহণের সময় সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছেন এটি তাই যা আপনি বলেছেন (অর্থাৎ স্বীকৃত বিষয়), কিন্তু সালাতে কথা বলা রহিত হওয়া প্রসঙ্গে আপনার বক্তব্য যে, তখন নবী করীম ﷺ মক্কায় ছিলেন, (অর্থাৎ তা মক্কায় রহিত হয়েছে, এটি স্বীকৃত নয়) এটি আপনাকে কে বর্ননা করেছে? সনদযুক্ত রিওয়ায়াত ব্যতীত আপনি দলীল দিতে পারেন না যেমন আপনার বিরোধী পক্ষের জন্য আপনার বিপক্ষে অনুরূপ সনদ যুক্ত দলীল ব্যতীত কার্যকর হয় না। এটি কে আপনাকে বলেছে এবং কার থেকে এটি আপনি বর্ননা করেছেন? (অর্থাৎ এটি দলীল ও সনদ বিহীন কথা)। লক্ষ্য করুন, যায়দ ইবন আরকাম আল-আনসারী (রাযিঃ) বলেনঃ আমরা সালাতে কথা-বর্তা বলতান। শেষে আয়াত নাযিল হলঃ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ
-তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দাঁড়াবে নিশ্চুপ হয়ে (২ঃ ২৩৮)
তখন আমরা চুপ থাকতে নির্দেশিত হলাম। আর আমরা তাঁর থেকে এই হাদীসটি এই গ্রন্হের অন্যস্থানে রিওয়ায়াত করেছি। বস্তুত যায়দ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাহচর্য লাভে ধন্য হয়েছেন মদীনায় (অর্থাৎ তিনি মদীনায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন)। অতএব তার এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হল যে, সালাতে কথা বলা মদীনায় রহিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ মক্কা থেকে মদীনা আগমনের পর। তা স্বত্বেও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সেই সালাতে (যুলইয়াদায়নের ঘটনায়) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে কোন মতেই উপস্থিত ছিলেন না। যেহেতু যুলইয়াদায়ন (রাযিঃ) বদরের যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। এটি মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক প্রমুখ উল্লেখ করেছেন।
আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্নিত আছেঃ
ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ……. নাফি' (রাহঃ) সূত্রে ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাঁকে যুলইয়াদায়নের হাদীস বর্ননা করেছেন। তারপর তিনি বলেছেন যে, যুলইয়াদায়ন (রাযিঃ) শহীদ হয়ে যাওয়ার পরে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ইসলাম গ্রহণ করেছেন। আর আমাদের নিকট আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর উক্তি "রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেছেন" অর্থাৎ মুসলমানদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেছেন। আর এটি (এরূপ বলা) আভিধানিকভাবে বৈধ। নিযাল ইবন সাবুর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্নিত আছেঃ
2605 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا الْقَوَارِيرِيُّ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ , عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ , قَالَ: أَتَيْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقُلْنَا: حَدِّثْنَا فَقَالَ: «صَحِبْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ سِنِينَ» قَالُوا: فَأَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِنَّمَا صَحِبَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ سِنِينَ , وَهُوَ حَضَرَ تِلْكَ الصَّلَاةَ , وَنَسْخُ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ , كَانَ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ مَا كَانَ فِي حَدِيثِ ذِي الْيَدَيْنِ مِنَ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ , مِمَّا لَمْ يُنْسَخْ بِنَسْخِ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ , إِنْ كَانَ مُتَأَخِّرًا عَنْ ذَلِكَ. قِيلَ لَهُ: أَمَّا مَا ذَكَرْتُ مِنْ وَقْتِ إِسْلَامِ أَبِي هُرَيْرَةَ , فَهُوَ كَمَا ذَكَرْتُ. وَأَمَّا قَوْلُكَ إِنَّ نَسْخَ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ , كَانَ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ بِمَكَّةَ , فَمَنْ رَوَى لَكَ هَذَا , وَأَنْتَ لَا تَحْتَجُّ إِلَّا بِمُسْنَدٍ , وَلَا تُسَوِّغُ لِخَصْمِكَ الْحُجَّةَ عَلَيْكَ إِلَّا بِمِثْلِهِ , فَمَنْ أَسْنَدَ لَكَ هَذَا؟ وَعَمَّنْ رَوَيْتُهُ؟ . وَهَذَا زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ الْأَنْصَارِيُّ يَقُولُ: كُنَّا نَتَكَلَّمُ فِي الصَّلَاةِ , حَتَّى نَزَلَتْ {وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ} [البقرة: 238] فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ , وَقَدْ رَوَيْنَا ذَلِكَ عَنْهُ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا وَصُحْبَةُ زَيْدٍ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا كَانَتْ بِالْمَدِينَةِ. فَقَدْ ثَبَتَ بِحَدِيثِهِ هَذَا أَنَّ نَسْخَ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ كَانَ بِالْمَدِينَةِ بَعْدَ قُدُومِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَكَّةَ , مَعَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَمْ يَحْضُرْ تِلْكَ الصَّلَاةَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْلًا , لِأَنَّ ذَا الْيَدَيْنِ قُتِلَ يَوْمَ بَدْرٍ , مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ أَحَدُ الشُّهَدَاءِ. قَدْ ذَكَرَ ذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مَا يُوَافِقُ ذَلِكَ.
2606 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ الْعُمَرِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ ذَكَرَ لَهُ حَدِيثَ ذِي الْيَدَيْنِ , فَقَالَ: كَانَ إِسْلَامُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بَعْدَمَا قُتِلَ ذُو الْيَدَيْنِ. وَإِنَّمَا قَوْلُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عِنْدَنَا صَاحَ بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْنِي بِالْمُسْلِمِينَ , وَهَذَا جَائِزٌ فِي اللُّغَةِ. وَقَدْ رُوِيَ مِثْلُ هَذَا عَنِ النِّزَالِ بْنِ سَبْرَةَ
2606 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ الْعُمَرِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ ذَكَرَ لَهُ حَدِيثَ ذِي الْيَدَيْنِ , فَقَالَ: كَانَ إِسْلَامُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بَعْدَمَا قُتِلَ ذُو الْيَدَيْنِ. وَإِنَّمَا قَوْلُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عِنْدَنَا صَاحَ بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْنِي بِالْمُسْلِمِينَ , وَهَذَا جَائِزٌ فِي اللُّغَةِ. وَقَدْ رُوِيَ مِثْلُ هَذَا عَنِ النِّزَالِ بْنِ سَبْرَةَ
