শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৬০৪
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৬০৪। ইবন মারযূক (রাহঃ) …… আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ একবার উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) নিজ সাথীদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেন। এতে তিনি দুই রাক'আতে-ই সালাম ফিরিয়ে ফেলেন। তারপর তিনি ফিরে যান। এ বিষয়ে তাঁকে বলা হলে তিনি বললেন, 'আমি ইরাকী এক বাহিনী আসবাব পত্রে সজ্জিত করে প্রস্তুত করেছি, তারপর সেই বাহিনী মদীনা আগমন করলে তিনি তাদেরকে নিয়ে চার রাক'আত আদায় করেন।
অতএব বুঝা গেল যে, উমর (রাযিঃ) অনুরূপ বিষয় রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর আমলকে জ্ঞাতসারে পরিত্যাগ করা এবং এর পরিপন্থী আমল করা উক্ত আমল তাঁর নিকট রহিত হওয়ার (স্পষ্ট) দলীল। আর এটিও বুঝা গেল যে, তাঁর যুগে সেই ঘটনার বিধান যুলইয়াদায়ন কর্তৃক সংঘটিত ঘটনার দিনের (বিধানের) পরিপন্থী ছিল।
বস্তুত উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর এমন সব সাহাবাগনের উপস্থিতিতে এই আমল করেছেন, যাঁদের কতক যুলইয়াদায়ন কর্তৃক সংঘটিত ঘটনার দিনে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সালাতের আমলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের কেউ তাঁর প্রতিবাদ করেননি এবং তাঁরা তাঁকে একথা বলেননি যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ যুলইয়াদায়নের ঘটনার দিনে আপনার পরিপন্থী কাজ (আমল) করেছেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, তাঁরা সকলেই এর রহিত হয়ে যাওয়া সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। যেমনিভাবে উমর (রাযিঃ)- এর সম্পর্কে অবহিত ছিলেন।
বস্তুত যুলইয়াদায়নের হাদীস যে মানসূখ তথা রহিত হয়ে গেছে এবং পরবর্তী আমল যে এর পরিপন্থী, তার দলীল হলোঃ সমগ্র উম্মত এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে যে, কারো ইমাম যদি সালাতে কিছু ছেড়ে দেয় তাহলে সে (মুকতাদী) এ বিষয়ে ইমামকে সতর্ক করার নিমিত্ত সুবহানাল্লাহ পাঠ করবে। ইমাম যেন ছেড়ে দেয়া অংশকে আদায় করেন। আর যুলইয়াদায়ন কিন্তু সেই দিন রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে সুবহানাল্লাহ তথা তাসবীহ পাঠের মাধ্যমে লোকমা দান করেননি এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর সাথে তাঁর কথা বলার ব্যাপারে প্রতিবাদ করেননি। এতে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ যে লোকদেরকে তাদের সালাতে কোন কিছু সংঘটিত হলে তাসবীহ পাঠ শিক্ষা দিয়েছেন এটি উক্ত (যুলইয়াদায়নের) ঘটনা অপেক্ষা পরবর্তীকালের।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও ইমরান (রাযিঃ) -এর হাদীস দু'টিতেও রহিত হয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রতীয়মান হয়। আর সেটি এভাবেঃ আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ দুই রাক'আতে-ই সালাম ফিরিয়ে ফেলেন। তাঁরপর মসজিদে (সম্মুখে) অবস্থিত এক খুঁটির নিকট চলে গেলেন এবং ইমরান (রাযিঃ) বলেছেনঃ তারপর তিনি মসজিদ থেকে বের হয়ে হুজরায় চলে গেলেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, তিনি কিবলা থেকে নিজের চেহারা ফিরিয়ে ফেলেছিলেন এবং সালাতে চলা-ফেরা ইত্যাদি এরূপ আমল করেছেন যা সলাতের অন্তর্ভুক্ত নয়। এসব কি বর্তমানে কারো জন্য জায়েয হবে? এই সব কিছু ঘটা সত্ত্বেও তাঁর জন্য তাঁর সালাত অবশিষ্ট থাকবে? অবশ্যই না এসব বস্তু তাকে তার সালাত থেকে কি বের করে দিবে না? (অবশ্যই দেবে) অতএব এটি স্বীকৃত বিষয় যে, যুলইয়াদায়নের হাদীস মানসূখ তথ্য রহিত হয়ে গিয়েছে।
প্রশ্নঃ যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, হ্যাঁ, এসব কিছু তাকে সালাত থেকে বের করবে না। যেহেতু এসব কিছু সে এই ধারনায় করেছে যে, সে সালাতরত নয়।
উত্তরঃ তাঁর জন্য এ কথা বলা অপরিহার্য হয়ে যাবে যে, কেউ যদি এই অবস্থায় পানাহারও করে তাহলে তাকে এটি সালাত থেকে বের করবে না। অনুরূপভাবে যদি সে বেচাকেনা করে অথবা নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করে, (তবুও তাঁর সালাত ভঙ্গ হবে না) অথচ উক্ত অবস্থায় উল্লেখিত বস্তুগুলোর কারণে প্রশ্নকারী সালাত বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার পক্ষে মত পোষণ করেন। অতএব উল্লিখিত কোন বস্তু যদি মুসল্লীকে তাঁর সালাত থেকে বের করে দেয়, যদিও সে এই ধারনা করে যে, সে সালাতে নেই। অনুরূপভাবে কথা বলা যা সালাতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়, তাকে তাঁর সালাত থেকে বের করে দিবে, যদিও সে এই ধারনার কথা বলে থাকুক যে, সে সালাতে নেই।
বস্তুত প্রশ্নকারী যুলইয়াদায়নের হাদীস থেকে ধারনা করেছেন যে, 'খবরে ওয়াহিদ' গ্রহনযোগ্য দলীল হিসাবে বিবেচিত এবং এর উপর আমল করা ওয়াজিব।
উত্তরঃ আসলে এখানে যুলইয়াদায়ন (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ কে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে খবর দিয়েছেন। তিনি তাঁর একজন সাহাবী, মিথ্যা থেকে নিরাপদ। তা স্বত্বেও তিনি তাকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনের পর তাঁর (অপরাপর) সাহাবীগনের দিকে লক্ষ্য করে পুন জিজ্ঞাসা করেছেন যে, (প্রকৃত-ই) কি সালাত কম হয়েছে? অতএব আমাদের এই বিরোধী ব্যক্তির মাযহাব অনুযায়ী সালাতরত আছেন জেনেও যিনি এই বিষয়ে কথা বলেছেন, এটি তাঁকে সালাত থেকে বের করে দেয় নি। এতে তাঁর জন্য তাঁর নীতি মতে জরুরী হয়ে পড়েছে এই কথা বলা যে, উক্ত কথা বলার (ঘটনা) সালাতে কথা বলা রহিত হয়ে যাওয়ার পূর্বেকার।
আরেকটি দলীল
রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন লোকদেরকে লক্ষ্য করে বললেনঃ 'যুলইয়াদায়ন কি সত্য বলছে'? তাঁরা বললেন, জী, হ্যাঁ, (সত্য বলছে)। (অথচ এখানে) তাঁদের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর প্রতি ইশারা করাও সম্ভরপর ছিল এবং তিনি তাদের থেকে সে বিষয়ে (ইশারার মাধ্যমে) জ্ঞাত হতে পারতেন। বরং তাঁরা সালাতে আছেন জেনেও তাঁর সাথে এই বিষয়ে কথা বলার ছিল, কথা বলেছেন। তখন তিনি এই বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেননি এবং তাঁদেরকে পুনঃ সালাত আদায়ের নির্দেশ দেননি। এতে বুঝা গেল যে, যুলইয়াদায়নের হাদীস ব্যক্ত আমার যা উল্লেখ করেছি (সবই সালাতে) কথা বলা রহিত হওয়ার পূর্বেকার ঘটনা।
প্রশ্নঃ যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে যে, এটি (যুলইয়াদায়নের হাদীস) সালাতে কথা বলা রহিত হওয়ার পূর্বে হওয়াটা কিভাবে সম্ভব? যখন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) যুলইয়াদায়নের ঘটনায় নিজে উপস্থিত ছিলেন এবং আবু হুরায়রা (রাযিঃ) নবী করীম ﷺ এর ওফাতের তিন বছর পূর্বে (সপ্তম হিজরীতে) ইসলাম গ্রহণ করেন। আর এ বিষয়ে নিন্মোক্ত রিওয়ায়াত দলীল হিসাবে উল্লেখ করা হয়ঃ
অতএব বুঝা গেল যে, উমর (রাযিঃ) অনুরূপ বিষয় রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর আমলকে জ্ঞাতসারে পরিত্যাগ করা এবং এর পরিপন্থী আমল করা উক্ত আমল তাঁর নিকট রহিত হওয়ার (স্পষ্ট) দলীল। আর এটিও বুঝা গেল যে, তাঁর যুগে সেই ঘটনার বিধান যুলইয়াদায়ন কর্তৃক সংঘটিত ঘটনার দিনের (বিধানের) পরিপন্থী ছিল।
বস্তুত উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর এমন সব সাহাবাগনের উপস্থিতিতে এই আমল করেছেন, যাঁদের কতক যুলইয়াদায়ন কর্তৃক সংঘটিত ঘটনার দিনে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সালাতের আমলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের কেউ তাঁর প্রতিবাদ করেননি এবং তাঁরা তাঁকে একথা বলেননি যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ যুলইয়াদায়নের ঘটনার দিনে আপনার পরিপন্থী কাজ (আমল) করেছেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, তাঁরা সকলেই এর রহিত হয়ে যাওয়া সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। যেমনিভাবে উমর (রাযিঃ)- এর সম্পর্কে অবহিত ছিলেন।
বস্তুত যুলইয়াদায়নের হাদীস যে মানসূখ তথা রহিত হয়ে গেছে এবং পরবর্তী আমল যে এর পরিপন্থী, তার দলীল হলোঃ সমগ্র উম্মত এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে যে, কারো ইমাম যদি সালাতে কিছু ছেড়ে দেয় তাহলে সে (মুকতাদী) এ বিষয়ে ইমামকে সতর্ক করার নিমিত্ত সুবহানাল্লাহ পাঠ করবে। ইমাম যেন ছেড়ে দেয়া অংশকে আদায় করেন। আর যুলইয়াদায়ন কিন্তু সেই দিন রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে সুবহানাল্লাহ তথা তাসবীহ পাঠের মাধ্যমে লোকমা দান করেননি এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর সাথে তাঁর কথা বলার ব্যাপারে প্রতিবাদ করেননি। এতে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ যে লোকদেরকে তাদের সালাতে কোন কিছু সংঘটিত হলে তাসবীহ পাঠ শিক্ষা দিয়েছেন এটি উক্ত (যুলইয়াদায়নের) ঘটনা অপেক্ষা পরবর্তীকালের।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও ইমরান (রাযিঃ) -এর হাদীস দু'টিতেও রহিত হয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রতীয়মান হয়। আর সেটি এভাবেঃ আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ দুই রাক'আতে-ই সালাম ফিরিয়ে ফেলেন। তাঁরপর মসজিদে (সম্মুখে) অবস্থিত এক খুঁটির নিকট চলে গেলেন এবং ইমরান (রাযিঃ) বলেছেনঃ তারপর তিনি মসজিদ থেকে বের হয়ে হুজরায় চলে গেলেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, তিনি কিবলা থেকে নিজের চেহারা ফিরিয়ে ফেলেছিলেন এবং সালাতে চলা-ফেরা ইত্যাদি এরূপ আমল করেছেন যা সলাতের অন্তর্ভুক্ত নয়। এসব কি বর্তমানে কারো জন্য জায়েয হবে? এই সব কিছু ঘটা সত্ত্বেও তাঁর জন্য তাঁর সালাত অবশিষ্ট থাকবে? অবশ্যই না এসব বস্তু তাকে তার সালাত থেকে কি বের করে দিবে না? (অবশ্যই দেবে) অতএব এটি স্বীকৃত বিষয় যে, যুলইয়াদায়নের হাদীস মানসূখ তথ্য রহিত হয়ে গিয়েছে।
প্রশ্নঃ যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, হ্যাঁ, এসব কিছু তাকে সালাত থেকে বের করবে না। যেহেতু এসব কিছু সে এই ধারনায় করেছে যে, সে সালাতরত নয়।
উত্তরঃ তাঁর জন্য এ কথা বলা অপরিহার্য হয়ে যাবে যে, কেউ যদি এই অবস্থায় পানাহারও করে তাহলে তাকে এটি সালাত থেকে বের করবে না। অনুরূপভাবে যদি সে বেচাকেনা করে অথবা নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করে, (তবুও তাঁর সালাত ভঙ্গ হবে না) অথচ উক্ত অবস্থায় উল্লেখিত বস্তুগুলোর কারণে প্রশ্নকারী সালাত বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার পক্ষে মত পোষণ করেন। অতএব উল্লিখিত কোন বস্তু যদি মুসল্লীকে তাঁর সালাত থেকে বের করে দেয়, যদিও সে এই ধারনা করে যে, সে সালাতে নেই। অনুরূপভাবে কথা বলা যা সালাতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়, তাকে তাঁর সালাত থেকে বের করে দিবে, যদিও সে এই ধারনার কথা বলে থাকুক যে, সে সালাতে নেই।
বস্তুত প্রশ্নকারী যুলইয়াদায়নের হাদীস থেকে ধারনা করেছেন যে, 'খবরে ওয়াহিদ' গ্রহনযোগ্য দলীল হিসাবে বিবেচিত এবং এর উপর আমল করা ওয়াজিব।
উত্তরঃ আসলে এখানে যুলইয়াদায়ন (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ কে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে খবর দিয়েছেন। তিনি তাঁর একজন সাহাবী, মিথ্যা থেকে নিরাপদ। তা স্বত্বেও তিনি তাকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনের পর তাঁর (অপরাপর) সাহাবীগনের দিকে লক্ষ্য করে পুন জিজ্ঞাসা করেছেন যে, (প্রকৃত-ই) কি সালাত কম হয়েছে? অতএব আমাদের এই বিরোধী ব্যক্তির মাযহাব অনুযায়ী সালাতরত আছেন জেনেও যিনি এই বিষয়ে কথা বলেছেন, এটি তাঁকে সালাত থেকে বের করে দেয় নি। এতে তাঁর জন্য তাঁর নীতি মতে জরুরী হয়ে পড়েছে এই কথা বলা যে, উক্ত কথা বলার (ঘটনা) সালাতে কথা বলা রহিত হয়ে যাওয়ার পূর্বেকার।
আরেকটি দলীল
রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন লোকদেরকে লক্ষ্য করে বললেনঃ 'যুলইয়াদায়ন কি সত্য বলছে'? তাঁরা বললেন, জী, হ্যাঁ, (সত্য বলছে)। (অথচ এখানে) তাঁদের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর প্রতি ইশারা করাও সম্ভরপর ছিল এবং তিনি তাদের থেকে সে বিষয়ে (ইশারার মাধ্যমে) জ্ঞাত হতে পারতেন। বরং তাঁরা সালাতে আছেন জেনেও তাঁর সাথে এই বিষয়ে কথা বলার ছিল, কথা বলেছেন। তখন তিনি এই বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেননি এবং তাঁদেরকে পুনঃ সালাত আদায়ের নির্দেশ দেননি। এতে বুঝা গেল যে, যুলইয়াদায়নের হাদীস ব্যক্ত আমার যা উল্লেখ করেছি (সবই সালাতে) কথা বলা রহিত হওয়ার পূর্বেকার ঘটনা।
প্রশ্নঃ যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে যে, এটি (যুলইয়াদায়নের হাদীস) সালাতে কথা বলা রহিত হওয়ার পূর্বে হওয়াটা কিভাবে সম্ভব? যখন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) যুলইয়াদায়নের ঘটনায় নিজে উপস্থিত ছিলেন এবং আবু হুরায়রা (রাযিঃ) নবী করীম ﷺ এর ওফাতের তিন বছর পূর্বে (সপ্তম হিজরীতে) ইসলাম গ্রহণ করেন। আর এ বিষয়ে নিন্মোক্ত রিওয়ায়াত দলীল হিসাবে উল্লেখ করা হয়ঃ
2604 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْأَسْوَدِ، قَالَ: سَمِعْتُ عَطَاءً، يَقُولُ: صَلَّى عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِأَصْحَابِهِ فَسَلَّمَ فِي رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفَ , فَقِيلَ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ:: «إِنِّي جَهَّزْتُ عِيرًا مِنَ الْعِرَاقِ بِأَحْمَالِهَا وَأَحْقَابِهَا حَتَّى وَرَدْتُ الْمَدِينَةَ فَصَلَّى بِهِمْ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ» فَدَلَّ تَرْكُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَمَا قَدْ عَلِمَهُ مِنْ فِعْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مِثْلِ هَذَا وَعَمَلُهُ بِخِلَافِهِ عَلَى نَسْخِ ذَلِكَ عِنْدَهُ , وَعَلَى أَنَّ الْحَكَمَ كَانَ فِي تِلْكَ الْحَادِثَةِ فِي زَمَنِهِ , بِخِلَافِ مَا كَانَ فِي يَوْمِ ذِي الْيَدَيْنِ. وَقَدْ كَانَ فِعْلُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هَذَا أَيْضًا بِحَضْرَةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِينَ قَدْ حَضَرَ بَعْضُهُمْ فِعْلَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ ذِي الْيَدَيْنِ فِي صَلَاتِهِ , فَلَمْ يُنْكِرُوا ذَلِكَ عَلَيْهِ , وَلَمْ يَقُولُوا لَهُ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ فَعَلَ يَوْمَ ذِي الْيَدَيْنِ خِلَافَ مَا فَعَلْتُ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَيْضًا عَلَى أَنَّهُمْ قَدْ كَانُوا عَمِلُوا مِنْ نَسْخِ ذَلِكَ , مَا قَدْ كَانَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَلِمَهُ. وَمِمَّا يَدُلُّ أَيْضًا عَلَى أَنَّ ذَلِكَ مَنْسُوخٌ , وَأَنَّ الْعَمَلَ عَلَى خِلَافِهِ , أَنَّ الْأُمَّةَ قَدِ اجْتَمَعَتْ أَنَّ رَجُلًا لَوْ تَرَكَ إِمَامُهُ مِنْ صَلَاتِهِ شَيْئًا , أَنَّهُ يُسَبِّحُ بِهِ , لِيُعْلِمَ إِمَامَهُ مَا قَدْ تَرَكَ , فَيَأْتِي بِهِ , وَذُو الْيَدَيْنِ فَلَمْ يُسَبِّحْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ وَلَا أَنْكَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلَامَهُ إِيَّاهُ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ مَا عَلَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ مِنَ التَّسْبِيحِ لِنَائِبَةٍ تَنُوبُهُمْ فِي صَلَاتِهِمْ كَانَ مُتَأَخِّرًا عَنْ ذَلِكَ. وَفِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ أَيْضًا وَعِمْرَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مَا يَدُلُّ عَلَى النَّسْخِ وَذَلِكَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «سَلَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَكْعَتَيْنِ , ثُمَّ مَضَى إِلَى خَشَبَةٍ فِي الْمَسْجِدِ» . وَقَالَ عِمْرَانُ: «ثُمَّ مَضَى إِلَى حُجْرَتِهِ» . فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَ صَرَفَ وَجْهَهُ عَنِ الْقِبْلَةِ , وَعَمِلَ عَمَلًا فِي الصَّلَاةِ لَيْسَ مِنْهَا , مِنَ الْمَشْيِ وَغَيْرِهِ. فَيَجُوزُ هَذَا لِأَحَدٍ الْيَوْمَ أَنْ يُصِيبَهُ ذَلِكَ , وَقَدْ بَقِيَتْ عَلَيْهِ مِنْ صَلَاتِهِ بَقِيَّةٌ , فَلَا يُخْرِجُهُ ذَلِكَ مِنَ الصَّلَاةِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: نَعَمْ , لَا يُخْرِجُهُ ذَلِكَ مِنَ الصَّلَاةِ , لِأَنَّهُ فَعَلَهُ وَلَا يَرَى أَنَّهُ فِي الصَّلَاةِ. لَزِمَهُ أَنْ يَقُولَ: لَوْ طَعِمَ أَيْضًا أَوْ شَرِبَ وَهَذِهِ حَالَتُهُ , لَمْ يُخْرِجْهُ ذَلِكَ مِنَ الصَّلَاةِ، وَكَذَلِكَ إِنَّ بَاعَ أَوِ اشْتَرَى , أَوْ جَامَعَ أَهْلَهُ. فَكَفَى بِقَوْلِهِ فَسَادًا أَنْ يَلْزَمَ هَذَا قَائِلَهُ. فَإِنْ كَانَ شَيْءٌ مِمَّا ذَكَرْنَا , يَخْرُجُ الرَّجُلُ مِنْ صَلَاتِهِ , إِنْ فَعَلَهُ عَلَى أَنَّهُ يَرَى أَنَّهُ لَيْسَ فِيهَا كَذَلِكَ الْكَلَامُ الَّذِي لَيْسَ مِنْهَا يُخْرِجُهُ مِنْ صَلَاتِهِ وَإِنْ كَانَ قَدْ تَكَلَّمَ بِهِ , وَهُوَ لَا يَرَى أَنَّهُ فِيهَا. وَقَدْ زَعَمَ الْقَائِلُ بِحَدِيثِ ذِي الْيَدَيْنِ أَنَّ خَبَرَ الْوَاحِدِ يَقُومُ بِهِ الْحُجَّةُ , وَيَجِبُ بِهِ الْعَمَلُ , فَقَدْ أَخْبَرَ ذُو الْيَدَيْنِ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا أَخْبَرَهُ بِهِ , وَهُوَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ مَأْمُونٌ , فَالْتَفَتَ بَعْدَ إِخْبَارِهِ إِيَّاهُ بِذَلِكَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ: «أَقُصِرَتِ الصَّلَاةُ؟» . فَكَانَ مُتَكَلِّمًا بِذَلِكَ بَعْدَ عِلْمِهِ بِأَنَّهُ فِي الصَّلَاةِ , عَلَى مَذْهَبِ هَذَا الْمُخَالِفِ لَنَا فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ مُخْرِجًا لَهُ مِنَ الصَّلَاةِ. فَقَدْ لَزِمَهُ بِهَذَا عَلَى أَصْلِهِ , أَنَّ ذَلِكَ الْكَلَامَ , كَانَ قَبْلَ نَسْخِ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ: «أَصَدَقَ ذُو الْيَدَيْنِ» قَالُوا: نَعَمْ. وَقَدْ كَانَ يُمْكِنُهُمْ أَنْ يُومِئُوا إِلَيْهِ بِذَلِكَ فَيَعْلَمَهُ مِنْهُمْ , فَقَدْ كَلَّمُوهُ بِمَا كَلَّمُوهُ بِهِ , عَلَى عِلْمٍ مِنْهُمْ أَنَّهُمْ فِي الصَّلَاةِ , فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ , وَلَمْ يَأْمُرْهُمْ بِالْإِعَادَةِ فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ مَا ذَكَرْنَا , مِمَّا كَانَ فِي حَدِيثِ ذِي الْيَدَيْنِ , كَانَ قَبْلَ نَسْخِ الْكَلَامِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: وَكَيْفَ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ هَذَا قَبْلَ نَسْخِ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ وَأَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ كَانَ حَاضِرًا ذَلِكَ وَإِسْلَامُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِنَّمَا كَانَ قَبْلَ وَفَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِثَلَاثِ سِنِينَ؟
وَذَكَرَ فِي ذَلِكَ
وَذَكَرَ فِي ذَلِكَ
