শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৪৮৪
নামাযের অধ্যায়
মুসাফিরের সালাত
২৪৮৪। আবু বাকরা (রাহঃ) ..... আসওয়াদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আব্দুল্লাহ্ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) হজ্জ অথবা উমরা আদায়কারী এবং মুজাহিদ ব্যতীত কসর সালাত পড়া জায়িয মনে করতেন না।
সম্ভবত হুযায়ফা (রাযিঃ) -এর মাযহাব অনুরূপ ছিলেন। তিনি তায়মী (রাহঃ)-কে সালাত কসর না করার নির্দেশ দিয়েছেন, যেহেতু তাঁর সফর হজ্জ কিংবা জিহাদের উদ্দেশ্যে ছিলো না; বরং অন্য সফর ছিলো । অতএব তাঁর উক্ত হাদীসে ঐ ব্যক্তির জন্য দলীল হওয়া খণ্ডন হয়ে গেল, যে ব্যক্তি সফরে মুসাফিরের জন্য সালাত পুরো পড়াকে জায়িয মনে করে ।
আর এ বিষয়ে ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে যে রিওয়ায়াত আমরা বর্ণনা করে এসেছি। যেহেতু হাইয়ান (রাহঃ)-এর হাদীসে আছে যে, তিনি কোন এক শহরে অবস্থানকালে তাঁকে (ইব্ন উমর রা) জিজ্ঞাসা করেছেন এবং তাঁকে তিনি বলেছেনঃ আমি ইরাকী সেনাবাহিনীর এক জন সদস্য, আমি কিভাবে সালাত আদায় করব ? তাঁকে ইব্ন উমর (রাযিঃ) উত্তরে বললেন, তুমি যদি শহরে অবস্থান কর তাহলে চার রাক’আত আদায় করবে, আর যদি তুমি মুসাফির তথা সফরে থাক তাহলে দু’রাক’আত আদায় করবে। এতে বুঝা গেল যে, শহরে মুসাফিরের সালাতের ব্যাপারে তাঁর মাযহাব এরূপ ছিলো (অর্থাৎ চার রাক’আত) তাঁর থেকে সফওয়ান ইব্ন মুহারিয (রাহঃ) রিওয়ায়াত করেছেন, যখন তিনি তাঁকে সফরের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, তখন তিনি তাঁকে উত্তর দিয়েছিলেন যে, তা দু’রাক’আত। যে ব্যক্তি সুন্নতের বিরোধিতা করল সে কুফরী করল। বস্তুত এটি শহর ভিন্ন অন্য স্থানের সালাতের ব্যাপারে বলা হয়েছে। এ ব্যখ্যা এজন্য, যাতে এটি হাইয়ান (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতের সাথে বিরোধপূর্ণ হয়ে যায়। অতএব হাইয়ান (রাহঃ)-এর হাদীস শহরে মুসাফিরের সালাত সম্পর্কে; আর সফওয়ান (রাহঃ)-এর হাদীস শহর ভিন্ন অন্য স্থানে মুসাফিরের সালাত সম্পর্কে (বলে মনে করা যায়)। এ অনুচ্ছেদের শেষাংশে আমরা এর দলীল বর্ণনা করার প্রয়াস পাবো, ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস হলোঃ
সম্ভবত হুযায়ফা (রাযিঃ) -এর মাযহাব অনুরূপ ছিলেন। তিনি তায়মী (রাহঃ)-কে সালাত কসর না করার নির্দেশ দিয়েছেন, যেহেতু তাঁর সফর হজ্জ কিংবা জিহাদের উদ্দেশ্যে ছিলো না; বরং অন্য সফর ছিলো । অতএব তাঁর উক্ত হাদীসে ঐ ব্যক্তির জন্য দলীল হওয়া খণ্ডন হয়ে গেল, যে ব্যক্তি সফরে মুসাফিরের জন্য সালাত পুরো পড়াকে জায়িয মনে করে ।
আর এ বিষয়ে ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে যে রিওয়ায়াত আমরা বর্ণনা করে এসেছি। যেহেতু হাইয়ান (রাহঃ)-এর হাদীসে আছে যে, তিনি কোন এক শহরে অবস্থানকালে তাঁকে (ইব্ন উমর রা) জিজ্ঞাসা করেছেন এবং তাঁকে তিনি বলেছেনঃ আমি ইরাকী সেনাবাহিনীর এক জন সদস্য, আমি কিভাবে সালাত আদায় করব ? তাঁকে ইব্ন উমর (রাযিঃ) উত্তরে বললেন, তুমি যদি শহরে অবস্থান কর তাহলে চার রাক’আত আদায় করবে, আর যদি তুমি মুসাফির তথা সফরে থাক তাহলে দু’রাক’আত আদায় করবে। এতে বুঝা গেল যে, শহরে মুসাফিরের সালাতের ব্যাপারে তাঁর মাযহাব এরূপ ছিলো (অর্থাৎ চার রাক’আত) তাঁর থেকে সফওয়ান ইব্ন মুহারিয (রাহঃ) রিওয়ায়াত করেছেন, যখন তিনি তাঁকে সফরের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, তখন তিনি তাঁকে উত্তর দিয়েছিলেন যে, তা দু’রাক’আত। যে ব্যক্তি সুন্নতের বিরোধিতা করল সে কুফরী করল। বস্তুত এটি শহর ভিন্ন অন্য স্থানের সালাতের ব্যাপারে বলা হয়েছে। এ ব্যখ্যা এজন্য, যাতে এটি হাইয়ান (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতের সাথে বিরোধপূর্ণ হয়ে যায়। অতএব হাইয়ান (রাহঃ)-এর হাদীস শহরে মুসাফিরের সালাত সম্পর্কে; আর সফওয়ান (রাহঃ)-এর হাদীস শহর ভিন্ন অন্য স্থানে মুসাফিরের সালাত সম্পর্কে (বলে মনে করা যায়)। এ অনুচ্ছেদের শেষাংশে আমরা এর দলীল বর্ণনা করার প্রয়াস পাবো, ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস হলোঃ
كتاب الصلاة
2484 - فَإِنَّهُ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ , عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ , عَنِ الْأَسْوَدِ , قَالَ: «كَانَ عَبْدُ اللهِ لَا يَرَى التَّقْصِيرَ إِلَّا لِحَاجٍّ أَوْ مُعْتَمِرٍ أَوْ مُجَاهِدٍ» فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَذْهَبَ حُذَيْفَةَ , كَانَ كَذَلِكَ فَأَمَرَ التَّيْمِيَّ إِذْ كَانَ يُرِيدُ سَفَرًا لَا لِحَجٍّ , وَلَا لِجِهَادٍ , أَنْ لَا يَقْصُرَ الصَّلَاةَ , فَانْتَهَى أَنْ يَكُونَ فِي حَدِيثِهِ ذَلِكَ حُجَّةٌ لِمَنْ يَرَى لِلْمُسَافِرِ إِتْمَامَ الصَّلَاةِ فِي السَّفَرِ. وَأَمَّا مَا رَوَيْنَا عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي ذَلِكَ , فَإِنَّ حَدِيثَ حَيَّانَ هُوَ عَلَى أَنَّهُ سَأَلَهُ وَهُوَ فِي مِصْرٍ مِنَ الْأَمْصَارِ , فَقَالَ لَهُ: إِنِّي مِنْ بَعْثِ أَهْلِ الْعِرَاقِ فَكَيْفَ أُصَلِّي؟ فَأَجَابَهُ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فَقَالَ: «إِنْ صَلَّيْتَ أَرْبَعًا فَأَنْتَ فِي مِصْرٍ , وَإِنْ صَلَّيْتَ اثْنَتَيْنِ فَأَنْتَ مُسَافِرٌ» فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ مَذْهَبَهُ كَانَ فِي صَلَاةِ الْمُسَافِرِ فِي الْأَمْصَارِ هَكَذَا. وَقَدْ رَوَى عَنْهُ صَفْوَانُ بْنُ مُحْرِزٍ , حِينَ سَأَلَهُ عَنِ الصَّلَاةِ فِي السَّفَرِ فَكَانَ جَوَابُهُ لَهُ أَنْ قَالَ: هِيَ رَكْعَتَانِ , مَنْ خَالَفَ السُّنَّةَ كَفَرَ. فَذَلِكَ , عَلَى الصَّلَاةِ فِي غَيْرِ الْأَمْصَارِ , حَتَّى لَا يَتَضَادَّ ذَلِكَ , وَمَا رَوَى حَيَّانُ. فَيَكُونُ حَدِيثُ حَيَّانَ عَلَى صَلَاةِ الْمُسَافِرِ فِي الْأَمْصَارِ , وَحَدِيثُ صَفْوَانَ عَلَى صَلَاتِهِ فِي غَيْرِ الْأَمْصَارِ , وَسَنُبَيِّنُ الْحُجَّةَ فِي هَذَا الْبَابِ فِي آخِرِهِ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَأَمَّا مَا رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي ذَلِكَ ,