শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৪৮০
নামাযের অধ্যায়
মুসাফিরের সালাত
২৪৮০। আবু বাকরা (রাহঃ)..... যুহ্রী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ উসমান (রাযিঃ) মিনাতে চার রাক’আত সালাত আদায় করেছেন। যেহেতু ঐ বছর আরব বেদুঈনদের সংখ্যাধিক্য ছিলো। সালাত যে চার রাক’আত, তিনি তাদেরকে তা জানিয়ে দেয়াটা উত্তম মনে করেছেন । এ রিওয়ায়াত দ্বারা বুঝা যাচ্ছে, উসমান (রাযিঃ) যে আমল করেছেন, এর দ্বারা তিনি আরব বেদুঈনদের শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন যে, সালাত হচ্ছে চার রাক’আত। এতে সম্ভাবনা থাকছে যে, যখন তিনি তাদেরকে তা দেখাবার ইচ্ছা পোষণ করলেন তখন তিনি ইকামতের নিয়্যত করে ফেলেছেন এবং মুকীম হয়ে গিয়েছেন। আর মুকীমের ফরয হচ্ছে চার রাক’আত, তাই তিনি তাদেরকে নিয়ে চার রাক’আত আদায় করেছেন। তিনি সেই কারণে মুকীম, যা মা’মার সূত্রে (রাহঃ) যুহ্রী (রাহঃ) থেকে পূর্ববর্তী পরিচ্ছদে বর্ণিত হয়েছে। অথবা এটিরও সম্ভাবনা রয়েছে যে, তিনি উক্ত বিশেষ কারণে মুসাফির অবস্থায় উক্তরূপ আমল করেছেন। বস্তুত প্রথম ব্যাখ্যাই আমাদের নিকট অধিক শক্তিশালী। আল্লাহ্-ই উত্তম জ্ঞাত আছেন। যেহেতু আরব বেদুঈনরা সালাত এবং এর বিধি-বিধান সম্পর্কে উসমান (রাযিঃ)-এর যুগ অপেক্ষা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর যুগে অধিক অনবহিত ছিলো; কারণ তারা (উস্মান রা-এর যুগ অপেক্ষা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর যুগে) জাহিলিয়্যাতের অধিক নিকটবর্তী ছিলো, সুতরাং তারা উসমান (রাযিঃ)-এর যুগ অপেক্ষা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর যুগে সালাতে ফরয সমূহেরও বিধান জানার অধিক মুখাপেক্ষী ছিলো। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন উক্ত কারণে সালাতকে পুরো আদায় করেননি বরং তা কসর করেছেন, যেন তারা তাঁর সাথে সফরের সালাত যথানিয়মে পড়তে পারে এবং তিনি তাদেরকে সফর অবস্থায় ইকামতের (মুকীমের) সালাত যথানিয়মে শিক্ষা দিতে সক্ষম হন, তখন তো উসমান (রাযিঃ)-এর জন্য অধিক উপযোগী ছিলো উক্ত কারণে তাদেরকে নিয়ে সালাতকে পুরো আদায় না করা, বরং তিনি তাদেরকে নিয়ে সফর অবস্থায় যথানিয়মে সালাত আদায় করা প্রযোজ্য ছিলো এবং তাদেরকে বক্তব্যের মাধ্যমে মুকীমের সালাতের বিধান কিরূপ, তা শিক্ষা দিয়ে দিতেন।
অতএব এতে অবশ্যই আইয়্যূব (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত যুহ্রী (রাহঃ)-এর হাদীসের ব্যাখ্যার বিশুদ্ধতা অপেক্ষা মা’মার (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত যুহ্রী (রাহঃ)-এর হাদীসের ব্যাখ্যার বিশুদ্ধতা প্রমাণিত হয়। অপর একদল আলিম বলেছেনঃ উসমান (রাযিঃ) (মিনাতে) পুরো সালাত আদায় করেছেন, যেহেতু তাঁর মাযহাব ছিলোঃ সে ব্যক্তি কসর আদায় করবে, যে কোন মন্যিলে অবতরণ করে সফরের সামান নিয়ে রওয়ানা হবে ।
এ বিষয়ে তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেনঃ
অতএব এতে অবশ্যই আইয়্যূব (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত যুহ্রী (রাহঃ)-এর হাদীসের ব্যাখ্যার বিশুদ্ধতা অপেক্ষা মা’মার (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত যুহ্রী (রাহঃ)-এর হাদীসের ব্যাখ্যার বিশুদ্ধতা প্রমাণিত হয়। অপর একদল আলিম বলেছেনঃ উসমান (রাযিঃ) (মিনাতে) পুরো সালাত আদায় করেছেন, যেহেতু তাঁর মাযহাব ছিলোঃ সে ব্যক্তি কসর আদায় করবে, যে কোন মন্যিলে অবতরণ করে সফরের সামান নিয়ে রওয়ানা হবে ।
এ বিষয়ে তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেনঃ
كتاب الصلاة
2480 - فَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ , عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ , قَالَ: أنا أَيُّوبُ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , قَالَ: «إِنَّمَا صَلَّى عُثْمَانُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِ مِنًى أَرْبَعًا لِأَنَّ الْأَعْرَابَ كَانُوا أَكْثَرَ فِي ذَلِكَ الْعَامِ , فَأَحَبَّ أَنْ يُخْبِرَهُمْ أَنَّ الصَّلَاةَ أَرْبَعٌ» فَهَذَا يُخْبِرُ أَنَّهُ فَعَلَ مَا فَعَلَ لِيُعَلِّمَ الْأَعْرَابَ بِهِ أَنَّ الصَّلَاةَ أَرْبَعٌ. فَقَدْ يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ لَمَّا أَرَادَ أَنْ يُرِيَهُمْ ذَلِكَ , نَوَى الْإِقَامَةَ , فَصَارَ مُقِيمًا , فَرْضُهُ أَرْبَعٌ , فَصَلَّى بِهِمْ أَرْبَعًا , وَهُوَ مُقِيمٌ بِالسَّبَبِ الَّذِي حَكَاهُ مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ فِي الْفَصْلِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا. وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ فَعَلَ ذَلِكَ وَهُوَ مُسَافِرٌ لِتِلْكَ الْعِلَّةِ. وَالتَّأْوِيلُ الْأَوَّلُ أَشْبَهُ عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ , لِأَنَّ الْأَعْرَابَ كَانُوا بِالصَّلَاةِ وَأَحْكَامِهَا فِي زَمَنِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْهَلَ مِنْهُمْ بِهَا وَبِحُكْمِهَا فِي زَمَنِ عُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَهُمْ بِأَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ حِينَئِذٍ أَحْدَثُ عَهْدًا. فَهُمْ كَانُوا فِي زَمَنِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْعِلْمِ بِفَرَائِضِ الصَّلَاةِ أَحْوَجُ مِنْهُمْ إِلَى ذَلِكَ فِي زَمَنِ عُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. فَلَمَّا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُتِمَّ الصَّلَاةَ لِتِلْكَ الْعِلَّةِ , وَلَكِنْ قَصَرَهَا لِيُصَلُّوا مَعَهُ صَلَاةَ السَّفَرِ عَلَى حُكْمِهَا , وَيُعَلِّمَهُمْ صَلَاةَ الْإِقَامَةِ عَلَى حُكْمِهَا فِي السَّفَرِ , كَانَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَحْرَى أَنْ لَا يُتِمَّ بِهِمُ الصَّلَاةَ لِتِلْكَ الْعِلَّةِ , وَلَكِنَّهُ يُصَلِّيهَا بِهِمْ عَلَى حُكْمِهَا فِي السَّفَرِ , وَيُعَلِّمُهُمْ كَيْفَ حُكْمُهَا فِي الْحَضَرِ. فَقَدْ عَادَ مَعْنَى مَا صَحَّ مِنْ تَأْوِيلِ حَدِيثِ أَيُّوبَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , إِلَى مَعْنَى حَدِيثِ مَعْمَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ. وَقَدْ قَالَ آخَرُونَ: إِنَّمَا أَتَمَّ الصَّلَاةَ , لِأَنَّهُ كَانَ يَذْهَبُ إِلَى أَنَّهُ لَا يَقْصُرُهَا إِلَّا مَنْ حَلَّ وَارْتَحَلَ
وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ