শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৪৭৮
নামাযের অধ্যায়
মুসাফিরের সালাত
২৪৭৮। আবু বাকরা (রাহঃ) ..... হিব্বান আল-বারেকী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি ইব্ন উমর (রাযিঃ)-কে বললাম যে, আমি ইরাকের সেনাবাহিনীর একজন সদস্য, আমি কিভাবে সালাত আদায় করব? তিনি বললেন, (তুমি সফর অবস্থায়) যদি শহরে অবস্থান কর তাহলে চার রাক’আত আদায় কর এবং যদি (শহরের বাইরে) সফররত হও তাহলে দু’রাক’আত আদায় কর।
বস্তুত এ উসমান ইব্ন আফ্ফান (রাযিঃ), হুযায়ফা ইব্নুল ইয়ামান (রাযিঃ), আয়েশা (রাযিঃ) ও ইব্ন উমর (রাযিঃ) তাঁদের থেকে অবশ্যই সফরে সালাত পুরো পড়ার বিষয়টি রিওয়ায়াত করা হয়েছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি। তাঁদের প্রত্যেকেরই নিজের মাযহাবের একটি যৌক্তিকতা রয়েছে, যা আমরা শীঘ্রই এ অনুচ্ছেদে বর্ণনা করব । এর সাথে সাথে আমরা যুক্তির নিরিখে কার পক্ষে এবং কার বিপক্ষে কোন্টি অবধারিত হয় সেটিও উল্লেখ করার প্রয়াস পাবো ইনশাআল্লাহ্।
সুতরাং উসমান ইব্ন আফ্ফান (রাযিঃ) যিনি মিনাতে সালাত পুরো পড়াতেন বলে আমরা উল্লেখ করেছি। আসলে বিষয়টি এরূপ ছিলো না যে, তিনি সফরে কসর পড়াকে অস্বীকার করেছেন। আর এটি তাঁর ব্যাপারে কিভাবে সন্দেহ করা যেতে পারে? অথচ আল্লাহ্ তাআলা বলেছেনঃ وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الْأَرْضِ
অর্থাৎ: “তোমরা যখন দেশ-বিদেশে সফর করবে”। আল্লাহ্ তাআলা তাদের (মুসাফির) জন্য এ আয়াতে কসর পড়াকে বৈধ কর দিয়েছেন যখন তারা কাফির কর্তৃক ফিৎনা সৃষ্টির আশংকা বোধ করবে। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদেরকে সংবাদ দিয়েছেনঃ এটি (কসর পড়া) তাদের জন্য ওয়াজিব যদি তারা (কাফিররা) ঈমান গ্রহণ করেও ফেলে। আর এটি ই’লা ইব্ন মুন্ইয়া (রাযিঃ) এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যা আমরা এ অনুচ্ছেদের শুরুতে ইব্ন উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করে এসেছি এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মিনাতে দু’রাক’আত সালাত আদায় করেছেন, অথচ তারা ছিলেন তখন সংখ্যায় সর্বাধিক এবং সর্বাপেক্ষা নিরাপদ। উসমান (রাযিঃ) ও তাঁর সাথে ছিলেন। এতদসত্ত্বেও উসামন (রাযিঃ) কর্তৃক মিনাতে সালাতকে পূর্ণ করা এবং সফরে কসর পড়াকে অস্বীকার করা কিভাবে সম্ভব হতে পারে ? হ্যাঁ অবশ্যই তিনি কোন (বিশেষ) কারণে মিনাতে কসর পড়েন নি; যে কারণ সম্পর্কে মতবিরোধ রয়েছে।
বস্তুত এ উসমান ইব্ন আফ্ফান (রাযিঃ), হুযায়ফা ইব্নুল ইয়ামান (রাযিঃ), আয়েশা (রাযিঃ) ও ইব্ন উমর (রাযিঃ) তাঁদের থেকে অবশ্যই সফরে সালাত পুরো পড়ার বিষয়টি রিওয়ায়াত করা হয়েছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি। তাঁদের প্রত্যেকেরই নিজের মাযহাবের একটি যৌক্তিকতা রয়েছে, যা আমরা শীঘ্রই এ অনুচ্ছেদে বর্ণনা করব । এর সাথে সাথে আমরা যুক্তির নিরিখে কার পক্ষে এবং কার বিপক্ষে কোন্টি অবধারিত হয় সেটিও উল্লেখ করার প্রয়াস পাবো ইনশাআল্লাহ্।
সুতরাং উসমান ইব্ন আফ্ফান (রাযিঃ) যিনি মিনাতে সালাত পুরো পড়াতেন বলে আমরা উল্লেখ করেছি। আসলে বিষয়টি এরূপ ছিলো না যে, তিনি সফরে কসর পড়াকে অস্বীকার করেছেন। আর এটি তাঁর ব্যাপারে কিভাবে সন্দেহ করা যেতে পারে? অথচ আল্লাহ্ তাআলা বলেছেনঃ وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الْأَرْضِ
অর্থাৎ: “তোমরা যখন দেশ-বিদেশে সফর করবে”। আল্লাহ্ তাআলা তাদের (মুসাফির) জন্য এ আয়াতে কসর পড়াকে বৈধ কর দিয়েছেন যখন তারা কাফির কর্তৃক ফিৎনা সৃষ্টির আশংকা বোধ করবে। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদেরকে সংবাদ দিয়েছেনঃ এটি (কসর পড়া) তাদের জন্য ওয়াজিব যদি তারা (কাফিররা) ঈমান গ্রহণ করেও ফেলে। আর এটি ই’লা ইব্ন মুন্ইয়া (রাযিঃ) এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যা আমরা এ অনুচ্ছেদের শুরুতে ইব্ন উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করে এসেছি এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মিনাতে দু’রাক’আত সালাত আদায় করেছেন, অথচ তারা ছিলেন তখন সংখ্যায় সর্বাধিক এবং সর্বাপেক্ষা নিরাপদ। উসমান (রাযিঃ) ও তাঁর সাথে ছিলেন। এতদসত্ত্বেও উসামন (রাযিঃ) কর্তৃক মিনাতে সালাতকে পূর্ণ করা এবং সফরে কসর পড়াকে অস্বীকার করা কিভাবে সম্ভব হতে পারে ? হ্যাঁ অবশ্যই তিনি কোন (বিশেষ) কারণে মিনাতে কসর পড়েন নি; যে কারণ সম্পর্কে মতবিরোধ রয়েছে।
كتاب الصلاة
2478 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحٌ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ حَيَّانَ الْبَارِقِيِّ , قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ , إِنِّي مِنْ بَعْثِ أَهْلِ الْعِرَاقِ فَكَيْفَ أُصَلِّي؟ قَالَ: «إِنْ صَلَّيْتُ أَرْبَعًا , فَأَنْتَ فِي مِصْرٍ , وَإِنْ صَلَّيْتَ رَكْعَتَيْنِ فَأَنْتَ مُسَافِرٌ» فَهَذَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَحُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ , وَعَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا وَابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَدْ رُوِيَ عَنْهُمْ فِي إِتْمَامِ الصَّلَاةِ فِي السَّفَرِ , مَا قَدْ ذَكَرْنَا. وَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ فِي مَذْهَبِهِ الَّذِي ذَهَبَ إِلَيْهِ مَعْنًى سَنُبَيِّنُهُ فِي هَذَا الْبَابِ , وَنَذْكُرُ مَعَ ذَلِكَ مَا يَجِبُ بِهِ لِقَوْلِهِ , مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , وَمَا يَجِبُ عَلَيْهِ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. فَأَمَّا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فَالَّذِي ذَكَرْنَا عَنْهُ مِنْ ذَلِكَ , هُوَ إِتْمَامُهُ الصَّلَاةَ بِ مِنًى فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ لِأَنَّهُ أَنْكَرَ التَّقْصِيرَ فِي السَّفَرِ. وَكَيْفَ يُتَوَهَّمُ ذَلِكَ عَلَيْهِ , وَقَدْ قَالَ اللهُ تَعَالَى: {وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الْأَرْضِ} [النساء: 101] الْآيَةَ , فَأَبَاحَ اللهُ لَهُمُ التَّقْصِيرَ فِي هَذِهِ الْآيَةِ إِذَا خَافُوا أَنْ يَفْتِنَهُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا. نَعَمْ أَخْبَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ ذَلِكَ وَاجِبٌ لَهُمْ , وَإِنْ أَمِنُوا فِي حَدِيثِ يَعْلَى بْنِ مُنْيَةَ الَّذِي رَوَيْنَاهُ عَنْهُ , عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ «وَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِ مِنًى رَكْعَتَيْنِ» وَهُمْ أَكْثَرُ مَا كَانُوا وَآمَنُهُ , وَعُثْمَانُ مَعَهُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَلَمْ يَكُنْ إِتْمَامُهُ الصَّلَاةَ بِ مِنًى لِأَنَّهُ أَنْكَرَ التَّقْصِيرَ فِي السَّفَرِ , وَلَكِنْ لِمَعْنًى قَدِ اخْتُلِفَ فِيهِ