শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৩৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৮৮
সালাতে কিরা’আত নির্দিষ্টকরণ প্রসঙ্গে
২৩৮৬-২৩৮৮। ফাহাদ (রাহঃ)….. ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জুমু’আর দিন ফজরের সালাতে সূরা الم تَنْزِيلُ (৩২) এবং সূরা هَلْ أَتَى عَلَى الْإِنْسَانِ (৭৬) তিলাওয়াত করতেন।
ইন মারযূক (রাহঃ)…..ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এতে এ বিষয়ে কোন দলীল নেই যে, তিনি এগুলো ব্যতীত অন্য সূরা পড়েননি। যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত নেই যে, তিনি বলেছেন, জুমু’আর দিন ফজরের সালাতে তোমরা সূরা ফাতিহার সাথে উক্ত সূরাগুলো ব্যতীত অন্য সূরা পড়বে না। তাহলে বুঝা যেত ওগুলো ছাড়া অন্য কিছু পড়া জায়িয নেই। বরং যিনি উক্ত দু’টি সূরার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি উক্ত দু’রাক’আতে উল্লিখিত দুটি সূরা তিলাওয়াত করতেন। বস্তুত এটি অনুরূপ যেমন নো’মান (রাযিঃ) এবং ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দুই ঈদের সালাতে ঐ সমস্ত সূরা তিলাওয়াত করতেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি। তারপর দেখা গেল যে, এই দুই সাহাবী ব্যতীত অন্যদের থেকে বর্ণিত আছে, তিনি (ﷺ) ঐগুলো ব্যতীত অন্য সূরা তিলাওয়াত করেছেন। যেহেতু তিনি (ﷺ) কখনো ঐগুলো এবং কখনো এগুলো তিলাওয়াত করেছেন। অনুরূপভাবে জুমু’আর দিন ফজরের সালাতে কিরা’আত সম্পর্কে তাঁর থেকে যে হাদীস বর্ণিত আছে, সম্ভবত কখনো তিনি (ﷺ) একবার এগুলো পড়েছেন আবার কখনো ওগুলো পড়েছেন। প্রত্যেকেই তাঁর নিকট উপস্থিত থেকে তাঁর যে কিরা’আত শুনেছেন সেটি বর্ণনা করেছেন। এতে কিরা’আত নির্দিষ্ট করণের বিধান প্রমাণিত হয় না। এ অনুচ্ছেদে আমরা যে সমস্ত মতামত বর্ণনা করেছি সবই আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইব্নুল হাসান (রাহঃ)-এর উক্তি ও মাযহাব।
ইন মারযূক (রাহঃ)…..ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এতে এ বিষয়ে কোন দলীল নেই যে, তিনি এগুলো ব্যতীত অন্য সূরা পড়েননি। যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত নেই যে, তিনি বলেছেন, জুমু’আর দিন ফজরের সালাতে তোমরা সূরা ফাতিহার সাথে উক্ত সূরাগুলো ব্যতীত অন্য সূরা পড়বে না। তাহলে বুঝা যেত ওগুলো ছাড়া অন্য কিছু পড়া জায়িয নেই। বরং যিনি উক্ত দু’টি সূরার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি উক্ত দু’রাক’আতে উল্লিখিত দুটি সূরা তিলাওয়াত করতেন। বস্তুত এটি অনুরূপ যেমন নো’মান (রাযিঃ) এবং ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দুই ঈদের সালাতে ঐ সমস্ত সূরা তিলাওয়াত করতেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি। তারপর দেখা গেল যে, এই দুই সাহাবী ব্যতীত অন্যদের থেকে বর্ণিত আছে, তিনি (ﷺ) ঐগুলো ব্যতীত অন্য সূরা তিলাওয়াত করেছেন। যেহেতু তিনি (ﷺ) কখনো ঐগুলো এবং কখনো এগুলো তিলাওয়াত করেছেন। অনুরূপভাবে জুমু’আর দিন ফজরের সালাতে কিরা’আত সম্পর্কে তাঁর থেকে যে হাদীস বর্ণিত আছে, সম্ভবত কখনো তিনি (ﷺ) একবার এগুলো পড়েছেন আবার কখনো ওগুলো পড়েছেন। প্রত্যেকেই তাঁর নিকট উপস্থিত থেকে তাঁর যে কিরা’আত শুনেছেন সেটি বর্ণনা করেছেন। এতে কিরা’আত নির্দিষ্ট করণের বিধান প্রমাণিত হয় না। এ অনুচ্ছেদে আমরা যে সমস্ত মতামত বর্ণনা করেছি সবই আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইব্নুল হাসান (রাহঃ)-এর উক্তি ও মাযহাব।
2386 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، وَشَرِيكٌ، عَنْ مُخَوَّلٍ، عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا ح
2387 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ، ثنا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْرَأُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ الم تَنْزِيلُ وَهَلْ أَتَى عَلَى الْإِنْسَانِ»
2388 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ أَسْلَمَ، قَالَ: ثنا حُمَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عُزْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَلَيْسَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ كَانَ لَا يَتَجَاوَزُ ذَلِكَ إِلَى غَيْرِهِ , لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَحْكِ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: لَا يُقْرَأُ فِي صَلَاةِ الْغَدَاةِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مَعَ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ غَيْرُ هَاتَيْنِ السُّورَتَيْنِ حَتَّى لَا يَجُوزَ خِلَافُ ذَلِكَ. وَلَكِنْ إِنَّمَا أَخْبَرَ مَنْ رَوَاهُمَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ بِهِمَا فِيهِمَا , كَمَا أَخْبَرَ النُّعْمَانُ وَابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ بِمَا ذَكَرْنَا. ثُمَّ قَدْ جَاءَ عَنْ غَيْرِهِمَا أَنَّهُ قَرَأَ بِخِلَافِ ذَلِكَ لِأَنَّهُ قَرَأَ بِهَذَا مَرَّةً , وَبِهَذَا مَرَّةً. فَكَذَلِكَ مَا حُكِيَ عَنْهُ مِنَ الْقِرَاءَةِ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ , يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ قَرَأَ بِهِ مَرَّةً أَوْ قَرَأَ بِهِ مِرَارًا ثُمَّ قَرَأَ بِغَيْرِهِ فَيَحْكِي كُلُّ مَنْ حَضَرَهُ مَا سَمِعَ مِنْ قِرَاءَتِهِ , وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى حُكْمِ التَّوْقِيتِ. وَجَمَعَ مَا ذَهَبْنَا إِلَيْهِ فِي هَذَا الْبَابِ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
2387 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ، ثنا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْرَأُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ الم تَنْزِيلُ وَهَلْ أَتَى عَلَى الْإِنْسَانِ»
2388 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ أَسْلَمَ، قَالَ: ثنا حُمَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عُزْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَلَيْسَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ كَانَ لَا يَتَجَاوَزُ ذَلِكَ إِلَى غَيْرِهِ , لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَحْكِ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: لَا يُقْرَأُ فِي صَلَاةِ الْغَدَاةِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مَعَ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ غَيْرُ هَاتَيْنِ السُّورَتَيْنِ حَتَّى لَا يَجُوزَ خِلَافُ ذَلِكَ. وَلَكِنْ إِنَّمَا أَخْبَرَ مَنْ رَوَاهُمَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ بِهِمَا فِيهِمَا , كَمَا أَخْبَرَ النُّعْمَانُ وَابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ بِمَا ذَكَرْنَا. ثُمَّ قَدْ جَاءَ عَنْ غَيْرِهِمَا أَنَّهُ قَرَأَ بِخِلَافِ ذَلِكَ لِأَنَّهُ قَرَأَ بِهَذَا مَرَّةً , وَبِهَذَا مَرَّةً. فَكَذَلِكَ مَا حُكِيَ عَنْهُ مِنَ الْقِرَاءَةِ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ , يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ قَرَأَ بِهِ مَرَّةً أَوْ قَرَأَ بِهِ مِرَارًا ثُمَّ قَرَأَ بِغَيْرِهِ فَيَحْكِي كُلُّ مَنْ حَضَرَهُ مَا سَمِعَ مِنْ قِرَاءَتِهِ , وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى حُكْمِ التَّوْقِيتِ. وَجَمَعَ مَا ذَهَبْنَا إِلَيْهِ فِي هَذَا الْبَابِ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
