শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৩৮৫
সালাতে কিরা’আত নির্দিষ্টকরণ প্রসঙ্গে
২৩৮৫। আবু বাক্রা (রাহঃ) ..... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ যখন এ হাদীসগুলোতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি দুই ঈদ এবং জুম্’আতে প্রথম দিককার হাদীসগুলোতে বর্ণিত সূরাগুলোর পরিবর্তে অন্য সূরাও তিলাওয়াত করেছেন। (উভয় প্রকার) বর্ণনাকে সাংঘর্ষিক এবং মিথ্যা সাব্যস্ত করা জায়িয হবে না; বরং এগুলোকে সত্য এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে আমরা আখ্যায়িত করব। সবগুলোকে আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত হয়েছে বলে সাব্যস্ত করব। তিনি কখনো ঐগুলো (পরিচ্ছেদের প্রথমাংশে বর্ণিত সূরা) তিলাওয়াত করেছেন এবং কখনো এগুলো (দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত সূরা) তিলাওয়াত করেছেন। সুতরাং প্রত্যেকেই নিজের কাছে সংরক্ষিত হাদীস বর্ণনা করেছেন। এতে প্রমাণিত হলো যে, কোন সালাতের জন্য নির্ধারিত কিরা’আত নেই। বরং ইমাম সূরা ফাতিহার সাথে কুরআনের যে কোন অংশ তিলাওয়াত করতে পারবেন। অনুরূপভাবে একথা প্রযোজ্য হবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত সেই হাদীসের ক্ষেত্রে যে, তিনি জুমু’আর দিন ফজরের সালাতে তা তিলাওয়াত করেছেনঃ
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ যখন এ হাদীসগুলোতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি দুই ঈদ এবং জুম্’আতে প্রথম দিককার হাদীসগুলোতে বর্ণিত সূরাগুলোর পরিবর্তে অন্য সূরাও তিলাওয়াত করেছেন। (উভয় প্রকার) বর্ণনাকে সাংঘর্ষিক এবং মিথ্যা সাব্যস্ত করা জায়িয হবে না; বরং এগুলোকে সত্য এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে আমরা আখ্যায়িত করব। সবগুলোকে আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত হয়েছে বলে সাব্যস্ত করব। তিনি কখনো ঐগুলো (পরিচ্ছেদের প্রথমাংশে বর্ণিত সূরা) তিলাওয়াত করেছেন এবং কখনো এগুলো (দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত সূরা) তিলাওয়াত করেছেন। সুতরাং প্রত্যেকেই নিজের কাছে সংরক্ষিত হাদীস বর্ণনা করেছেন। এতে প্রমাণিত হলো যে, কোন সালাতের জন্য নির্ধারিত কিরা’আত নেই। বরং ইমাম সূরা ফাতিহার সাথে কুরআনের যে কোন অংশ তিলাওয়াত করতে পারবেন। অনুরূপভাবে একথা প্রযোজ্য হবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত সেই হাদীসের ক্ষেত্রে যে, তিনি জুমু’আর দিন ফজরের সালাতে তা তিলাওয়াত করেছেনঃ
2385 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ مُخَوَّلِ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَلَمَّا جَاءَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ أَنَّهُ قَرَأَ فِي الْعِيدَيْنِ وَالْجُمُعَةِ , غَيْرَ مَا جَاءَ عَنْهُ فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ لَمْ يَجُزْ أَنْ يُحْمَلَ ذَلِكَ عَلَى التَّضَادِّ وَالتَّكَاذُبِ. وَلَكِنَّا نَحْمِلُهُ عَلَى الِاتِّفَاقِ وَالتَّصَادُقِ , فَنَجْعَلُ ذَلِكَ كُلَّهُ , قَدْ كَانَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَرَأَ بِهَذَا مَرَّةً , وَبِهَذَا مَرَّةً , فَحَكَى عَنْهُ كُلُّ فَرِيقٍ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ مَا حَضَرَهُ مِنْهُ. فَفِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى أَنْ لَا تَوْقِيتَ لِلْقِرَاءَةِ فِي ذَلِكَ , وَأَنَّ لِلْإِمَامِ أَنْ يَقْرَأَ فِي ذَلِكَ مَعَ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ أَيَّ الْقُرْآنِ شَاءَ. وَكَذَلِكَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ فِي ذَلِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
