শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৩৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৩৭
ফজরের সালাত এক রাক'আত পড়ার পর যদি সূর্য উঠে যায়।
২৩৩৪-২৩৩৭। ইব্ন আবু দাউদ (স) ..... আবু কাতাদা আনসারী (রাযিঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার যুদ্ধসমূহ থেকে কোন এক যুদ্ধে সফর করেছেন এবং আমরাও তার সাথে ছিলাম। লােকদের থেকে কেউ তাঁকে বলল, যদি রাতের শেষভাগে (কোথাও) অবতরণ করতেন (ভাল হতাে)। তিনি বললেন, তােমরা সালাত থেকে ঘুমিয়ে থাকবে এই আশংকা আমি করছি। বিলাল (রাযিঃ) বললেন, আমি আপনাদেরকে জাগরিত করব। লােকন অবতরণ করল এবং শুয়ে পড়ল। আর বিলাল (রাযিঃ) নিজের সওয়ারীর পিঠে হেলান দিলেন এবং লােকজন ঘুমের ঘােরে আচ্ছন্ন হলাে। যখন সূর্যের প্রান্ত উঠে গেল এখন লােকজন জাগরিত হলাে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে বিলাল! তুমি যা বলেছিলে, তা কোথায় ? তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ তা'আলা যখন চেয়েছেন, আপনাদের রূহকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছেন এবং
যখন চেয়েছেন আপনাদের কাছে তা ফেরত পাঠিয়েছেন। তিনি (বিলাল রা) কে বললেন] লােকদের মধ্যে সালাতের জন্য অযান দাও। তিনি তাদেরকে আযান দিলেন, তাঁরা উযু করলেন, যখন সূর্য উঁচু হলাে, রাসূলুল্লাহ ফজরের দু' রাকআত (সুন্নত) পড়লেন তারপর ফজরের সালাত আদায় করলেন।
সালিহ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ)…..হোসাইন (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) আবু কাতাদা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহর (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি।
রাওহ থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন, যা আমরা এ পরিচ্ছেদের প্রথমদিকে বর্ণনা করেছি।
তবে তিনি লােকজন কর্তৃক রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে প্রশ্ন করার কথা উল্লেখ করেন নি। আব্দুল্লাহ (ইব্ন রিবাহ র) বলেছেন, আমি যখন এ হাদীসটি জামে মসজিদে বর্ণনা করেছি তখন ইমরান ইবন হুসাইন (রাযিঃ) শুনে জিজ্ঞাসা করলেন, লোকটি কে? আমি বললাম, আমি হচ্ছি আব্দুল্লাহ ইব্ন রিবাহ আনসারী। তিনি বললেন, লােকে তাে নিজেদের ঘটনার বিষয়ে অধিক জ্ঞাত। (অতএব তুমি সতর্ক থাক, কিভাবে হাদীস বর্ণনা করছ? আমি ঐ রাতের সাতজনের অন্যতম। রাবী বলেন, আমি যখন অবসর হলাম হাদীস বর্ণনা শেষ করলাম) তিনি বললেন, আমার ধারণা ছিলাে না যে, আমি ব্যতীত অন্য কেউ এ হাদীসটি সংরক্ষণ করে।
হুমাইদুত তবীল (রাহঃ)….. আবু কাতাদা (রাযিঃ) সূত্রে রসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
যখন চেয়েছেন আপনাদের কাছে তা ফেরত পাঠিয়েছেন। তিনি (বিলাল রা) কে বললেন] লােকদের মধ্যে সালাতের জন্য অযান দাও। তিনি তাদেরকে আযান দিলেন, তাঁরা উযু করলেন, যখন সূর্য উঁচু হলাে, রাসূলুল্লাহ ফজরের দু' রাকআত (সুন্নত) পড়লেন তারপর ফজরের সালাত আদায় করলেন।
সালিহ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ)…..হোসাইন (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) আবু কাতাদা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহর (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি।
রাওহ থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন, যা আমরা এ পরিচ্ছেদের প্রথমদিকে বর্ণনা করেছি।
তবে তিনি লােকজন কর্তৃক রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে প্রশ্ন করার কথা উল্লেখ করেন নি। আব্দুল্লাহ (ইব্ন রিবাহ র) বলেছেন, আমি যখন এ হাদীসটি জামে মসজিদে বর্ণনা করেছি তখন ইমরান ইবন হুসাইন (রাযিঃ) শুনে জিজ্ঞাসা করলেন, লোকটি কে? আমি বললাম, আমি হচ্ছি আব্দুল্লাহ ইব্ন রিবাহ আনসারী। তিনি বললেন, লােকে তাে নিজেদের ঘটনার বিষয়ে অধিক জ্ঞাত। (অতএব তুমি সতর্ক থাক, কিভাবে হাদীস বর্ণনা করছ? আমি ঐ রাতের সাতজনের অন্যতম। রাবী বলেন, আমি যখন অবসর হলাম হাদীস বর্ণনা শেষ করলাম) তিনি বললেন, আমার ধারণা ছিলাে না যে, আমি ব্যতীত অন্য কেউ এ হাদীসটি সংরক্ষণ করে।
হুমাইদুত তবীল (রাহঃ)….. আবু কাতাদা (রাযিঃ) সূত্রে রসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
2334 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْجَرَّاحِ , قَالَ: ثنا أَبُو يُوسُفَ , عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنِ ابْنِ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: أَسْرَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةٍ مِنْ غَزَوَاتِهِ , وَنَحْنُ مَعَهُ , فَقَالَ لَهُ بَعْضُ الْقَوْمِ: لَوْ عَرَّسْتَ. فَقَالَ: «إِنِّي أَخَافُ أَنْ تَنَامُوا عَنِ الصَّلَاةِ» فَقَالَ بِلَالٌ: أَنَا أُوقِظُكُمْ. فَنَزَلَ الْقَوْمُ فَاضْطَجَعُوا , وَأَسْنَدَ بِلَالٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ظَهْرَهُ إِلَى رَاحِلَتِهِ وَأُلْقِيَ عَلَيْهِمُ النَّوْمُ , فَاسْتَيْقَظَ الْقَوْمُ , وَقَدْ طَلَعَ حَاجِبُ الشَّمْسِ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيْنَ مَا قُلْتَ يَا بِلَالُ؟» قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ مَا أُلْقِيَتْ عَلَيَّ نَوْمَةٌ مِثْلُهَا قَطُّ. قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللهَ قَبَضَ أَرْوَاحَكُمْ حِينَ شَاءَ , وَرَدَّهَا إِلَيْكُمْ حِينَ شَاءَ , فَأَذِّنِ النَّاسَ بِالصَّلَاةِ» فَأَذَّنَهُمْ فَتَوَضَّئُوا، فَلَمَّا ارْتَفَعَتِ الشَّمْسُ , صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ , ثُمَّ صَلَّى الْفَجْرَ ".
2335 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، قَالَ: أنا حُصَيْنٌ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
2336 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِهِ عَنْ رَوْحٍ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْفَصْلِ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ سُؤَالَهُمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ عَبْدُ اللهِ: فَسَمِعَنِي عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ وَأَنَا أُحَدِّثُ هَذَا الْحَدِيثَ فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ، فَقَالَ: مَنِ الرَّجُلُ؟ فَقُلْتُ: أَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَبَاحٍ الْأَنْصَارِيُّ. فَقَالَ: الْقَوْمُ أَعْلَمُ بِحَدِيثِهِمْ , انْظُرْ كَيْفَ تُحَدِّثُ فَإِنِّي أَحَدُ السَّبْعَةِ تِلْكَ اللَّيْلَةَ. فَلَمَّا فَرَغْتُ قَالَ: مَا كُنْتُ أَحْسَبُ أَنَّ أَحَدًا يَحْفَظُ هَذَا الْحَدِيثَ غَيْرِي. قَالَ حَمَّادٌ , قَالَ:
2337 - حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ , عَنْ بَكْرٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ , عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
2335 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، قَالَ: أنا حُصَيْنٌ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
2336 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِهِ عَنْ رَوْحٍ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْفَصْلِ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ سُؤَالَهُمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ عَبْدُ اللهِ: فَسَمِعَنِي عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ وَأَنَا أُحَدِّثُ هَذَا الْحَدِيثَ فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ، فَقَالَ: مَنِ الرَّجُلُ؟ فَقُلْتُ: أَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَبَاحٍ الْأَنْصَارِيُّ. فَقَالَ: الْقَوْمُ أَعْلَمُ بِحَدِيثِهِمْ , انْظُرْ كَيْفَ تُحَدِّثُ فَإِنِّي أَحَدُ السَّبْعَةِ تِلْكَ اللَّيْلَةَ. فَلَمَّا فَرَغْتُ قَالَ: مَا كُنْتُ أَحْسَبُ أَنَّ أَحَدًا يَحْفَظُ هَذَا الْحَدِيثَ غَيْرِي. قَالَ حَمَّادٌ , قَالَ:
2337 - حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ , عَنْ بَكْرٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ , عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কাযা নামায আদায়ের জন্য আযান দেয়া হয়। আর মুসলিম শরীফের হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কাযা নামায আদায় করতে ইকামাত দেয়াও প্রয়োজন। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৯০) অবশ্য এ ঘটনা যেহেতু সফরের তাই সফরের ক্ষেত্রে এটা পূর্ণ প্রযোজ্য হবে। আর নিজ বাড়ি বা মহল্লায় এমন ঘটনা ঘটলে মহল্লায় আযান-ইকামাত তাদের জন্য যথেষ্ট হবে। (ইবনে আবী শাইবা: ২৩০১)
