শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৩২৯
ফজরের সালাত এক রাক'আত পড়ার পর যদি সূর্য উঠে যায়।
২৩২৯। ইব্‌ন মারমূক (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কেউ
যদি সূর্য ডােবার আগে আসরের সালাতের এক রাক'আত পায়, অবশ্যই তার সালাত পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আর কেউ যদি (সূর্য উঠার আগে) ফজরের সালাতের এক রাক'আত পায়, অবশ্যই তার সালাত পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আমাদের বর্ণিত রিওয়ায়াতে সূর্য উঠার পর ‘বিনা' তথা পূর্বের রাক'আতের সাথে মিলিয়ে পড়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা সূর্য উঠার আগে পড়া হয়েছে।
এ মতের প্রবক্তাদের বিরুদ্ধে দলীল হলোঃ সম্ভবত এটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূর্যোদয়ের সময়ে সালাত আদায়ের নিষেধাজ্ঞার পূর্বে বলেছেন। (অর্থাৎ এটি রহিত হয়ে গিয়েছে)। কারণ, তিনি তা থেকে নিষেধ করেছেন এবং এ বিষয়ে তাঁর নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত হাদীস মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত আছে। আর আমরা ঐ সমস্ত হাদীসকে ‘সালাতের ওয়াক্ত' অনুচ্ছেদে উল্লেখ করে এসেছি। অতঃপর সম্ভাবনা রয়েছে যে, তা পূর্বে মুবাহ (বৈধ) ছিলাে, পরবর্তীতে তা নিষেধাজ্ঞা দ্বারা মানসূখ (রহিত) হয়ে গিয়েছে।
(প্রথমােক্ত মত পােষণকারীরা) বলেছেনঃ নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র নফল সালাত থেকে করা হয়েছে, ফরয সালাতের কাযা পড়া থেকে নিষেধাজ্ঞা আরােপ করা হয়নি।
লক্ষ্যণীয় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজরের পর সূর্য না উঠা পর্যন্ত এবং আসরের পর সূর্য অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত সালাত পড়তে নিষেধ করেছেন। এটি কিন্তু আমাদের ও তােমাদের নিকট উক্ত দুই ওয়াক্তে কাযা সালাত পড়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধক নয়। অনুরূপভাবে সূর্যোদয়ের সময় সালাত আদায় থেকে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে তার থেকে তােমরা যে রিওয়ায়াত বর্ণনা করেছ, তা আমাদের নিকট সে সময়ে কাযা সালাত পড়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধক হবে না। তা প্রতিবন্ধক হবে শুধু মাত্র নফল সালাতের ব্যাপারে।
এর উত্তরে দ্বিতীয় মত পােষণকারী আলিমদের দলীল ও রাসূলুল্লাহর (ﷺ) থেকে এরূপ হাদীস বর্ণিত আছে, থেকে বুঝা যায় যে, কাযা ফরয সালাত সূর্য উঠা এবং অস্ত যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিষেধাজ্ঞর অন্তর্ভুক্ত (অর্থাৎ নফল ব্যতীত ফরয সালাত ও নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। হাদীসগুলাে নিম্নরূপঃ
2329 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ صَلَاةِ الْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ , وَإِذَا أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ» فِيمَا رَوَيْنَا , ذَكَرَ الْبِنَاءَ بَعْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ عَلَى مَا قَدْ دَخَلَ فِيهِ قَبْلَ طُلُوعِهَا. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ أَنَّ هَذَا قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ كَانَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ نَهْيِهِ عَنِ الصَّلَاةِ عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ. فَإِنَّهُ قَدْ نَهَى عَنْ ذَلِكَ , وَتَوَاتَرَتْ عَنْهُ الْآثَارُ بِنَهْيِهِ عَنْ ذَلِكَ , وَقَدْ ذَكَرْنَا تِلْكَ الْآثَارَ فِي «بَابِ مَوَاقِيتِ الصَّلَاةِ» . فَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ مَا كَانَ فِيهِ الْإِبَاحَةُ , هُوَ مَنْسُوخٌ بِمَا فِيهِ النَّهْيُ. فَقَالُوا: إِنَّمَا النَّهْيُ عَنِ التَّطَوُّعِ خَاصَّةً , لَا عَنْ قَضَاءِ الْفَرَائِضِ أَلَا تَرَوْنَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَهَى عَنِ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ , وَبَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ. فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عِنْدَنَا وَعِنْدَكُمْ بِمَانِعٍ أَنْ تُقْضَى صَلَاةٌ فَائِتَةٌ فِي هَذَيْنِ الْوَقْتَيْنِ. فَكَذَلِكَ مَا رَوَيْتُمْ عَنْهُ , مِنَ النَّهْيِ عَنِ الصَّلَاةِ عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ , لَا يَكُونُ مَانِعًا عِنْدَنَا لَأَنْ يَقْضِيَ حِينَئِذٍ صَلَاةً فَائِتَةً , إِنَّمَا هُوَ مَانِعٌ مِنْ صَلَاةِ التَّطَوُّعِ خَاصَّةً. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِلْآخَرِينَ عَلَيْهِمْ , أَنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الصَّلَوَاتِ الْمَفْرُوضَاتِ الْفَائِتَاتِ , قَدْ دَخَلَتْ فِيمَا نَهَى عَنْهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ , وَعِنْدَ غُرُوبِهَا
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান