শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৩২১
কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া প্রসঙ্গে।
২৩২১। ইবন মারমূক (রাহঃ) খায়সামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
আমি ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর পাশে সালাত আদায় করেছি। তিনি কাতারে খালি জায়গা দেখে আমাকে সে স্থানে অগ্রসর হওয়ার জন্য চোখ দ্বারা ইশারা করলেন। নিজের স্থান থেকে সরে যাওয়া আমাকে সম্মুখে অগ্রসর হতে বাধা দিচ্ছিলাে। যখন ইবনে উমর (রাযিঃ) বসে যেতেন তখন আমি তার থেকে দূর হয়ে যেতাম। যখন তিনি এ দৃশ্য দেখলেন তখন তিনি নিজেই অগ্রসর হয়ে গেলেন। পক্ষান্তরে আমাদের বর্ণনা মতে এক কাতার থেকে অন্য কাতারে অগ্রসর হওয়ার সময় কোন ব্যক্তি তাে উভয় কাতারের মধ্যবর্তী কাতার নয় এমন স্থানে অবস্থান করে, এটি তার ক্ষতি করে না এবং তাকে সালাত থেকেও বের করে দেয় না। যদি কাতারে দাঁড়ানাে ব্যতীত সালাত জায়িয না হতাে তাহলে এ অবস্থায় তার সালাত নষ্ট হয়ে যেত। যেহেতু সে অল্প সময়ের জন্য হলেও কাতার বিহীন স্থানে অবস্থান করেছে। যেমনিভাবে যে ব্যক্তি অপবিত্র স্থানে দাঁড়িয়ে সালাত পড়লাে, যদিও তা সল্প সময়ের জন্য হয়, তার সালাত নষ্ট হয়ে যায়।
বস্তুত যখন সমস্ত আলিমদের ঐকমত্য রয়েছে যে, কারাে সম্মুখের কাতারে যদি খালি জায়গা থাকে তাহলে তাকে উক্ত স্থানে অগ্রসর হওয়ার জন্য তারা নির্দেশ প্রদান করেন এবং উভয় কাতারের মধ্যবর্তী কাতার নয় এমন স্থানে অবস্থান করার কারণে তার সালাত বিনষ্ট হবে না। এতে প্রমাণিত হলাে যে, যে ব্যক্তি কাতারের পিছনে 'সালাত আদায় করে তার সালাত জায়িয হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ(ﷺ)-এর সাহাবীগণের এক দল থেকে বর্ণিত আছে যে, তারা কাতারের পিছনে নিয়ত বাঁধার পর সম্মুখে অগ্রসর হয়ে কাতারে প্রবেশ করতেন এবং তারা কাতারের পিছনে আদায়কৃত সালাতকে শুদ্ধ হিসাবে ধরে নিতেন।
2321 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ، أَنْبَأَنِي , قَالَ: سَمِعْتُ خَيْثَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يَقُولُ: «صَلَّيْتُ إِلَى جَنْبِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَرَأَى فِي الصَّفِّ خَلَلًا , فَجَعَلَ يَغْمِزُنِي أَنْ أَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ , وَجَعَلْتُ إِنَّمَا يَمْنَعُنِي أَنْ أَتَقَدَّمَ الضِّيقُ بِمَكَانِي , إِذَا جَلَسَ أَنْ أَبْعُدَ مِنْهُ فَلَمَّا أَنْ رَأَى ذَلِكَ تَقَدَّمَ هُوَ» وَالَّذِي يَتَقَدَّمُ مِنْ صَفٍّ إِلَى صَفٍّ عَلَى مَا ذَكَرْنَا هُوَ فِيمَا بَيْنَ الصَّفَّيْنِ فِي غَيْرِ صَفٍّ , فَلَمْ يَضُرَّهُ ذَلِكَ , وَلَمْ يُخْرِجْهُ مِنَ الصَّلَاةِ. فَلَوْ كَانَتِ الصَّلَاةُ لَا تَجُوزُ إِلَّا بِقِيَامٍ فِي صَفٍّ , لَفَسَدَتْ عَلَى هَذَا صَلَاتُهُ لَمَّا صَارَ فِي غَيْرِ صَفٍّ , وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ أَقَلَّ الْقَلِيلِ. كَمَا أَنَّ مَنْ وَقَفَ عَلَى مَكَانٍ نَجِسٍ وَهُوَ يُصَلِّي أَقَلَّ الْقَلِيلِ , أَفْسَدَ ذَلِكَ عَلَيْهِ صَلَاتَهُ. فَلَمَّا أَجْمَعُوا أَنَّهُمْ يَأْمُرُونَ هَذَا الرَّجُلَ بِالتَّقَدُّمِ إِلَى مَا خَلَا أَمَامَهُ مِنَ الصَّفِّ , وَلَا يُفْسِدُ عَلَيْهِ صَلَاتَهُ , كَوْنُهُ فِيمَا بَيْنَ الصَّفَّيْنِ فِي غَيْرِ صَفٍّ , دَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ مَنْ صَلَّى دُونَ الصَّفِّ , أَنَّ صَلَاتَهُ مُجْزِئَةٌ عَنْهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ رَكَعُوا دُونَ الصَّفِّ , ثُمَّ مَشَوْا إِلَى الصَّفِّ , وَاعْتَدُّوا بِتِلْكَ الرَّكْعَةِ الَّتِي رَكَعُوهَا دُونَ الصَّفِّ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান