শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২২৭৩
৫৫. ইমামের ঈদের সালাত ছুটে গেলে পরদিন তা পড়া যাবে কিনা?
২২৭৩। ফাহাদ (রাহঃ), আবু উমায়র ইবনে আনাস ইবনে মালিক (রাহঃ),থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন, আমার জৈনক আনসারী চাচা আমাকে সংবাদ দিয়েছে যে রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে একবার রমজান মাসের শেষ তারিখের (শাওয়ালে) নতুন চাঁদ লোকদের দৃষ্টির আড়ালে রয়ে গেল, যার কারণে সকলে রোজা রাখলেন। সূর্য হেলে যাওয়ার পর কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ), এর নিকট এসে সাক্ষ্য দিল যে তারা গত রাতে নতুন চাঁদ দেখেছে এতে রসূলুল্লাহ লোকদের সিয়াম ভঙ্গের নির্দেশ দিলে তারা তৎক্ষণাৎ সিয়াম ভেঙে ফেললেন এবং তিনি পরদিন তাদের নিয়ে ঈদগাহে ঈদের সালাত আদায় করলেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলেম এ হাদীসের বক্তব্য গ্রহণ করে বলেছেনঃ ঈদের দিনে লোকদের ঈদের সালাত ছুটে গেলে পরের দিন যথাসময়ে তা আদায় করবে। এ অভিমত যারা ব্যক্ত করেছেন আবু ইউসুফ(রাহঃ), তাদের অন্যতম।
পক্ষান্তরে এবিষয়ে অপরাপর আলেমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন এবং তারা বলেছেন যদি ঈদের দিন ঈদের সালাত ছুটে গিয়ে সূর্য হেলে যায় তাহলে এর পরে সেই দিনটা পড়বে না এবং এ দিনের পরেও পড়বে না। বস্তুত এ মত পোষণ কারীদের মধ্যে আবু হানিফা (রাহঃ), অন্যতম। এই বিষয়ে তাদের দলিল হচ্ছে যে, হাদীসের হাফিজগণ যারা উক্ত হাদীস কে হুসায়ম (রাহঃ),থেকে রিয়াওয়াত করেছেন, তারা এতে একথা উল্লেখ করেননি যে তিনি তাদেরকে নিয়ে পরের দিন ঈদের সালাত আদায় করেছেন। যারা উক্ত হাদীসের হুসায়ম (রাহঃ),থেকে রিওয়ায়াত করেছেন এবং এতে সালাতের কথা উল্লেখ করেননি। তাদের মধ্যে ইয়াহিয়া ইবনে হাসান (রাহঃ) এবং সাঈদ ইবনে মানসুর (রাহঃ) রয়েছেন। এই সাইদ অপরাপর লোকদের অপেক্ষা হুসায়মের শব্দাবলীকে অধিক সংরক্ষন করেছেন। আর তিনিই লোকদের জানিয়ে দিয়েছেন যে হুসায়ন মুদাল্লিস রাবি।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলেম এ হাদীসের বক্তব্য গ্রহণ করে বলেছেনঃ ঈদের দিনে লোকদের ঈদের সালাত ছুটে গেলে পরের দিন যথাসময়ে তা আদায় করবে। এ অভিমত যারা ব্যক্ত করেছেন আবু ইউসুফ(রাহঃ), তাদের অন্যতম।
পক্ষান্তরে এবিষয়ে অপরাপর আলেমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন এবং তারা বলেছেন যদি ঈদের দিন ঈদের সালাত ছুটে গিয়ে সূর্য হেলে যায় তাহলে এর পরে সেই দিনটা পড়বে না এবং এ দিনের পরেও পড়বে না। বস্তুত এ মত পোষণ কারীদের মধ্যে আবু হানিফা (রাহঃ), অন্যতম। এই বিষয়ে তাদের দলিল হচ্ছে যে, হাদীসের হাফিজগণ যারা উক্ত হাদীস কে হুসায়ম (রাহঃ),থেকে রিয়াওয়াত করেছেন, তারা এতে একথা উল্লেখ করেননি যে তিনি তাদেরকে নিয়ে পরের দিন ঈদের সালাত আদায় করেছেন। যারা উক্ত হাদীসের হুসায়ম (রাহঃ),থেকে রিওয়ায়াত করেছেন এবং এতে সালাতের কথা উল্লেখ করেননি। তাদের মধ্যে ইয়াহিয়া ইবনে হাসান (রাহঃ) এবং সাঈদ ইবনে মানসুর (রাহঃ) রয়েছেন। এই সাইদ অপরাপর লোকদের অপেক্ষা হুসায়মের শব্দাবলীকে অধিক সংরক্ষন করেছেন। আর তিনিই লোকদের জানিয়ে দিয়েছেন যে হুসায়ন মুদাল্লিস রাবি।
بَابُ الْإِمَامِ يَفُوتُهُ صَلَاةُ الْعِيدِ هَلْ يُصَلِّيهَا مِنَ الْغَدِ أَمْ لَا؟
2273 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: ثنا هُشَيْمُ بْنُ بَشِيرٍ , عَنْ أَبِي بِشْرٍ جَعْفَرِ بْنِ إِيَاسٍ , عَنْ أَبِي عُمَيْرِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عُمُومَتِي مِنَ الْأَنْصَارِ: «أَنَّ الْهِلَالَ خَفِيَ عَلَى النَّاسِ فِي آخِرِ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ فِي زَمَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَصْبَحُوا صِيَامًا فَشَهِدُوا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ زَوَالِ الشَّمْسِ , أَنَّهُمْ رَأَوُا الْهِلَالَ اللَّيْلَةَ الْمَاضِيَةَ. فَأَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ بِالْفِطْرِ , فَأَفْطَرُوا تِلْكَ السَّاعَةَ , وَخَرَجَ بِهِمْ مِنَ الْغَدِ , فَصَلَّى بِهِمْ صَلَاةَ الْعِيدِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا فَقَالُوا: إِذَا فَاتَ النَّاسَ صَلَاةُ الْعِيدِ فِي صَدْرِ يَوْمِ الْعِيدِ , صَلَّوْهَا مِنْ غَدِ ذَلِكَ الْيَوْمِ , فِي الْوَقْتِ الَّذِي يُصَلُّونَهَا. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ , أَبُو يُوسُفَ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: إِذَا فَاتَتِ الصَّلَاةُ يَوْمَ الْعِيدِ , حَتَّى زَالَتِ الشَّمْسُ مِنْ يَوْمِهِ , لَمْ يُصَلِّ بَعْدَ ذَلِكَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ , وَلَا فِيمَا بَعْدَهُ. وَمِمَّنْ قَالَ ذَلِكَ , أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ , أَنَّ الْحُفَّاظَ مِمَّنْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ , عَنْ هُشَيْمٍ , لَا يَذْكُرُونَ فِيهِ أَنَّهُ صَلَّى بِهِمْ مِنَ الْغَدِ. فَمِمَّنْ رَوَى ذَلِكَ عَنْ هُشَيْمٍ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ هَذَا , يَحْيَى بْنُ حَسَّانٍ , وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , وَهُوَ أَضْبَطُ النَّاسِ لِأَلْفَاظِ هُشَيْمٍ , وَهُوَ الَّذِي مَيَّزَ لِلنَّاسِ مَا كَانَ هُشَيْمٌ يُدَلِّسُ بِهِ مِنْ غَيْرِهِ
