শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ২১৬১
জুমু'আর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে সালাত পড়বে কিনা?
২১৬১। আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জুমু'আর দিন খুতবা দিচ্ছিলেন। তিনি একটি সূরা পড়লেন। এতে আবু যার (রাযিঃ) উবাই ইবন কা'ব (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, এ সূরাটি কবে অবতীর্ণ হয়েছে ? তখন তিনি তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন সালাত সমাপ্ত করলেন, তখন উবাই (রাযিঃ) আবু যার (রাযিঃ)-কে বললেন, তোমার, সালাতে কোন লাভ হয়নি, শুধু একটি অনর্থক কাজ করলে। তারপর আবু যার (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট গেলেন, এ বিষয়ে তাঁকে বললেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, উবাই (রাযিঃ) সত্য বলেছে।
অতএব দেখা যায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খুতবার সময় নীরবতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন, খুতবাকে সালাতের ন্যায় সাব্যস্ত করেছেন এবং খুতবার মধ্যে কথা বলাকে অনর্থক বলে চিহ্নিত করেছেন। এতে প্রমাণিত হয়, খুতবার সময় সালাত আদায় করা মাকরূহ। ইমাম যতক্ষণ খুতবা দিবেন ততক্ষণ লোকদের কথাবার্তা বলা যেহেতু নিষিদ্ধ, সেহেতু খুতবার সময় খুতবা ভিন্ন অন্য কোন কথা বলা ইমামের জন্যও নিষিদ্ধ হবে। লক্ষণীয় যে, মুকতাদীদেরকে সালাতে কথাবার্তা বলতে নিষেধ করা হয়েছে, ইমামের অবস্থাও অনুরূপ । অতএব ইমাম ছাড়া অন্যদের জন্য যা নিষিদ্ধ তা ইমামের জন্যও নিষিদ্ধ। কাজেই খুতবার সময় ইমাম ছাড়া অন্যদেরকে যেহেতু কথাবার্তা বলতে নিষেধ করা হয়েছে সেহেতু ইমামের জন্যও খুতবার সময় খুতবা ছাড়া অন্য কথাবার্তা বলা নিষিদ্ধ হবে। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে নিম্নোক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছেঃ
2161 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ التَّيْمِيُّ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَرَأَ سُورَةً. فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ لِأُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ: مَتَى نَزَلَتْ هَذِهِ السُّورَةُ؟ فَأَعْرَضَ عَنْهُ. فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاتَهُ قَالَ أُبَيٌّ لِأَبِي ذَرٍّ: مَا لَكَ مِنْ صَلَاتِكَ إِلَّا مَا لَغَوْتَ. فَدَخَلَ أَبُو ذَرٍّ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ بِذَلِكَ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَدَقَ أُبَيٌّ» فَقَدْ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْإِنْصَاتِ عِنْدَ الْخُطْبَةِ , وَجَعَلَ حُكْمَهَا فِي ذَلِكَ , كَحُكْمِ الصَّلَاةِ , وَجَعَلَ الْكَلَامَ فِيهَا لَغْوًا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الصَّلَاةَ فِيهَا مَكْرُوهَةٌ , فَإِذَا كَانَ النَّاسُ مَنْهِيِّينَ عَنِ الْكَلَامِ , مَا دَامَ الْإِمَامُ يَخْطُبُ , كَانَ كَذَلِكَ , الْإِمَامُ مَنْهِيًّا عَنِ الْكَلَامِ , مَا دَامَ يَخْطُبُ بِغَيْرِ الْخُطْبَةِ. أَلَا تَرَى أَنَّ الْمَأْمُومِينَ مَمْنُوعُونَ مِنَ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ؟ . فَكَذَلِكَ الْإِمَامُ , فَكَانَ مَا مُنِعَ مِنْهُ غَيْرُ الْإِمَامِ فَقَدْ مُنِعَ مِنْهُ الْإِمَامُ. فَكَذَلِكَ لَمَّا مُنِعَ غَيْرُ الْإِمَامِ مِنَ الْكَلَامِ فِي الْخُطْبَةِ , كَانَ الْإِمَامُ مُنِعَ بِذَلِكَ أَيْضًا مِنَ الْكَلَامِ فِي الْخُطْبَةِ , بِمَا هُوَ مِنْ غَيْرِهَا. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ২১৬১ | মুসলিম বাংলা