শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২০৪৪
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৪৪। আব্দুল্লাহ ইব্ন মুহাম্মাদ ইব্ন খুশাইশ (রাহঃ) ...... আবু যির (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ।
এটা একটা প্রমাণ যে, এক রাক’আতে সূরার অংশ বিশেষ পড়াতে কোন ক্ষতি নেই । এবং এ বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে যে, এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়াতেও কোন অসুবিধা নেই । এ সংক্রান্ত রিওয়ায়াত রাসূলুল্লাহ্ (স) থেকে আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি। রাসূলুল্লাহ্ (স) থেকে এরূপ রিওয়ায়াতও বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেনঃ সর্বোত্তম সালাত হলো (যাতে ) দীর্ঘ কিয়াম হয়। বস্তুত এটাও আবুল আলিয়ার বিবরণের পরিপন্থি । কারণ এটা অবশ্য প্রমাণ করে যে, সে সালাতই সর্বোত্তম যার মধ্যে কিরা’আত দীর্ঘ হয় । আর কিরা’আত দীর্ঘ হতে পারে কেবল এক রাক’আতে অনেক সূরা একত্রিত (পাঠ) করলেই। আর এ সবই হলো আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ(রাহঃ) এর মত।
এমনকি ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে প্রথম পরিচ্ছেদে যেরূপ হাদীস আমরা বর্ণনা করেছি, তাঁর সূত্রে এর বিপরীত রিওয়ায়াত বর্ণিত আছেঃ
এটা একটা প্রমাণ যে, এক রাক’আতে সূরার অংশ বিশেষ পড়াতে কোন ক্ষতি নেই । এবং এ বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে যে, এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়াতেও কোন অসুবিধা নেই । এ সংক্রান্ত রিওয়ায়াত রাসূলুল্লাহ্ (স) থেকে আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি। রাসূলুল্লাহ্ (স) থেকে এরূপ রিওয়ায়াতও বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেনঃ সর্বোত্তম সালাত হলো (যাতে ) দীর্ঘ কিয়াম হয়। বস্তুত এটাও আবুল আলিয়ার বিবরণের পরিপন্থি । কারণ এটা অবশ্য প্রমাণ করে যে, সে সালাতই সর্বোত্তম যার মধ্যে কিরা’আত দীর্ঘ হয় । আর কিরা’আত দীর্ঘ হতে পারে কেবল এক রাক’আতে অনেক সূরা একত্রিত (পাঠ) করলেই। আর এ সবই হলো আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ(রাহঃ) এর মত।
এমনকি ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে প্রথম পরিচ্ছেদে যেরূপ হাদীস আমরা বর্ণনা করেছি, তাঁর সূত্রে এর বিপরীত রিওয়ায়াত বর্ণিত আছেঃ
2044 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خُشَيْشٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، قَالَ: حَدَّثَنِي قُدَامَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَتْنِي جَسْرَةُ بِنْتُ دَجَاجَةَ، أَنَّهَا سَمِعَتْ أَبَا ذَرٍّ، يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ فَهَذَا دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِقِرَاءَةِ بَعْضِ سُورَةٍ فِي رَكْعَةٍ. وَقَدْ ثَبَتَ أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِقِرَاءَةِ السُّوَرِ فِي الرَّكْعَةِ ; لِمَا قَدْ ذَكَرْنَا , مِمَّا جَاءَ فِي ذَلِكَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ جَاءَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «أَفْضَلُ الصَّلَاةِ طُولُ الْقِيَامِ» فَذَلِكَ يَنْفِي أَيْضًا مَا ذَكَرَ أَبُو الْعَالِيَةِ , لِأَنَّهُ يُوجِبُ أَنَّ الْأَفْضَلَ مِنَ الصَّلَوَاتِ مَا أُطِيلَتِ الْقِرَاءَةُ فِيهِ , وَلَا يَكُونُ ذَلِكَ إِلَّا بِالْجَمْعِ بَيْنَ السُّوَرِ الْكَثِيرَةِ فِي رَكْعَةٍ. وَهَذَا كُلُّهُ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ خِلَافُ مَا رَوَيْنَا عَنْهُ فِي الْفَصْلِ الْأَوَّلِ


বর্ণনাকারী: