শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ২০২২
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০২২। ইউনুস (রাহঃ) … আকীল ইব্‌ন আবু তালিবের আযাদকৃত গোলাম আবু মুররা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করে ছিলেন , রাসূলুল্লাহ্‌ (স) কিভাবে বিত্‌র পড়তেন ? তিনি বললেনঃ তুমি ইচ্ছা করলে আমি তোমাকে বলতে পারি আমি (কিভাবে বিত্‌র )আদায় করি । তখন আমি বললাম, ঠিক আছে আমাকে বলুন । ফলে তিনি বললেন, আমি যখন ইশা’র সালাত আদায় করি তার পর পাঁচ রাক’আত সালাত পড়ি, তারপর ঘুমিয়ে পড়ি তারপর যদি রাতে ঘুম থেকে উঠি তাহলে দু’দু’রাক’আত করে সালাত পড়ি । আর যদি সকাল হয়ে যায় তাহলে বিত্‌রের উপরই আমার সকাল হয়।
বস্তুত এখানে লক্ষণীয় যে, ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) আ’ইয ইব্‌ন আমর (রাযিঃ) আম্মার (রাযিঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও আয়িশা (রাযিঃ) সবই বিত্‌রের পর নফল পড়ার ফলে বিত্‌র ভঙ্গ হয় বলে মনে করেন না । এটাই আমাদের মতে উত্তম সেসব বিওয়ায়াত সমূহ থেকে , যেগুলো তাঁদের বিরোধীদের সূত্রে বর্ণিওত। । কারন এটি রাসূলুল্লাহ্‌ (স) থেকে বর্ণিত উক্তি ও কর্মের সমর্থক । অন্যদের থেকে বর্ণিত হাদীসের অনুকূলে যৌক্তিক কোন ভিত্তিও নেই । কারণ (বিরোধী হাদীসের সারমর্ম) সাহাবিগণ যখন পড়ার ইচ্ছে করতেন তখন এক রাক’আত পড়ে পূর্বের বিত্‌রকে জোর বানিয়ে ফেলতেন । অথচ বিত্‌রের মাঝে ও পরবর্তী মিলানো সালাতের মাঝে কথাবার্তা, অন্যান্য কাজ ও ঘুম করা যেতে পারে । বিষয়টি যখন এরূপ , এবং এর বিরোধিতা করেছেন উপরোল্লেখিত সাহাবায়ে কিরাম এবং রাসূলুল্লাহ্‌ (স) থেকেও এর পরিপন্থী রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে , তাই বিরোধী মতটি বাতিল হয়ে গেল । তার উপর আমল করা জায়েয নেই। আমরা যে উক্তিটি উল্লেখ করলাম সেটি আবু হানীফা (স), আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর মত
2022 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي مُرَّةَ، مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوتِرُ؟ فَقَالَ: إِنْ شِئْتَ أَخْبَرْتُكَ كَيْفَ أَصْنَعُ أَنَا , قُلْتُ: أَخْبِرْنِي. قَالَ: «إِذَا صَلَّيْتُ الْعِشَاءَ , صَلَّيْتُ بَعْدَهَا خَمْسَ رَكَعَاتٍ , ثُمَّ أَنَامُ , فَإِنْ قُمْتُ مِنَ اللَّيْلِ , صَلَّيْتُ مَثْنَى مَثْنَى , وَإِنْ أَصْبَحْتُ , أَصْبَحْتُ عَلَى وِتْرٍ» فَهَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وَعَائِذُ بْنُ عَمْرٍو , وَعَمَّارٌ , وَأَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وَعَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , لَا يَرَوْنَ التَّطَوُّعَ بَعْدَ الْوِتْرِ , يَنْقُضُ الْوِتْرَ. فَهَذَا أَوْلَى عِنْدَنَا مِمَّا رُوِيَ عَمَّنْ خَالَفَهُمْ , إِذْ كَانَ ذَلِكَ مُوَافِقًا لِمَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ فِعْلِهِ وَقَوْلِهِ. وَالَّذِي رُوِيَ عَنِ الْآخَرِينَ أَيْضًا فَلَيْسَ لَهُ أَصْلٌ فِي النَّظَرِ , لِأَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا أَرَادُوا أَنْ يَتَطَوَّعُوا , صَلَّوْا رَكْعَةً , فَيَشْفَعُونَ بِهَا وِتْرًا مُتَقَدِّمًا , قَدْ قَطَعُوا فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ مَا شَفَعُوا بِهِ , بِكَلَامٍ , وَعَمَلٍ , وَنَوْمٍ , وَهَذَا لَا أَصْلَ لَهُ أَيْضًا فِي الْإِجْمَاعِ , فَيُعْطَفُ عَلَيْهِ هَذَا الِاخْتِلَافُ. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , وَخَالَفَهُ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَنْ ذَكَرْنَا , وَرُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا خِلَافُهُ , انْتَفَى ذَلِكَ , وَلَمْ يَجُزِ الْعَمَلُ بِهِ. وَهَذَا الْقَوْلُ الَّذِي بَيَّنَّا , قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান