শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮০৮
আসরের পর দু’রাক’আতে
১৮০৮। আলী ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) .... বুকায়র (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) এর আযাদকৃত গোলাম- কুরায়ব (রাহঃ) তাঁকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) আব্দুর রহমান ইব্ন আযহার (রাযিঃ) ও মিসও’যার ইব্ন মাখরামা (রাযিঃ) সকলে তাঁকে আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট প্রেরণ করেন। আর তাঁরা তাঁকে বলেছেন যে আমাদের সকলের পক্ষ থেকে তাঁকে সালাম বলবে এবং তাঁকে আসরের পর দু’রাক’আত (সালাত) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে। তুমি আরো বলবে যে আমরা সংবাদ প্রাপ্ত হয়েছি যে, আপনি নাকি উক্ত দু’রাক’আত পড়ছেন। অথচ আমাদের নিকট এ মর্মে রিওয়ায়াত পৌঁছেছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উক্ত দু’রাক’আত থেকে নিষেধ করেছেন। ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেনঃ আমি উমর (রাযিঃ) এর সাথে লোকদেরকে উক্ত দু’রাক’আত পড়ার কারণে প্রহার করতাম। কুরায়ব (রাহঃ) বলেন ঃ আমি আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট গেলাম এবং আমাকে তাঁরা যে উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছেন তা তাঁর নিকট ব্যক্ত করলাম। তিনি বললেন উম্মে সালামা (রাযিঃ) কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা কর। আমি তাঁদের নিকট ফিরে গিয়ে তাঁর উক্তি সম্পর্কে তাঁদের কে সংবাদ দিলাম। তারপর তাঁরা সেই প্রশ্নসহ আমাকে যে প্রশ্ন সহকারে আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট প্রেরণ করেছিলেন উম্মে সালামা (রাযিঃ) এর নিকট পুনরায় প্রেরণ করলেন। উম্মে সালামা (রাযিঃ) বললেন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে উক্ত দু’রাক’আত থেকে নিষেধ করতে শুনেছি। তারপর তাঁকে উক্ত দু’রাক’আত পড়তে দেখেছি। তিনি যে উক্ত দু’রাক’আত পড়েছেন তা ছিলো এভাবে যে, তিনি আসরের সালাত আদায় করার পর আমার গৃহে প্রবেশ করেন। তখন আমার নিকট আনসার বনু হারাম গোত্রের কিছু সংখ্যক মহিলা উপস্থিত ছিলো । তিনি উক্ত দু’রাক’আত সালাত আদায় করলেন। এদিকে আমি তাঁর নিকট দাসীকে এ বলে পাঠালাম যে তুমি তাঁর পার্শ্বে গিয়ে দাঁড়াবে এবং বলবে যে হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) আপনাকে উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলছেন, আমি কি আপনাকে উক্ত দু’রাক’আত থেকে নিষেধ করতে শুনিনি? অথচ আপনাকে তা পড়তে দেখছি। যদি তিনি স্বীয় হাতে ইংগিত করেন তাহলে তুমি তাঁর নিকট থেকে চলে আসবে। দাসী তা-ই করল। তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) হাতে ইংগিত করলে সে চলে আসে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাত শেষে বললেন ঃ হে আবু উমাইয়া’র কন্যা তুমি আমাকে আসর পরবর্তী দু’রাক’আত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছ,(এর বিবরণ শুন) আমার নিকট আব্দুল কায়স গোত্রের লোকেরা ইসলাম গ্রহণ উপলক্ষে উপস্থিত হয়েছে,(তাদের সাথে ব্যস্ত থাকার কারণে) তাঁরা আমাকে যুহরের পরবতী দু’রাক’আত থেকে বিরত রেখেছে। অতএব সেই দু’রাক’আত হচ্ছে এটি।
বস্তুত এ সমস্ত হাদীসে অথবা এর কতেকে বর্ণিত হয়েছে যে, আয়িশা (রাযিঃ) থেকে প্রথম পরিচ্ছেদে বর্ণিত হাদীসে যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসরের পর তাঁর গৃহে আসলেই দু’রাক’আত (সালাত) আদায় করতেন এটিকে তিনি উম্মে সালামা (রাযিঃ) এর সাথে সংশ্লিষ্ট করেছেন। এতে প্রথম পরিচ্ছেদে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত সমস্ত হাদীসের খন্ডন হয়ে যায়। আর উম্মে সালামা (রাযিঃ)-কে যখন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে উক্ত দু’রকা’আত থেকে নিষেধ করতে শুনেছেন। এরই উপর ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) মিসওয়ার ইব্ন মাখরামা (রাযিঃ) ও আব্দুর রহমান ইব্ন আযহার (রাযিঃ) তাঁর সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। অবশ্যই তাঁরা তা (তাঁদের নিকট পৌঁছেছে) রূপে উল্লেখ করেছেন,’শুনেছেন‘ বলে উল্লেখ করেননি। এ বিষয়ে তাঁদের একদল সাহাবী ঐকমত্য পোষণ করেছেন যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে তা বর্ণনা করেছেন।
এ বিষয়ে বর্ণিত কিছু হাদীস নিম্মরূপ ঃ
বস্তুত এ সমস্ত হাদীসে অথবা এর কতেকে বর্ণিত হয়েছে যে, আয়িশা (রাযিঃ) থেকে প্রথম পরিচ্ছেদে বর্ণিত হাদীসে যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসরের পর তাঁর গৃহে আসলেই দু’রাক’আত (সালাত) আদায় করতেন এটিকে তিনি উম্মে সালামা (রাযিঃ) এর সাথে সংশ্লিষ্ট করেছেন। এতে প্রথম পরিচ্ছেদে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত সমস্ত হাদীসের খন্ডন হয়ে যায়। আর উম্মে সালামা (রাযিঃ)-কে যখন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে উক্ত দু’রকা’আত থেকে নিষেধ করতে শুনেছেন। এরই উপর ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) মিসওয়ার ইব্ন মাখরামা (রাযিঃ) ও আব্দুর রহমান ইব্ন আযহার (রাযিঃ) তাঁর সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। অবশ্যই তাঁরা তা (তাঁদের নিকট পৌঁছেছে) রূপে উল্লেখ করেছেন,’শুনেছেন‘ বলে উল্লেখ করেননি। এ বিষয়ে তাঁদের একদল সাহাবী ঐকমত্য পোষণ করেছেন যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে তা বর্ণনা করেছেন।
এ বিষয়ে বর্ণিত কিছু হাদীস নিম্মরূপ ঃ
1808 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي بَكْرُ بْنُ مُضَرَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرٍ، أَنَّ كُرَيْبًا، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا حَدَّثَهُ: أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَزْهَرَ وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَرْسَلُوهُ إِلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , فَقَالُوا: أَقْرِئْهَا السَّلَامَ مِنَّا جَمِيعًا وَسَلْهَا عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ وَقُلْ إِنَّا أُخْبِرْنَا أَنَّكِ تُصَلِّينَهُمَا وَقَدْ بَلَغَنَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْهُمَا. قَالَ ابْنُ عَبَّاسِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: وَكُنْتُ أَضْرِبُ النَّاسَ مَعَ عُمَرَ عَلَيْهِمَا , قَالَ كُرَيْبٌ فَدَخَلْتُ عَلَيْهَا فَبَلَّغْتُهَا مَا أَرْسَلُونِي بِهِ , فَقَالَتْ: سَلْ أُمَّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَخَرَجْتُ إِلَيْهِمْ فَأَخْبَرْتُهُمْ بِقَوْلِهَا فَرَدُّونِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِمِثْلِ مَا أَرْسَلُونِي بِهِ إِلَى عَائِشَةَ فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةِ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: " سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَى عَنْهُمَا , ثُمَّ رَأَيْتُهُ صَلَّاهُمَا , أَمَّا حِينَ صَلَّاهُمَا فَإِنَّهُ صَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ دَخَلَ عَلَيَّ وَعِنْدِي نِسْوَةٌ مِنْ بَنِي حَرَامٍ مِنَ الْأَنْصَارِ فَصَلَّاهُمَا فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ الْجَارِيَةَ فَقُلْتُ: قُومِي إِلَى جَنْبِهِ فَقُولِي تَقُولُ لَكَ أُمُّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: يَا رَسُولَ اللهِ لِمَ أَسْمَعُكَ تَنْهَى عَنْ هَاتَيْنِ الرَّكْعَتَيْنِ وَأَرَاكَ تُصَلِّيهِمَا؟ فَإِنْ أَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخِرِي عَنْهُ فَفَعَلَتِ الْجَارِيَةُ فَأَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخَرَتْ عَنْهُ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: «يَا بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ سَأَلْتِ عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ , وَإِنَّهُ أَتَانِي أُنَاسٌ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ بِالْإِسْلَامِ مِنْ قَوْمٍ فَشَغَلُونِي عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ فَهُمَا هَاتَانِ» فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ أَوْ فِي بَعْضِهَا أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا لَمَّا سُئِلَتْ عَمَّا حُكِيَ عَنْهَا مِمَّا ذَكَرْنَا فِي الْفَصْلِ الْأَوَّلِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ يَأْتِيهَا فِي بَيْتِهَا بَعْدَ الْعَصْرِ إِلَّا صَلَّى رَكْعَتَيْنِ أَضَافَتْ ذَلِكَ إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَانْتَفَتْ بِذَلِكَ الْآثَارُ الْأُوَلُ كُلُّهَا الْمَرْوِيَّةُ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَلَمَّا سُئِلَتْ عَنْ ذَلِكَ أُمُّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَخْبَرَتْ أَنَّهَا قَدْ كَانَتْ سَمِعَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَى عَنْهُمَا. وَوَافَقَهَا عَلَى ذَلِكَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَالْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ , وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْأَزْهَرِ إِلَّا أَنَّهُمْ ذَكَرُوا ذَلِكَ بَلَاغًا وَلَمْ يَذْكُرُوهُ سَمَاعًا. وَوَافَقَهُمْ عَلَى ذَلِكَ جَمَاعَةٌ حَكَوْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمِمَّا رُوِيَ فِي ذَلِكَ
