শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৭৫০
বিতর প্রসঙ্গ
১৭৫০। আবু বাকরা (রাহঃ) ....আব্দুর রহমান আল-তায়মী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে,তিনি বলেছেনঃ আমি (মনে মনে) বললাম, আজ কিয়ামূল-লায়ল তথা রাতের সালাম আদায়ে আমার উপর কেউ বিজয়ী হতে পারবে না। তাই আমি সালাত আদায় করতে লাগলাম। হঠাৎ আমার পিছনে এক ব্যক্তির উপস্থিতি অনুভব করলাম। লক্ষ্য করে দেখলাম যে, উসমান ইব্ন আফফান (রাযিঃ) । আমি তার জন্য পিছনে কিছুটা সরে এলাম। তিনি আগে বেড়ে গিয়ে কুরআন শরীফ পড়া শুরু করে দিলেন এবং পূর্ণ কুরআন খতম করে ফেললেন। তারপর রুকূ এবং সিজ্দা করলেন । আমি (মনে মনে) বললাম,শায়খ তা বিভ্রাট করে ফেলেছেন। তিনি যখন সালাম শেষ করলেন,আমি তাকে বললাম হে আমিরুল মু’মিনীন,আপনিতো শুধু এক রাক’আত আদায় করেছেন। তিনি বললেন,হ্যাঁ, এটি আমার বিতর।
এর উত্তরে বলা হবে যে,সম্ভবত উসমান (রাযিঃ) তাঁর দু রাক’আত এবং বিতরের মধ্য ভাগে পার্থক্য করেছিলেন। তিনি দু’রাক’আত ইতিপূর্বে আদায় করে ফেলেছিলেন তারপর তিনি বিতর আদায় করেছেন। যখন তাঁকে আব্দুর রহমান (রাযিঃ) দেখছিলে। আর আব্দুর রহমান (রাযিঃ) কর্তৃক উসমান (রাযিঃ) এর কাজের প্রতি আপত্তি করায় বুঝা যাচ্ছে যে,পূর্ব থেকে বিতর তিন রাক’আত চালু ছিল এবং তিনি উসমান (রাযিঃ) এর কর্মের বিপরীত তথা তিন রাক’আতকে বিতর হিসাবে জানতেন।আব্দুর রহমান (রাযিঃ) একজন সাহাবী ছিলেন। আর এভাবে এ বিষয়বস্তু প্রথম বিষয়বস্তুর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
এ বিষয়ে কেউ যদি সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস দ্বারা দলীল উত্থাপন করে ঃ
এর উত্তরে বলা হবে যে,সম্ভবত উসমান (রাযিঃ) তাঁর দু রাক’আত এবং বিতরের মধ্য ভাগে পার্থক্য করেছিলেন। তিনি দু’রাক’আত ইতিপূর্বে আদায় করে ফেলেছিলেন তারপর তিনি বিতর আদায় করেছেন। যখন তাঁকে আব্দুর রহমান (রাযিঃ) দেখছিলে। আর আব্দুর রহমান (রাযিঃ) কর্তৃক উসমান (রাযিঃ) এর কাজের প্রতি আপত্তি করায় বুঝা যাচ্ছে যে,পূর্ব থেকে বিতর তিন রাক’আত চালু ছিল এবং তিনি উসমান (রাযিঃ) এর কর্মের বিপরীত তথা তিন রাক’আতকে বিতর হিসাবে জানতেন।আব্দুর রহমান (রাযিঃ) একজন সাহাবী ছিলেন। আর এভাবে এ বিষয়বস্তু প্রথম বিষয়বস্তুর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
এ বিষয়ে কেউ যদি সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস দ্বারা দলীল উত্থাপন করে ঃ
1750 - مَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , قَالَ: ثنا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْخُزَاعِيُّ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ التَّيْمِيِّ , قَالَ: قُلْتُ: لَا يَغْلِبُنِي اللَّيْلَةَ عَلَى الْقِيَامِ أَحَدٌ , فَقُمْتُ أُصَلِّي فَوَجَدْتُ حِسَّ رَجُلٍ مِنْ خَلْفِ ظَهْرِي فَنَظَرْتُ فَإِذَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ , فَتَنَحَّيْتُ لَهُ فَتَقَدَّمَ فَاسْتَفْتَحَ الْقُرْآنَ حَتَّى خَتَمَ ثُمَّ رَكَعَ وَسَجَدَ فَقُلْتُ: أَوْهَمَ الشَّيْخُ , فَلَمَّا صَلَّى قُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ , إِنَّمَا صَلَّيْتَ رَكْعَةً وَاحِدَةً , فَقَالَ: «أَجَلْ، هِيَ وِتْرِي» قِيلَ لَهُ: قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ عُثْمَانُ كَانَ يَفْصِلُ بَيْنَ شَفْعِهِ وَوِتْرِهِ فَيَكُونُ قَدْ صَلَّى شَفْعَهُ قَبْلَ ذَلِكَ , ثُمَّ أَوْتَرَ فِي وَقْتِ مَا رَآهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ. وَفِي إِنْكَارِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فِعْلَ عُثْمَانَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الْعَادَةَ الَّتِي قَدْ كَانَ جَرَى عَلَيْهَا قَبْلَ ذَلِكَ وَعَرَفَهَا عَلَى غَيْرِ مَا فَعَلَ عُثْمَانُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ فَلَهُ صُحْبَةٌ. فَقَدْ دَخَلَ بِذَلِكَ هَذَا الْمَعْنَى فِي الْمَعْنَى الْأَوَّلِ. وَإِنِ احْتَجَّ فِي ذَلِكَ مُحْتَجٌّ بِمَا رُوِيَ عَنْ سَعْدٍ , فَإِنَّهُ قَدْ
