শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৬৩৪
৩১-সালাতে সালাম ফরয না সুন্নত ?
১৬৩৪। হুসাইন ইব্ন নসর রে) ..... আলী ইবৃন আবী তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন রাসূলুল্লাহ্ সাল্ললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ সালাতের চাবি হলো পবিত্রতা, এর ইহরাম (প্রবেশের মাধ্যম) হলো তাকবীরে তাহরিমা, আর এর হালাল করণ (বের হওয়ার মাধ্যম) হচ্ছে সালাম ফিরানো।
একদল আলিম বলেছেন যে, কেউ যদি সালাম ব্যতীত সালাত শেষ করে তবে তার সালাত বাতিল
বলে গণ্য হবে। যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ সাল্ললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ সালাত থেকে হালাল (বের) হওয়ার মাধ্যম হবে সালাম ফিরানো । অতএব সালাম ব্যতীত সালাত থেকে বের হওয়া জায়িয হবে না।
এ ব্যাপারে অপরাপর আলিমগণ ভিন্নমত ব্যক্ত করেছেন। তারা আবার দু'ভাগে রিভক্ত হয়েছেন।
একদল বলেছেনঃ কেউ তাশাহ্হুদ পরিমাণ বসলে তার সালাত পূর্ণ হয়ে যাবে যদিও সে সালাম না
ফিরায়। অন্যদল বলেছেনঃ কেউ তার সালাতের শেষ সিজ্দা থেকে মাথা উত্তোলন করলে তার
সালাত পূর্ণ হয়ে যাবে, যদিও সে তাশাহ্হুদ না পড়ে এবং সালামও না ফিরায়।
বস্তুত প্রথম মত ব্যক্তকারীদের বিরুদ্ধে উভয় দলের আলিমদের দলীল হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্ললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হাদীস-সালাতের হালালকরণ (বের হওয়ার মাধ্যম) হচ্ছে, সালাম ফিরানো। যা আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে।
অন্য দিকে আলী (রাযিঃ) থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর নিজস্ব অভিমত (ফাতওয়া) বর্ণিত হয়েছে। যাতে বুঝা যায় যে, তিনি এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উক্তির যে অর্থ নিয়েছেন, প্রথম দল আলিমগণ কিন্তু সে অর্থ গ্রহণ করেননি বরং ভিন্ন অর্থ নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তাঁরা নিন্মোক্ত হাদীস উল্লেখ করেছেনঃ
বলেছেন রাসূলুল্লাহ্ সাল্ললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ সালাতের চাবি হলো পবিত্রতা, এর ইহরাম (প্রবেশের মাধ্যম) হলো তাকবীরে তাহরিমা, আর এর হালাল করণ (বের হওয়ার মাধ্যম) হচ্ছে সালাম ফিরানো।
একদল আলিম বলেছেন যে, কেউ যদি সালাম ব্যতীত সালাত শেষ করে তবে তার সালাত বাতিল
বলে গণ্য হবে। যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ সাল্ললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ সালাত থেকে হালাল (বের) হওয়ার মাধ্যম হবে সালাম ফিরানো । অতএব সালাম ব্যতীত সালাত থেকে বের হওয়া জায়িয হবে না।
এ ব্যাপারে অপরাপর আলিমগণ ভিন্নমত ব্যক্ত করেছেন। তারা আবার দু'ভাগে রিভক্ত হয়েছেন।
একদল বলেছেনঃ কেউ তাশাহ্হুদ পরিমাণ বসলে তার সালাত পূর্ণ হয়ে যাবে যদিও সে সালাম না
ফিরায়। অন্যদল বলেছেনঃ কেউ তার সালাতের শেষ সিজ্দা থেকে মাথা উত্তোলন করলে তার
সালাত পূর্ণ হয়ে যাবে, যদিও সে তাশাহ্হুদ না পড়ে এবং সালামও না ফিরায়।
বস্তুত প্রথম মত ব্যক্তকারীদের বিরুদ্ধে উভয় দলের আলিমদের দলীল হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্ললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হাদীস-সালাতের হালালকরণ (বের হওয়ার মাধ্যম) হচ্ছে, সালাম ফিরানো। যা আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে।
অন্য দিকে আলী (রাযিঃ) থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর নিজস্ব অভিমত (ফাতওয়া) বর্ণিত হয়েছে। যাতে বুঝা যায় যে, তিনি এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উক্তির যে অর্থ নিয়েছেন, প্রথম দল আলিমগণ কিন্তু সে অর্থ গ্রহণ করেননি বরং ভিন্ন অর্থ নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তাঁরা নিন্মোক্ত হাদীস উল্লেখ করেছেনঃ
بَابُ السَّلَامِ فِي الصَّلَاةِ , هَلْ هُوَ مِنْ فُرُوضِهَا أَوْ مِنْ سُنَنِهَا؟
1634 - حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ , عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ , عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مِفْتَاحُ الصَّلَاةِ الطُّهُورُ , وَإِحْرَامُهَا التَّكْبِيرُ , وَإِحْلَالُهَا التَّسْلِيمُ» فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا انْصَرَفَ مِنْ صَلَاتِهِ بِغَيْرِ تَسْلِيمٍ فَصَلَاتُهُ بَاطِلَةٌ ; لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «تَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ» فَلَا يَجُوزُ أَنْ يَخْرُجَ مِنْهَا بِغَيْرِهِ. خَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَافْتَرَقُوا عَلَى قَوْلَيْنِ. فَمِنْهُمْ مَنْ قَالَ: إِذَا قَعَدَ مِقْدَارَ التَّشَهُّدِ , فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ , وَإِنْ لَمْ يُسَلِّمْ. وَمِنْهُمْ مَنْ قَالَ: إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ آخِرِ سَجْدَةٍ مِنْ صَلَاتِهِ , فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ , وَإِنْ لَمْ يَتَشَهَّدْ وَلَمْ يُسَلِّمْ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِلْفَرِيقَيْنِ جَمِيعًا عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَنَّ مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِنْ قَوْلِهِ «تَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ» , إِنَّمَا رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ رَأْيِهِ فِي مِثْلِ ذَلِكَ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ مَعْنَى قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ كَانَ عِنْدَهُ عَلَى غَيْرِ مَا حَمَلَهُ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى. فَذَكَرُوا
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, তাকবীরে তাহরীমা হলো আলস্নাহু আকবার বলা। তাকবীরে তাহরীমার মাধ্যমে নামাযে অবৈধ হওয়া কাজগুলো যেহেতু সালামের দ্বারা পুনরায় হালাল হয় তাই সালামকে হালালকারী বলা হয়।
উল্লেখ্য, আল্লাহ তাআলার বাণী -وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهِ فَصَلَّى তাঁর রবের নাম স্মরণ করে নামায আদায় করলো। (ছূরা আলা-১৪, ১৫) এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর নাম নিয়ে নামায আদায় শুরু করতে হবে। আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৭৯) রসূলুল্লাহ স. তাঁর জীবনীতে এ আয়াতের আমল দেখিয়েছেন ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নামায শুরু করার মাধ্যমে। আর নামাযের শুরুতে দেয়া ঐ তাকবীরটির নাম তাকবীরে তাহরীমা। আল্লাহর নাম নিয়ে নামায শুরু করার উদ্দেশ্য তাঁর বড়ত্ব বর্ণনা করা। আর বড়ত্ব প্রকাশের জন্য নিতানত্ম প্রয়োজন তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে গিয়ে শব্দগত এমন ভুল থেকে বেঁচে থাকা জরম্নরী যা দ্বারা তাঁর প্রতি বিশ্বাসের পরিপন্থী কথা হয়ে যায়। যেমন, ‘আকবার’-এর ‘বা’ টেনে পড়া। অথবা অর্থগত এমন ভুল থেকে বেঁচে থাকা যা দ্বারা তাঁর প্রতি বিশ্বাসের পরিপন্থী কথা হয়ে যায়। যেমন, ‘আল্লাহ’ শব্দের ‘হামজা’ টেনে পড়া, যার অর্থ: আল্লাহ কি এক? এর দ্বারা আল্লাহ্ তাআলার একত্ববাদের উপর প্রশ্ন তোলা হয়। এটা কোনক্রমে একজন মুসলমানের আচার ও বিশ্বাস হতে পারে না। আর এ যাতীয় ভুল উচ্চারণের মাধ্যমে তাকবীরে তাহরীমা সহীহ হবে না; নামাযও শুরু হবে না। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৮০)
উল্লেখ্য, আল্লাহ তাআলার বাণী -وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهِ فَصَلَّى তাঁর রবের নাম স্মরণ করে নামায আদায় করলো। (ছূরা আলা-১৪, ১৫) এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর নাম নিয়ে নামায আদায় শুরু করতে হবে। আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৭৯) রসূলুল্লাহ স. তাঁর জীবনীতে এ আয়াতের আমল দেখিয়েছেন ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নামায শুরু করার মাধ্যমে। আর নামাযের শুরুতে দেয়া ঐ তাকবীরটির নাম তাকবীরে তাহরীমা। আল্লাহর নাম নিয়ে নামায শুরু করার উদ্দেশ্য তাঁর বড়ত্ব বর্ণনা করা। আর বড়ত্ব প্রকাশের জন্য নিতানত্ম প্রয়োজন তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে গিয়ে শব্দগত এমন ভুল থেকে বেঁচে থাকা জরম্নরী যা দ্বারা তাঁর প্রতি বিশ্বাসের পরিপন্থী কথা হয়ে যায়। যেমন, ‘আকবার’-এর ‘বা’ টেনে পড়া। অথবা অর্থগত এমন ভুল থেকে বেঁচে থাকা যা দ্বারা তাঁর প্রতি বিশ্বাসের পরিপন্থী কথা হয়ে যায়। যেমন, ‘আল্লাহ’ শব্দের ‘হামজা’ টেনে পড়া, যার অর্থ: আল্লাহ কি এক? এর দ্বারা আল্লাহ্ তাআলার একত্ববাদের উপর প্রশ্ন তোলা হয়। এটা কোনক্রমে একজন মুসলমানের আচার ও বিশ্বাস হতে পারে না। আর এ যাতীয় ভুল উচ্চারণের মাধ্যমে তাকবীরে তাহরীমা সহীহ হবে না; নামাযও শুরু হবে না। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৮০)
